ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে চেয়ারম্যান হলেন আ. সালাম, ঝিনাইদহে আ.লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ইভিএমের মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কঠোর নিরাপত্তায় অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে প্রার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মেহেরপুর:
মেহেরপুর জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুলকে পরাজিত করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠ’ ও নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।
ঘোষিত ফলাফলে আব্দুস সালাম (কাপ-পিরিচ) ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুল (আনারস) পেয়েছেন ১১৫ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে ২৯৩ জন ভোটারের মধ্যে শতভাগ ভোট পোল হয়েছে। আব্দুস সালাম ১৭৬ ভোটের মধ্যে সদর ভোট কেন্দ্রে ৫৬ ভোট, গাংনী ভোট কেন্দ্রে ৮৪ ভোট এবং মুজিবনগর কেন্দ্রে ৩৬ ভোট পেয়েছেন। অপর দিকে, গোলাম রসুল আনারস প্রতীকে ১১৫ ভোটের মধ্যে মেহেরপুর সদর ভোট কেন্দ্রে ৪৮ ভোট, গাংনী ভোট কেন্দ্রে ৪৮ এবং মুজিবনগর ভোট কেন্দ্রে ১৯ ভোট পেয়েছেন।

ঝিনাইদহ:
পৌরসভার পর এবার ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাসকে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে আনারস প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ৪৭৮ ভোট। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।
বেসরকারি প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। অন্যদিকে আনারস প্রতিক নিয়ে হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১২২ ভোট। শৈলকুপায় চশমা প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ১০৯ ভোট। কালীগঞ্জে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৭০ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, মহেশপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৯২ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮০ ভোট, হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় চশমা পেয়েছে ৭৬ ভোট, আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট এবং কোটচাঁদপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৪১ ভোট ও আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট।
এছাড়া ৬টি উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ঝিনাইদহ সদরে মোরিদ মোস্তাকিম মুনীর, হরিণাকুণ্ডুতে আলাউদ্দীন, শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার মৃধা, কোটচাঁদপুরে রাজিবুল কবীর ও মহেশপুরে লিটন মিয়া নির্বাচিত হন। কালীগঞ্জ উপজেলায় সদস্য পদে দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও সেলিম মিয়া সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ফলাফল ড্র হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস ও এনজিও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের বিপরীতে ১৩ জন ও সাধারণ ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, জেলার ৬ উপজেলার ৬টি ভোট কেন্দ্রে ১২টি কক্ষ স্থাপন করা হয়। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৫৪ জন। তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে এক প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ করা ছিল। এছাড়া ৬টি কেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে চেয়ারম্যান হলেন আ. সালাম, ঝিনাইদহে আ.লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি

আপলোড টাইম : ০৪:৫০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ইভিএমের মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কঠোর নিরাপত্তায় অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। নির্বাচনী পরিবেশ দেখে প্রার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মেহেরপুর:
মেহেরপুর জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুলকে পরাজিত করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠ’ ও নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।
ঘোষিত ফলাফলে আব্দুস সালাম (কাপ-পিরিচ) ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুল (আনারস) পেয়েছেন ১১৫ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে ২৯৩ জন ভোটারের মধ্যে শতভাগ ভোট পোল হয়েছে। আব্দুস সালাম ১৭৬ ভোটের মধ্যে সদর ভোট কেন্দ্রে ৫৬ ভোট, গাংনী ভোট কেন্দ্রে ৮৪ ভোট এবং মুজিবনগর কেন্দ্রে ৩৬ ভোট পেয়েছেন। অপর দিকে, গোলাম রসুল আনারস প্রতীকে ১১৫ ভোটের মধ্যে মেহেরপুর সদর ভোট কেন্দ্রে ৪৮ ভোট, গাংনী ভোট কেন্দ্রে ৪৮ এবং মুজিবনগর ভোট কেন্দ্রে ১৯ ভোট পেয়েছেন।

ঝিনাইদহ:
পৌরসভার পর এবার ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী কনক কান্তি দাসকে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে আনারস প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ৪৭৮ ভোট। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।
বেসরকারি প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। অন্যদিকে আনারস প্রতিক নিয়ে হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১২২ ভোট। শৈলকুপায় চশমা প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ১০৯ ভোট। কালীগঞ্জে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৭০ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮৭ ভোট, মহেশপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৯২ ভোট, আনারস প্রতিক পেয়েছে ৮০ ভোট, হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় চশমা পেয়েছে ৭৬ ভোট, আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট এবং কোটচাঁদপুরে চশমা প্রতিক পেয়েছে ৪১ ভোট ও আনারস পেয়েছে ৪০ ভোট।
এছাড়া ৬টি উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ঝিনাইদহ সদরে মোরিদ মোস্তাকিম মুনীর, হরিণাকুণ্ডুতে আলাউদ্দীন, শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার মৃধা, কোটচাঁদপুরে রাজিবুল কবীর ও মহেশপুরে লিটন মিয়া নির্বাচিত হন। কালীগঞ্জ উপজেলায় সদস্য পদে দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও সেলিম মিয়া সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ফলাফল ড্র হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস ও এনজিও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের বিপরীতে ১৩ জন ও সাধারণ ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, জেলার ৬ উপজেলার ৬টি ভোট কেন্দ্রে ১২টি কক্ষ স্থাপন করা হয়। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৫৪ জন। তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে এক প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ করা ছিল। এছাড়া ৬টি কেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।