ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে দমকা হওয়ার সাথে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলাতেও। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই জেলা শহর থেকে শুরু করে সব উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এসেছে শীতের আমেজ। তবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিন সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এরপর শুরু হয় হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি। সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। গুঁড়ি গুঁড়ি টানা বৃষ্টিতে জেলাজুড়ে সড়ক-মহাসড়কে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা বের হয়েছেন, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেককেই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। কাজ না পাওয়ায় অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকায় ভ্যানে ফেরি করা ডাব বিক্রেতা লালন হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা একেবারেই নেই। সূর্য দেখা যায়নি, শহরে মানুষ কম আসছে, তো বিক্রি কী করে হবে। ছাতা মাথায় নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে মাত্র কয়েকটি ডাব বিক্র হয়েছে। যেখানে গত শুক্রবার দুপুরের আগেই সব ডাব বিক্রি হয়েছিল।’

শহরের কলেজ রোডের রিকশাচালক কালাম হোসেন বলেন, ‘ভোরে ঘুম ভেঙেই দেখি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ভেতর রিকশা চালানো কষ্টকর তাছাড়া যাত্রীও পাওয়া যায় না। ভেবেছিলাম বৃষ্টি থামলে বের হবো। কিন্তু দুপুর পার হলেও বৃষ্টির ভাব বুঝতে না পেড়ে বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষজন কম, যাত্রীও হচ্ছে না। তাই রিকশার মধ্যে বসে আছি। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায়।’

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মোড়ে আসা বাপ্পি আলী বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছিল না। তবু কোর্টে জরুরি কাজ থাকায় আসতে হলো। রেইন কোর্ট পড়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সামাদুল হক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সাথে তাপমাত্রাও কমেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে। এমনকি সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।’

মেহেরপুর:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো মেহেরপুরেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে কোথাও কোনো বজ্রপাতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার ভোর পাঁচটার দিক থেকে জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সকল এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করলেও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঘরবন্দী সময় পার করছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে, নেই কোনো কাস্টমার। দৈনিক কর্মে লিপ্ত থাকা শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন। কর্মে যেতে পারেনি তারা। খুব বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ সড়ক ছিল জনশূন্য। দোকানপাটের অধিকাংশই সন্ধ্যার দিকে বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন কখন বৃষ্টি থামবে।

গাংনী শহরের শফি মোহাম্মদ টাওয়ারের অয়ন ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকার বলেন, সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতি তেমন একটা নেই। বাজারও একেবারে জনশূন্য রয়েছে। একই টাওয়ারের ভ্যারাইটিজ স্টোরের সত্ত্বাধিকার জানান, অন্যান্য দিনে কসমেটিকস কেনার ভিড় থাকলেও সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সোমবার ক্রেতা সাধারণের তেমন একটা উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি। সারাদিন বসে অলস সময় পার করেছি। মেহেরপুর সদর থানা গেটের পাশে জনৈক চা বিক্রেতা জানান, সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি এবং থেমে থেমে ঝড়ো ও ঠান্ডা হাওয়া বইছে। যেকারণে প্রতিদিনের নিয়মিত চা’পান খাওয়ার অনেকেই দোকানে আসেনি। মাইলমারী গ্রামের কয়েকজন দিনমজুর জানান, ভোরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিপটাপ বৃষ্টি হতে থাকায় কোনো কাজ-কর্মে যাওয়া হয়নি। সময় পেয়ে সারাদিন পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় পার করে সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডায় বসেছি।

