ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টোর কিপার থেকে প. প কর্মকর্তা হলেন অসীম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশনা উপেক্ষা করে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শৈলকুপার সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীকে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তথ্য গোপনের মাধ্যমে কীভাবে তাকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো? এই পদোন্নতিতে কত টাকার লেনদেন হয়েছে? পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক হাবিবুল হক খান কেন জেলা কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় না পাঠিয়ে ধামাচাপা দিলেন? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।

এদিকে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার, আর অবৈধ টাকার জোরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসিম কুমার গাঙ্গুলী। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, অসদাচারণ, দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কর্মকর্তাদের অপমান ও তাদের সাথে অসাদাচারণ ও মারমুখী আচরণের অভিযোগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হকের অফিসেকক্ষে আসেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসিম কুমার গাঙ্গুলী। এসময় সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ে কাজের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডা. শহিদুর রহমানের সামনেই সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হককে মেরুদণ্ডহীন অফিসারসহ নানা অপমানজনক কথা বলে অসদাচরণ করেন। এমনকি ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট গাঙ্গুলীকে থামানোর চেষ্টা করলে তার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, “আপনাকেও দেখে নেওয়া হবে।” অসীম কুমার গাঙ্গুলী আঙ্গুল উচিয়ে ডা. শহিদুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “আমি স্থানীয়। এই শহরে আমার অনেক লোক আছে। ফোন দিলে এখনই শত শত লোক আসবে। তাদের দিয়ে আপনাদের শায়েস্তা করতে পারি।”

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ঢাকায় ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর হটলাইনে শৈলকুপার সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। সে মোতাবেক দুদকের ঢাকা অফিসের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান তার দপ্তরের ১৭৯২ নম্বর স্মারকে দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। খুলনা বিভাগের পরিচালক হাবিবুল হক খান ৩৭৭ নম্বর স্মারকে ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক ডা. জাহিদ আহমেদকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। চিঠি পেয়ে সরেজমিন তদন্ত করে শৈলকুপার সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে স্টিলের ট্রাঙ্ক সরবরাহ কাজে দুর্নীতির তথ্য পান। অসীম কুমার সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কের মেসার্স খোন্দকার ফার্নিচারকে দেখান এবং সেখান থেকে স্টিলের ট্রাঙ্ক কিনে মাঠকর্মীদের সরবরাহ করেন। কিন্তু মেসার্স খোন্দকার ফার্নিচার শুধু কাঠের ফার্নিচার তৈরি ও বিক্রি করে থাকেন। সেখানে কোনো স্টিলের ট্রাঙ্ক তৈরি হয় না। টেন্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে এই কেনাকাটার ফলে লক্ষাধিক টাকা পকেটস্থ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে ষ্টিলের ট্রাঙ্ক কেনার ক্ষেত্রে সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি মর্মে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুদকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ডা. জাহিদ ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি বিষয়টি তদন্ত ও অবহিতকরণ পত্র (যার স্মারক নম্বর ৬২) পাঠান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা, পরিচালক প্রশাসন ও খুলনা বিভাগের পরিচালকের দপ্তরে। চিঠিতে তদন্ত কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, অসীম কুমার গাঙ্গুলী দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা বিধায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার তার নেই। ফলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালককে নিয়োগ করেন। তিনি তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পান। অনিয়ম পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন ওই কর্মকর্তা। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দিয়ে তার পদোন্নতি প্রদান করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দুদকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অসীম কুমার গাঙ্গুলীকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দিয়ে কুড়িগ্রামের চররাজিবপুর উপজেলায় বদলি করা হয়।

বিষয়টি জানতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক হাবিবুল হক খান জানান, ‘আমার দপ্তরে এমন কোনো তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি। আসলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।’ তিনি বলেন, হয়ত এই কপি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অসিম কুমার গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমি তাদের সাথে কোনো অসদাচারণ করিনি। ওই সময় আমার একটি ফোন কল আসে। আমি কল রিসিভ করায় আমার ওপর ওনারা রাগ করেছেন। তাদের সাথে খারাপ আচরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

