ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে, নির্মাণ শ্রমিক হাসপাতালে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, বারাদী:
কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই চলছে মেহেরপুর সদরের বারাদী বাজরের সংলগ্ন মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। আর এই নির্মাণ কাজ করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তুষার (২৬) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক। গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত তুষার আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার গহরপুর গ্রামের মকলেছ আলীর ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ভবনের একেবারে কোল ঘেঁষে রয়েছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার। সেখানে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই চলছিল ভবনের তৃতীয় তলার নির্মাণকাজ। গতকাল সকালে নির্মাণ শ্রমিকরা তৃতীয় তলার ছাদে রড বাঁধায়ের কাজ করছিলেন। এসময় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত স্টিলের টেপ (ফিতা) দিয়ে মাপজোকের সময় অসাবধানতা বসত টেপটি তারের উপর পড়লে তুষার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দ্বিতীয় তলার সিঁড়িঘরের ওপর ছিটকে পড়েন। ফলে প্রাণে রক্ষা পেলেও তার বাম পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিদ্যালয়ের নৈশকালীন পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত কাজী কচি বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, তবে পরে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কথা শুনলাম। তুষারের সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারের চিকিৎসকের কাছে নিলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্তীরা তাকে নিয়ে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বারাদীতে কর্মরত লাইন টেকনিশিয়ান ওলিয়ার রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের নিরাপত্তার সুবিধার্থে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাতে পারতো। জানালে হয়তো কাজের সময় ওই দিকের বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যেত। বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে, নির্মাণ শ্রমিক হাসপাতালে!

আপলোড টাইম : ১০:২১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

প্রতিবেদক, বারাদী:
কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই চলছে মেহেরপুর সদরের বারাদী বাজরের সংলগ্ন মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। আর এই নির্মাণ কাজ করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তুষার (২৬) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক। গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত তুষার আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার গহরপুর গ্রামের মকলেছ আলীর ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ভবনের একেবারে কোল ঘেঁষে রয়েছে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার। সেখানে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই চলছিল ভবনের তৃতীয় তলার নির্মাণকাজ। গতকাল সকালে নির্মাণ শ্রমিকরা তৃতীয় তলার ছাদে রড বাঁধায়ের কাজ করছিলেন। এসময় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত স্টিলের টেপ (ফিতা) দিয়ে মাপজোকের সময় অসাবধানতা বসত টেপটি তারের উপর পড়লে তুষার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দ্বিতীয় তলার সিঁড়িঘরের ওপর ছিটকে পড়েন। ফলে প্রাণে রক্ষা পেলেও তার বাম পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিদ্যালয়ের নৈশকালীন পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত কাজী কচি বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, তবে পরে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কথা শুনলাম। তুষারের সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারের চিকিৎসকের কাছে নিলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্তীরা তাকে নিয়ে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বারাদীতে কর্মরত লাইন টেকনিশিয়ান ওলিয়ার রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের নিরাপত্তার সুবিধার্থে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাতে পারতো। জানালে হয়তো কাজের সময় ওই দিকের বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যেত। বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।