এদিকে গতকাল ভোর থেকে মেহেরপুরে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট রেকর্ড করা সম্ভব না হলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বয়ে যাওয়া ঝড়ো ও দমকা হাওয়ায় তেমন একটা ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও এভাবে দমকা বইতে থাকলে কিছু গাছের ডালপালা ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেহেরপুরে যে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া চলছে, তাতে ফসলের তেমন একটা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে রাতভর এভাবে চলতে থাকলে ধান ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত বাতাস বইতে থাকলে ধানগাছ নুয়ে পড়ে ফলনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এদিকে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করলে রাতে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে দমকা হওয়ার সাথে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলাতেও। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই জেলা শহর থেকে শুরু করে সব উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এসেছে শীতের আমেজ। তবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিন সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এরপর শুরু হয় হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি। সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। গুঁড়ি গুঁড়ি টানা বৃষ্টিতে জেলাজুড়ে সড়ক-মহাসড়কে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা বের হয়েছেন, তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেককেই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। কাজ না পাওয়ায় অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার এলাকায় ভ্যানে ফেরি করা ডাব বিক্রেতা লালন হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা একেবারেই নেই। সূর্য দেখা যায়নি, শহরে মানুষ কম আসছে, তো বিক্রি কী করে হবে। ছাতা মাথায় নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে মাত্র কয়েকটি ডাব বিক্র হয়েছে। যেখানে গত শুক্রবার দুপুরের আগেই সব ডাব বিক্রি হয়েছিল।’

শহরের কলেজ রোডের রিকশাচালক কালাম হোসেন বলেন, ‘ভোরে ঘুম ভেঙেই দেখি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ভেতর রিকশা চালানো কষ্টকর তাছাড়া যাত্রীও পাওয়া যায় না। ভেবেছিলাম বৃষ্টি থামলে বের হবো। কিন্তু দুপুর পার হলেও বৃষ্টির ভাব বুঝতে না পেড়ে বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষজন কম, যাত্রীও হচ্ছে না। তাই রিকশার মধ্যে বসে আছি। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায়।’

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মোড়ে আসা বাপ্পি আলী বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছিল না। তবু কোর্টে জরুরি কাজ থাকায় আসতে হলো। রেইন কোর্ট পড়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সামাদুল হক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সাথে তাপমাত্রাও কমেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে। এমনকি সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।’

মেহেরপুর:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো মেহেরপুরেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে কোথাও কোনো বজ্রপাতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার ভোর পাঁচটার দিক থেকে জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সকল এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করলেও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঘরবন্দী সময় পার করছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে, নেই কোনো কাস্টমার। দৈনিক কর্মে লিপ্ত থাকা শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন। কর্মে যেতে পারেনি তারা। খুব বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ সড়ক ছিল জনশূন্য। দোকানপাটের অধিকাংশই সন্ধ্যার দিকে বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন কখন বৃষ্টি থামবে।

গাংনী শহরের শফি মোহাম্মদ টাওয়ারের অয়ন ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকার বলেন, সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতি তেমন একটা নেই। বাজারও একেবারে জনশূন্য রয়েছে। একই টাওয়ারের ভ্যারাইটিজ স্টোরের সত্ত্বাধিকার জানান, অন্যান্য দিনে কসমেটিকস কেনার ভিড় থাকলেও সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সোমবার ক্রেতা সাধারণের তেমন একটা উপস্থিতি টের পাওয়া যায়নি। সারাদিন বসে অলস সময় পার করেছি। মেহেরপুর সদর থানা গেটের পাশে জনৈক চা বিক্রেতা জানান, সকাল থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি এবং থেমে থেমে ঝড়ো ও ঠান্ডা হাওয়া বইছে। যেকারণে প্রতিদিনের নিয়মিত চা’পান খাওয়ার অনেকেই দোকানে আসেনি। মাইলমারী গ্রামের কয়েকজন দিনমজুর জানান, ভোরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিপটাপ বৃষ্টি হতে থাকায় কোনো কাজ-কর্মে যাওয়া হয়নি। সময় পেয়ে সারাদিন পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় পার করে সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডায় বসেছি।

এদিকে গতকাল ভোর থেকে মেহেরপুরে কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট রেকর্ড করা সম্ভব না হলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বয়ে যাওয়া ঝড়ো ও দমকা হাওয়ায় তেমন একটা ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও এভাবে দমকা বইতে থাকলে কিছু গাছের ডালপালা ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেহেরপুরে যে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া চলছে, তাতে ফসলের তেমন একটা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে রাতভর এভাবে চলতে থাকলে ধান ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত বাতাস বইতে থাকলে ধানগাছ নুয়ে পড়ে ফলনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এদিকে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করলে রাতে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।