ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারেনি ৫ শিক্ষার্থী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি কেএমএইচ ডিগ্রি কলেজের এক মাস্টার রোল কর্মচারীর জালিয়াতির কারণে কলেজের অর্থনীতি (সম্মান) বিভাগের ৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় সবাই অংশগ্রহণ করলেও ৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ৫ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র পাননি।
কলেজ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানান, ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে অনেক আগে থেকেই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুর হয়। কিন্তু ওই ৫ পরীক্ষার্থী নিজেরা ফরম পূরণ না করে প্রায় ৪ মাস আগে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের কর্মচারী সোহানুর রহমানের কাছে ফরম পূরণের জন্য টাকা দেন। কিন্তু সোহানুর রহমান টাকা নিলেও ফরম পূরণ করেননি। যে কারণে পাঁচ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও আসেনি, বিধায় তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে অর্থনীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আরতী নন্দী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনার্স শাখায় নগদ টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের কর্মচারী সোহানের কাছে ফরম পূরণের জন্য টাকা দিয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অনুতোষ সাহা বলেন, অভিযুক্ত সোহানুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকায় একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে তাকে ৪ মাস আগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জন গ্রেড উন্নয়ন ও ২ জন নিয়মিত। তাঁর দাবি, ২৪ ঘণ্টা আগেও বিষয়টি জানতে পারলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারেনি ৫ শিক্ষার্থী

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি কেএমএইচ ডিগ্রি কলেজের এক মাস্টার রোল কর্মচারীর জালিয়াতির কারণে কলেজের অর্থনীতি (সম্মান) বিভাগের ৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় সবাই অংশগ্রহণ করলেও ৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ৫ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র পাননি।
কলেজ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানান, ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে অনেক আগে থেকেই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুর হয়। কিন্তু ওই ৫ পরীক্ষার্থী নিজেরা ফরম পূরণ না করে প্রায় ৪ মাস আগে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের কর্মচারী সোহানুর রহমানের কাছে ফরম পূরণের জন্য টাকা দেন। কিন্তু সোহানুর রহমান টাকা নিলেও ফরম পূরণ করেননি। যে কারণে পাঁচ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও আসেনি, বিধায় তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে অর্থনীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আরতী নন্দী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনার্স শাখায় নগদ টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের কর্মচারী সোহানের কাছে ফরম পূরণের জন্য টাকা দিয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অনুতোষ সাহা বলেন, অভিযুক্ত সোহানুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকায় একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে তাকে ৪ মাস আগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জন গ্রেড উন্নয়ন ও ২ জন নিয়মিত। তাঁর দাবি, ২৪ ঘণ্টা আগেও বিষয়টি জানতে পারলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।