স্টোর কিপার থেকে প. প কর্মকর্তা হলেন অসীম

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশনা উপেক্ষা করে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শৈলকুপার সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীকে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তথ্য গোপনের মাধ্যমে কীভাবে তাকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো? এই পদোন্নতিতে কত টাকার লেনদেন হয়েছে? পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক হাবিবুল হক খান কেন জেলা কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় না পাঠিয়ে ধামাচাপা দিলেন? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।

এদিকে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার, আর অবৈধ টাকার জোরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসিম কুমার গাঙ্গুলী। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, অসদাচারণ, দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কর্মকর্তাদের অপমান ও তাদের সাথে অসাদাচারণ ও মারমুখী আচরণের অভিযোগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হকের অফিসেকক্ষে আসেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসিম কুমার গাঙ্গুলী। এসময় সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ে কাজের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডা. শহিদুর রহমানের সামনেই সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হককে মেরুদণ্ডহীন অফিসারসহ নানা অপমানজনক কথা বলে অসদাচরণ করেন। এমনকি ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট গাঙ্গুলীকে থামানোর চেষ্টা করলে তার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, “আপনাকেও দেখে নেওয়া হবে।” অসীম কুমার গাঙ্গুলী আঙ্গুল উচিয়ে ডা. শহিদুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “আমি স্থানীয়। এই শহরে আমার অনেক লোক আছে। ফোন দিলে এখনই শত শত লোক আসবে। তাদের দিয়ে আপনাদের শায়েস্তা করতে পারি।”

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ঢাকায় ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর হটলাইনে শৈলকুপার সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। সে মোতাবেক দুদকের ঢাকা অফিসের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান তার দপ্তরের ১৭৯২ নম্বর স্মারকে দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। খুলনা বিভাগের পরিচালক হাবিবুল হক খান ৩৭৭ নম্বর স্মারকে ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক ডা. জাহিদ আহমেদকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। চিঠি পেয়ে সরেজমিন তদন্ত করে শৈলকুপার সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে স্টিলের ট্রাঙ্ক সরবরাহ কাজে দুর্নীতির তথ্য পান। অসীম কুমার সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কের মেসার্স খোন্দকার ফার্নিচারকে দেখান এবং সেখান থেকে স্টিলের ট্রাঙ্ক কিনে মাঠকর্মীদের সরবরাহ করেন। কিন্তু মেসার্স খোন্দকার ফার্নিচার শুধু কাঠের ফার্নিচার তৈরি ও বিক্রি করে থাকেন। সেখানে কোনো স্টিলের ট্রাঙ্ক তৈরি হয় না। টেন্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে এই কেনাকাটার ফলে লক্ষাধিক টাকা পকেটস্থ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে ষ্টিলের ট্রাঙ্ক কেনার ক্ষেত্রে সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি মর্মে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুদকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ডা. জাহিদ ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি বিষয়টি তদন্ত ও অবহিতকরণ পত্র (যার স্মারক নম্বর ৬২) পাঠান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা, পরিচালক প্রশাসন ও খুলনা বিভাগের পরিচালকের দপ্তরে। চিঠিতে তদন্ত কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, অসীম কুমার গাঙ্গুলী দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা বিধায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার তার নেই। ফলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালককে নিয়োগ করেন। তিনি তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পান। অনিয়ম পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন ওই কর্মকর্তা। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দিয়ে তার পদোন্নতি প্রদান করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দুদকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অসীম কুমার গাঙ্গুলীকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দিয়ে কুড়িগ্রামের চররাজিবপুর উপজেলায় বদলি করা হয়।

বিষয়টি জানতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক হাবিবুল হক খান জানান, ‘আমার দপ্তরে এমন কোনো তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি। আসলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।’ তিনি বলেন, হয়ত এই কপি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অসিম কুমার গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমি তাদের সাথে কোনো অসদাচারণ করিনি। ওই সময় আমার একটি ফোন কল আসে। আমি কল রিসিভ করায় আমার ওপর ওনারা রাগ করেছেন। তাদের সাথে খারাপ আচরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।