ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে মায়েদের কষ্ট!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: তাহসিনা বেগম সিজার করেছেন এক মাস আগে। তাঁর পক্ষে তিনতালয় উঠে শিশুর টিকা দেওয়া কষ্টসাধ্য। কিন্তু তাঁর মতো শতাধিক মাকে ঝিনাইদহ পৌরসভায় এসে এভাবে শিশুদের টিকা দিতে হচ্ছে। মনিরা খাতুন নামে এক গৃহবধূ জানালেন সিঁড়ি মাড়িয়ে তাঁর পক্ষে তিনতলায় উঠা খুবই কষ্টকর। সন্তান কোলে নিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু প্রতিকার নেই। আর এভাবেই চলছে ঝিনাইদহ পৌরসভা ভবনে ইপিআই টিকাদান কর্মসূচি। মায়েদের কষ্ট বা দুঃখ শোনার মতো কেউ নেই বলেও অনেকের অভিযোগ।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ইপিআই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহ পৌরসভায় ৮০ থেকে ১২০ জন মাকে শিশুর টিকাদানের জন্য ঝিনাইদহ পৌরসভার তৃতীয় তলায় আনতে হয়। এভাবে মায়েদের ১৫ মাস ধরে টিকা দিতে গিয়ে অনেক মা শিশু কোলে নিয়ে তিনতলায় উঠতে হাফিয়ে উঠেছেন। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মাসের পর মাস মায়েরা ভোগান্তির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই।
ঝিনাইদহ শহরের অনেক মা জানিয়েছেন, আগে ঝিনাইদহ পৌরসভার নিচের তলায় টিকা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় তলায়। বিষয়টি তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সামিরা খাতুন নামে এক নারী জানান, পৌরসভার তৃতীয় তলায় তাঁদের উঠতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ হাফ নিয়ে আবার ওঠেন। তিনি টিকাদান কক্ষ নিচের তলায় আনার দাবি জানান।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়া জাহেদী হিজলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু জানান, তিনি বিষয়টি মেয়রকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্র রানী দেবনাথ জানান, অবশ্যই টিকাদান কেন্দ্র হতে হবে নিচের তলায়। ঝিনাইদহ পৌরসভা যদি এটা করে, তবে চরম অন্যায় কাজ হচ্ছে। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তড়িত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে মায়েদের কষ্ট!

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: তাহসিনা বেগম সিজার করেছেন এক মাস আগে। তাঁর পক্ষে তিনতালয় উঠে শিশুর টিকা দেওয়া কষ্টসাধ্য। কিন্তু তাঁর মতো শতাধিক মাকে ঝিনাইদহ পৌরসভায় এসে এভাবে শিশুদের টিকা দিতে হচ্ছে। মনিরা খাতুন নামে এক গৃহবধূ জানালেন সিঁড়ি মাড়িয়ে তাঁর পক্ষে তিনতলায় উঠা খুবই কষ্টকর। সন্তান কোলে নিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু প্রতিকার নেই। আর এভাবেই চলছে ঝিনাইদহ পৌরসভা ভবনে ইপিআই টিকাদান কর্মসূচি। মায়েদের কষ্ট বা দুঃখ শোনার মতো কেউ নেই বলেও অনেকের অভিযোগ।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ইপিআই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহ পৌরসভায় ৮০ থেকে ১২০ জন মাকে শিশুর টিকাদানের জন্য ঝিনাইদহ পৌরসভার তৃতীয় তলায় আনতে হয়। এভাবে মায়েদের ১৫ মাস ধরে টিকা দিতে গিয়ে অনেক মা শিশু কোলে নিয়ে তিনতলায় উঠতে হাফিয়ে উঠেছেন। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মাসের পর মাস মায়েরা ভোগান্তির শিকার হলেও দেখার কেউ নেই।
ঝিনাইদহ শহরের অনেক মা জানিয়েছেন, আগে ঝিনাইদহ পৌরসভার নিচের তলায় টিকা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় তলায়। বিষয়টি তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সামিরা খাতুন নামে এক নারী জানান, পৌরসভার তৃতীয় তলায় তাঁদের উঠতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ হাফ নিয়ে আবার ওঠেন। তিনি টিকাদান কক্ষ নিচের তলায় আনার দাবি জানান।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়া জাহেদী হিজলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু জানান, তিনি বিষয়টি মেয়রকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্র রানী দেবনাথ জানান, অবশ্যই টিকাদান কেন্দ্র হতে হবে নিচের তলায়। ঝিনাইদহ পৌরসভা যদি এটা করে, তবে চরম অন্যায় কাজ হচ্ছে। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তড়িত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।