ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরের গাংনীর পৃথক স্থান থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে নিজ ঘর থেকে সাবিনা খাতুন (৩৩) নামের এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর একটার দিকে ওই নারীর স্বামী বিদ্যুৎ হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘরের মেঝেতে ভারি পাথর ও বিছানায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখে পুলিশ ধারণা করছে সাবিনাকে ওই পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করার পর তার স্বামী বিদ্যুৎ হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত সাবিনা খাতুন কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ও নিহত বিদ্যুৎ হোসেন গাংনী উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর ওলি আহম্মেদের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, মাসখানেক আগে গাংনীর কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর বিদ্যুৎ হোসেনের বিবাহ হয়। এটি সাবিনার দ্বিতীয় আর বিদ্যুতের পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর থেকে সাবিনা ও বিদ্যুতের মাঝে চলছিল দাম্পত্য কলহ। সপ্তাহখানেক আগে বিদ্যুৎ তার স্ত্রী সাবিনাকে তার শ্বশুড় বাড়িতে রেখে আসে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সাবিনা ও তার ভাই স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। সন্ধ্যায় সাবিনা ও তার ভাইকে মারধর করে বিদ্যুৎ। রাতেই সাবিনার ভাই নিজ বাড়িতে চলে গেলেও সাবিনা থেকে যায় স্বামীর বাড়ি। ভোরে বিদ্যুৎ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে সটকে পড়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে সাবিনার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে দুপুর একটার দিকে হুদাপাড়া গ্রামের মাঠের একটি বাগানের আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বিদ্যুতের মরদেহ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে স্থানীয় হেমায়েতপুর ক্যাম্প পুলিশ বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গৃহবধূ সাবিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া শেষ করতে না করতেই তার স্বামী বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে সংসারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পরে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বিদ্যুৎ। নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ১২:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরের গাংনীর পৃথক স্থান থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে নিজ ঘর থেকে সাবিনা খাতুন (৩৩) নামের এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর একটার দিকে ওই নারীর স্বামী বিদ্যুৎ হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘরের মেঝেতে ভারি পাথর ও বিছানায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখে পুলিশ ধারণা করছে সাবিনাকে ওই পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করার পর তার স্বামী বিদ্যুৎ হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত সাবিনা খাতুন কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ও নিহত বিদ্যুৎ হোসেন গাংনী উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর ওলি আহম্মেদের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, মাসখানেক আগে গাংনীর কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর বিদ্যুৎ হোসেনের বিবাহ হয়। এটি সাবিনার দ্বিতীয় আর বিদ্যুতের পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর থেকে সাবিনা ও বিদ্যুতের মাঝে চলছিল দাম্পত্য কলহ। সপ্তাহখানেক আগে বিদ্যুৎ তার স্ত্রী সাবিনাকে তার শ্বশুড় বাড়িতে রেখে আসে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সাবিনা ও তার ভাই স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। সন্ধ্যায় সাবিনা ও তার ভাইকে মারধর করে বিদ্যুৎ। রাতেই সাবিনার ভাই নিজ বাড়িতে চলে গেলেও সাবিনা থেকে যায় স্বামীর বাড়ি। ভোরে বিদ্যুৎ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে সটকে পড়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে সাবিনার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে দুপুর একটার দিকে হুদাপাড়া গ্রামের মাঠের একটি বাগানের আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বিদ্যুতের মরদেহ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে স্থানীয় হেমায়েতপুর ক্যাম্প পুলিশ বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গৃহবধূ সাবিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া শেষ করতে না করতেই তার স্বামী বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে সংসারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পরে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বিদ্যুৎ। নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে