ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে হাটে-বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ, কমেনি দাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরের কাঁচাবাজারগুলোতে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম। এখনও চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটো, ফুলকপি, বেগুন এবং মুলার মতো সবজি। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম। মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন সবজির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ওই অর্থে খুব বেশি বাড়েনি। ব্যবসায়ীদের দাবি নাকচ করে ভোক্তারা বলছেন, শীতকালীন প্রায় সকল ধরনের সবজির কেজি ৪০ টাকার ওপরে। মেহেরপুরে এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। যা মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারের চাহিদা মিটিয়েও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। তারপরেও দাম কমেনি।
সরেজমিনে জেলার গাংনী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, ওলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, টমেটো ১ শ টাকা, পালংশাক ৬০ এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে লাউ ৩০ টাকা, শসা ৩০-৫০, চিচিঙ্গা ৫০, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৪০, পেঁপে ২০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০, ঢেঁড়স ৪০ ও ওলকচু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মেহেরপুর বড় বাজার তহবাজার, কেদারগঞ্জ, বারাদী, আমঝুপি, বামুন্দী, বাওট, কাজীপুর, ভাটপাড়া, সাহারবাটি, তেঁতুলবাড়ীয়া, বাগোয়ান, দারিয়াপুর, মহাজনপুর, সোনাপুর, পিরোজপুর, মাইলমারী, করমদীসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাটবাজারেও সকল ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সবজি বিক্রেতা মুছাব আলী বলেন, ‘বাজারে আসলে যেসব সবজি আসছে, সেগুলো মেহেরপুর আড়ত থেকে আমাদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে খুচরায়ও দাম বেশি। এছাড়া শীতকালীন সবজি দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে সরবরাহ খুব বাড়েনি।’ এদিকে সবজি ছাড়াও মুরগি এবং ডিমের দামও চাঙ্গা এক প্রকার বলতে গেলে শীতকালীন সবজি, ডিম, মুরগী এবং সকল ধরনের মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দেশি মুরগির দামও বেড়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের। গত সপ্তাহের মতোই একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
কয়েকজন মুরগী বিক্রেতা জানান, মুরগীর সরবরাহ কম। তাই দামেও বেশি। খামারীরা বলছেন, তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদের বেশি দামে মুরগি সরবরাহ দিচ্ছেন। একই কারণে ডিমেরও দামও বাড়তি। মজির উদ্দীন নামের একজন ক্রেতা জানান, বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে, দাম বাড়েনি। এতে আমাদের মতো গরীব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজার মনিটরিং না থাকার ফলে দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে হাটে-বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ, কমেনি দাম

আপলোড টাইম : ১০:০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মেহেরপুরের কাঁচাবাজারগুলোতে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম। এখনও চওড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটো, ফুলকপি, বেগুন এবং মুলার মতো সবজি। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম। মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন সবজির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ওই অর্থে খুব বেশি বাড়েনি। ব্যবসায়ীদের দাবি নাকচ করে ভোক্তারা বলছেন, শীতকালীন প্রায় সকল ধরনের সবজির কেজি ৪০ টাকার ওপরে। মেহেরপুরে এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। যা মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারের চাহিদা মিটিয়েও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। তারপরেও দাম কমেনি।
সরেজমিনে জেলার গাংনী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, ওলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, টমেটো ১ শ টাকা, পালংশাক ৬০ এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে লাউ ৩০ টাকা, শসা ৩০-৫০, চিচিঙ্গা ৫০, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৪০, পেঁপে ২০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০, ঢেঁড়স ৪০ ও ওলকচু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মেহেরপুর বড় বাজার তহবাজার, কেদারগঞ্জ, বারাদী, আমঝুপি, বামুন্দী, বাওট, কাজীপুর, ভাটপাড়া, সাহারবাটি, তেঁতুলবাড়ীয়া, বাগোয়ান, দারিয়াপুর, মহাজনপুর, সোনাপুর, পিরোজপুর, মাইলমারী, করমদীসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাটবাজারেও সকল ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সবজি বিক্রেতা মুছাব আলী বলেন, ‘বাজারে আসলে যেসব সবজি আসছে, সেগুলো মেহেরপুর আড়ত থেকে আমাদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে খুচরায়ও দাম বেশি। এছাড়া শীতকালীন সবজি দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে সরবরাহ খুব বাড়েনি।’ এদিকে সবজি ছাড়াও মুরগি এবং ডিমের দামও চাঙ্গা এক প্রকার বলতে গেলে শীতকালীন সবজি, ডিম, মুরগী এবং সকল ধরনের মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দেশি মুরগির দামও বেড়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের। গত সপ্তাহের মতোই একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
কয়েকজন মুরগী বিক্রেতা জানান, মুরগীর সরবরাহ কম। তাই দামেও বেশি। খামারীরা বলছেন, তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদের বেশি দামে মুরগি সরবরাহ দিচ্ছেন। একই কারণে ডিমেরও দামও বাড়তি। মজির উদ্দীন নামের একজন ক্রেতা জানান, বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে, দাম বাড়েনি। এতে আমাদের মতো গরীব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজার মনিটরিং না থাকার ফলে দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।