ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ বাহন এখন বাইসাইকেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নারী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের নিরাপদ বাহন এখন বাইসাইকেল। যাতায়াতের ঝামেলা এড়াতে এবং দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে অনেক শিক্ষার্থীরাই ছিল বিদ্যালয়বিমুখ। ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী বাইসাইকেল উপহার পাওয়ায় তাদের দেখাদেখি এখন অন্য শিক্ষার্থীদের বাহনও বাইসাইকেল। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের নিরাপদ বাহন মনে করে পরিবার থেকেও কিনে দেওয়া হচ্ছে বাইসাইকেল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম থেকে আসা প্রায় ১২ শ শিক্ষার্থী উক্ত বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। সীমান্তবর্তী এলাকার রাধাগোবিন্দপুর করমদি, পলাশীপাড়াসহ আশপাশের অন্তত ৬ থেকে ৭টি গ্রাম রয়েছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হয় পায়ে হেঁটে বা অটোভ্যান কিংবা আলমসাধুর মতো ঝুকিপূর্ণ যানবাহনে। এতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হত শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের নেই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তায় তেমন গাড়িও চলে না। সময়মতো বিদ্যালয় যেতে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। নানা ঝামেলায় ঝরে পড়ছিল অনেকে শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে সরকারি প্রকল্পের সহায়তায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। তবে তা যতসামান্য হলেও একে অপরের দেখাদেখি সব অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের কিনে দিয়েছেন বাইসাইকেল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে সারিবদ্ধভাবে বিশেষ করে মেয়েরা বাইসাইকেল চড়ে যাতায়াত করছে বিদ্যালয়ে। একই পোশাকে মেয়েরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করায় একদিকে যেমন রাস্তার শোভা বর্ধন হচ্ছে, অন্যদিকে বিড়ম্বনা কমেছে শিক্ষার্থীদের। প্রতিদিনের যাতায়াত ভাড়াও লাগছে না। ফলে পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল হয়ে উঠেছে সীমান্তাবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও শখের একমাত্র বাহন।

বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী রোকসানা খাতুন জানায়, ‘আমার বাড়ি করমদী গ্রামে। আমাদের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। এক সময়ে ভ্যানে ও পায়ে হেঁটে স্কুলে চলাচল করতাম। তখন ঠিকমতো ক্লাসে উপস্থিত হতে অসুবিধা হতো। অভাবের সংসারে যাতায়াত ভাড়া যোগাড় করতে হতো অনেক কষ্ট করে। কিছদিন পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে একটি বাইসাইকেল উপহার দেয়। বাড়ির আঙিনায় সাইকেল চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করি। আমার দেখাদেখি আমাদের গ্রামের অনেক মেয়েরাই বাইসাইকেল কিনে আনে।’ পলাশীপাড়া গ্রামের স্কুলছাত্রী মিম আক্তার জানায়, ‘আমাদের গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। রাস্তা ভাঙাচোরা। সময়মতো ভ্যান কিংবা কোনো বাহন পাওয়া যায় না। পায়ে হেঁটেই বিদ্যালয়ে যেতে হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি বাইসাইকেল উপহার পেয়ে আমি এখন নিরাপদে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি।’


৮ম শ্রেণির ছাত্রী জুবাইদা জানায়, ‘আমার কয়েকজন সহপাঠী বাইসাইকেল উপহার পাওয়ার পর আমার বাবা আমাকেও বাইসাইকেল কিনে দিয়েছে। সকলে এক সাথে বিদ্যালয়ে যেতে খুব সাচ্ছন্দবোধ করি।’ ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও খাসমহল গ্রামের এরিনা জানায়, ‘আমাদের গ্রাম থেকে বিদ্যালয় অনেক দূরে। বিদ্যালয়ের প্রায় সকলেই বাইসাকেল ব্যবহার করাই আমার পরিবার থেকে একটি সাইকেল দিয়েছে। সকলে মিলে একসাথে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সুযোগ হয়েছে। এতে আগে অনেক বখাটে আমাদের একা পেয়ে বিরক্ত করত, এখন আর সেই সুযোগ নেই। একত্রে অনেক জন থাকায় আমাদের দেখে বখাটে ছেলেরা কিছু বলার সাহস পায় না।’
তেঁতুলবাড়ীয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান জানান, ছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য চেয়ারম্যান সাহেব ও স্কুল কর্তৃপক্ষ মিলে বাইসাইকেল প্রদান করেছি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা এখন কোনো বিড়ম্বনা ছাড়ায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছে। নারীদের আধুনিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন সরকার। এমন উদ্যোগ থেকেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বাইসাইকেল দেওয়ার উদ্যোগ নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস।’
ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস জানান, ‘তেঁতুলবাড়ীয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ শ টিরও বেশি গরিব মেধাবী ছাত্রীর যাতায়াতে সুবিধার জন্য সরকারি প্রকল্পে ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি বাইসাইকেল দিয়েছেন। সরকার নারী শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে। আমি সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন তেঁতুলবাড়ীয়ায় শিক্ষার হার শতভাগ করতে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয় প্রধান ও শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে নেওয়া উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ওই বিদ্যালয়ে অনেক ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। বাইসাইকেল চড়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করার সুবিধার্তে শতভাগ উপস্থিতি হবে এমন প্রত্যাশার পাশাপাশি এমন একটি উদ্যোগকে আমি প্রশংসা করি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ বাহন এখন বাইসাইকেল

