ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে মায়ের মামলায় ছেলে-পুত্রবধূ কারাগারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঝিনাইদহ প্রাইমারি টিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সাইফুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী রুমা খাতুন। গত বুধবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ তাদের নিজ বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। সাইফুল্লাহ ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া গোরস্থান সড়কের মৃত শহিদুল ইসলাম মুক্তি ও জহুরা খাতুন দম্পত্তির ছেলে। ভরণপোষন না দেওয়ার অভিযোগে সাইফল্লাহর মা জহুরা খাতুন থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, সাইফুল্লাহ তার মা জহুরা খাতুনের ভরণপোষণ দেয় না দীর্ঘদিন। কিছু বললে মারধর ও নির্যাতনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় মা জহুরা খাতুন গত ১৮ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি আদালতে পাঠালে আদালত মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত বুধবার থানায় মামলা হলে রাতে অভিযুক্ত ছেলে সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলার বাদী জহুরা খাতুনের ভাই আমানুল্লাহ অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নে ও পুত্রবধূর কোনো দোষ নেই। তার বোন জহুরা খুবই খারাপ প্রকৃতির মহিলা। আচার ব্যবহার রুঢ়। এর আগে তার ছোট ভাগ্নে সুমনকে সুস্থ সবল অবস্থায় পাগলাগারদে পাঠিয়েছিল।

আমানুল্লাহ দাবি করেন, ‘তার বোনের দুর্ব্যবহারের কারণে তার ভাগ্নে সাইফুল্লাহ’র দুই দুটো স্ত্রী চলে গেছে। সংসারে তারা খুবই নির্যাতিত হচ্ছিল। সাইফুল্লাহর তৃতীয় স্ত্রী রুমা খাতুন আমার বোনের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এখনো টিকে আছে। অথচ নির্দোষ ভাগ্নে ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হলো।’

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল্লাহর ছোট ভাই সুমন আহম্মেদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ‘আমার মায়ের ইগো, জেদ ও অহংকার এতো বেশি যে বলার মতো না। আমাকে পাগলাগারদে রেখেছিল। আজ আমার ভাইকে জেলে পাঠালো। মা আপনি তো বৃদ্ধ হবেন। তখন তো আমরা দুই ভাই আপনাকে দেখব। আপনি আমার ভাইকে মুক্ত করে আনুন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে মায়ের মামলায় ছেলে-পুত্রবধূ কারাগারে

আপলোড টাইম : ০৫:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঝিনাইদহ প্রাইমারি টিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সাইফুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী রুমা খাতুন। গত বুধবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ তাদের নিজ বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। সাইফুল্লাহ ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া গোরস্থান সড়কের মৃত শহিদুল ইসলাম মুক্তি ও জহুরা খাতুন দম্পত্তির ছেলে। ভরণপোষন না দেওয়ার অভিযোগে সাইফল্লাহর মা জহুরা খাতুন থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, সাইফুল্লাহ তার মা জহুরা খাতুনের ভরণপোষণ দেয় না দীর্ঘদিন। কিছু বললে মারধর ও নির্যাতনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় মা জহুরা খাতুন গত ১৮ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি আদালতে পাঠালে আদালত মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত বুধবার থানায় মামলা হলে রাতে অভিযুক্ত ছেলে সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলার বাদী জহুরা খাতুনের ভাই আমানুল্লাহ অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নে ও পুত্রবধূর কোনো দোষ নেই। তার বোন জহুরা খুবই খারাপ প্রকৃতির মহিলা। আচার ব্যবহার রুঢ়। এর আগে তার ছোট ভাগ্নে সুমনকে সুস্থ সবল অবস্থায় পাগলাগারদে পাঠিয়েছিল।

আমানুল্লাহ দাবি করেন, ‘তার বোনের দুর্ব্যবহারের কারণে তার ভাগ্নে সাইফুল্লাহ’র দুই দুটো স্ত্রী চলে গেছে। সংসারে তারা খুবই নির্যাতিত হচ্ছিল। সাইফুল্লাহর তৃতীয় স্ত্রী রুমা খাতুন আমার বোনের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এখনো টিকে আছে। অথচ নির্দোষ ভাগ্নে ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হলো।’

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল্লাহর ছোট ভাই সুমন আহম্মেদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ‘আমার মায়ের ইগো, জেদ ও অহংকার এতো বেশি যে বলার মতো না। আমাকে পাগলাগারদে রেখেছিল। আজ আমার ভাইকে জেলে পাঠালো। মা আপনি তো বৃদ্ধ হবেন। তখন তো আমরা দুই ভাই আপনাকে দেখব। আপনি আমার ভাইকে মুক্ত করে আনুন।’