ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মকর্তারা এখন আ.লীগ নেতাদের মতো কথা বলছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:আগামী ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে বাঁধা দিলে জনগণ তা প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সারা দেশের বিভাগীয় শহরের সমাবেশ করার পর আমরা ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। এই সমাবেশ এখন হাসিনা সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্যাতিত মানুষ পাগলের মতো বিএনপির সমাবেশে ছুটছেন।’ খুলনার গণসমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গতকাল বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহে এসে রিজভী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

রিজভী আরও বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের স্বাধীনভাবে লেখা ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এখন সভা-সমাবেশও করতে বাঁধা দিচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা এখন আওয়ামী লীগের তৃতীয় সারির নেতাদের মতো কথা বলছেন। নিউইয়র্ক সফরে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজিরের কথায় তাই মনে হয়েছে। সরকার ফের ক্ষমতায় এলে যে দুর্ভিক্ষ হবে, সেটা শেখ হাসিনার কথায় প্রকাশ পেয়েছে। যখন স্বৈরাচারী সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, গুলি চালায়, তখন আন্দোলনের চূড়ান্ত রুপ পায়। আর তা খুলনার সমাবেশের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাঁধা সত্ত্বেও সমাবেশে জনস্রোত দেখা যায়। ঝিনাইদহ সফরকালে তিনি আওয়ামী লীগের হামলায় আহত যুবদল সভাপতি আহসান হাবিব রণক, ছাত্রদল নেতা মেহেদী, ধোপাঘাটা গ্রামে কৃষক দল নেতা মাসুম, কৃষক দল নেতা শামসুল ইসলাম ও চুটলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদকে দেখতে যান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুন্সী কামাল আজাদ পন্নু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা শহাজাহান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সরকারি কর্মকর্তারা এখন আ.লীগ নেতাদের মতো কথা বলছে

আপলোড টাইম : ০১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:আগামী ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে বাঁধা দিলে জনগণ তা প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সারা দেশের বিভাগীয় শহরের সমাবেশ করার পর আমরা ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। এই সমাবেশ এখন হাসিনা সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্যাতিত মানুষ পাগলের মতো বিএনপির সমাবেশে ছুটছেন।’ খুলনার গণসমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গতকাল বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহে এসে রিজভী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

রিজভী আরও বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের স্বাধীনভাবে লেখা ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এখন সভা-সমাবেশও করতে বাঁধা দিচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা এখন আওয়ামী লীগের তৃতীয় সারির নেতাদের মতো কথা বলছেন। নিউইয়র্ক সফরে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজিরের কথায় তাই মনে হয়েছে। সরকার ফের ক্ষমতায় এলে যে দুর্ভিক্ষ হবে, সেটা শেখ হাসিনার কথায় প্রকাশ পেয়েছে। যখন স্বৈরাচারী সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, গুলি চালায়, তখন আন্দোলনের চূড়ান্ত রুপ পায়। আর তা খুলনার সমাবেশের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাঁধা সত্ত্বেও সমাবেশে জনস্রোত দেখা যায়। ঝিনাইদহ সফরকালে তিনি আওয়ামী লীগের হামলায় আহত যুবদল সভাপতি আহসান হাবিব রণক, ছাত্রদল নেতা মেহেদী, ধোপাঘাটা গ্রামে কৃষক দল নেতা মাসুম, কৃষক দল নেতা শামসুল ইসলাম ও চুটলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদকে দেখতে যান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুন্সী কামাল আজাদ পন্নু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা শহাজাহান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।