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নারী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের নিরাপদ বাহন এখন বাইসাইকেল। যাতায়াতের ঝামেলা এড়াতে এবং দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে অনেক শিক্ষার্থীরাই ছিল বিদ্যালয়বিমুখ। ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী বাইসাইকেল উপহার পাওয়ায় তাদের দেখাদেখি এখন অন্য শিক্ষার্থীদের বাহনও বাইসাইকেল। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের নিরাপদ বাহন মনে করে পরিবার থেকেও কিনে দেওয়া হচ্ছে বাইসাইকেল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেহেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম থেকে আসা প্রায় ১২ শ শিক্ষার্থী উক্ত বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। সীমান্তবর্তী এলাকার রাধাগোবিন্দপুর করমদি, পলাশীপাড়াসহ আশপাশের অন্তত ৬ থেকে ৭টি গ্রাম রয়েছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হয় পায়ে হেঁটে বা অটোভ্যান কিংবা আলমসাধুর মতো ঝুকিপূর্ণ যানবাহনে। এতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হত শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের নেই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তায় তেমন গাড়িও চলে না। সময়মতো বিদ্যালয় যেতে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। নানা ঝামেলায় ঝরে পড়ছিল অনেকে শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে সরকারি প্রকল্পের সহায়তায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। তবে তা যতসামান্য হলেও একে অপরের দেখাদেখি সব অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের কিনে দিয়েছেন বাইসাইকেল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে সারিবদ্ধভাবে বিশেষ করে মেয়েরা বাইসাইকেল চড়ে যাতায়াত করছে বিদ্যালয়ে। একই পোশাকে মেয়েরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করায় একদিকে যেমন রাস্তার শোভা বর্ধন হচ্ছে, অন্যদিকে বিড়ম্বনা কমেছে শিক্ষার্থীদের। প্রতিদিনের যাতায়াত ভাড়াও লাগছে না। ফলে পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল হয়ে উঠেছে সীমান্তাবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও শখের একমাত্র বাহন।

বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী রোকসানা খাতুন জানায়, ‘আমার বাড়ি করমদী গ্রামে। আমাদের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। এক সময়ে ভ্যানে ও পায়ে হেঁটে স্কুলে চলাচল করতাম। তখন ঠিকমতো ক্লাসে উপস্থিত হতে অসুবিধা হতো। অভাবের সংসারে যাতায়াত ভাড়া যোগাড় করতে হতো অনেক কষ্ট করে। কিছদিন পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে একটি বাইসাইকেল উপহার দেয়। বাড়ির আঙিনায় সাইকেল চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করি। আমার দেখাদেখি আমাদের গ্রামের অনেক মেয়েরাই বাইসাইকেল কিনে আনে।’ পলাশীপাড়া গ্রামের স্কুলছাত্রী মিম আক্তার জানায়, ‘আমাদের গ্রাম থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। রাস্তা ভাঙাচোরা। সময়মতো ভ্যান কিংবা কোনো বাহন পাওয়া যায় না। পায়ে হেঁটেই বিদ্যালয়ে যেতে হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি বাইসাইকেল উপহার পেয়ে আমি এখন নিরাপদে বিদ্যালয়ে যেতে পারছি।’


৮ম শ্রেণির ছাত্রী জুবাইদা জানায়, ‘আমার কয়েকজন সহপাঠী বাইসাইকেল উপহার পাওয়ার পর আমার বাবা আমাকেও বাইসাইকেল কিনে দিয়েছে। সকলে এক সাথে বিদ্যালয়ে যেতে খুব সাচ্ছন্দবোধ করি।’ ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও খাসমহল গ্রামের এরিনা জানায়, ‘আমাদের গ্রাম থেকে বিদ্যালয় অনেক দূরে। বিদ্যালয়ের প্রায় সকলেই বাইসাকেল ব্যবহার করাই আমার পরিবার থেকে একটি সাইকেল দিয়েছে। সকলে মিলে একসাথে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সুযোগ হয়েছে। এতে আগে অনেক বখাটে আমাদের একা পেয়ে বিরক্ত করত, এখন আর সেই সুযোগ নেই। একত্রে অনেক জন থাকায় আমাদের দেখে বখাটে ছেলেরা কিছু বলার সাহস পায় না।’
তেঁতুলবাড়ীয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান জানান, ছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য চেয়ারম্যান সাহেব ও স্কুল কর্তৃপক্ষ মিলে বাইসাইকেল প্রদান করেছি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা এখন কোনো বিড়ম্বনা ছাড়ায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছে। নারীদের আধুনিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন সরকার। এমন উদ্যোগ থেকেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বাইসাইকেল দেওয়ার উদ্যোগ নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস।’
ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস জানান, ‘তেঁতুলবাড়ীয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ শ টিরও বেশি গরিব মেধাবী ছাত্রীর যাতায়াতে সুবিধার জন্য সরকারি প্রকল্পে ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি বাইসাইকেল দিয়েছেন। সরকার নারী শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে। আমি সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন তেঁতুলবাড়ীয়ায় শিক্ষার হার শতভাগ করতে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয় প্রধান ও শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে নেওয়া উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ওই বিদ্যালয়ে অনেক ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। বাইসাইকেল চড়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করার সুবিধার্তে শতভাগ উপস্থিতি হবে এমন প্রত্যাশার পাশাপাশি এমন একটি উদ্যোগকে আমি প্রশংসা করি।’