ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সড়ক দুর্ঘটনা নয়, তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষের ধাওয়া ও হামলায় সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি সাইদুজ্জামান মুরাদসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ভিপি মুরাদের পিতা বদিউজ্জামান বিশ^াস বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আজমের আদালতে এই মামলা (জিআর ৬৮৫/২২) করেন। মামলায় ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানসহ ২০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ডিভিএম ডিগ্রির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে হঠাৎ করেই বিরোধ শুরু হয় কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সাইদুজ্জামান মুরাদ ও জিএস সজিবুল হাসানের সাথে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম হাসান সনির। বিষয়টি মীমাংসা করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাগর হোসেন সোহাগ গত শুক্রবারে (৭ অক্টোবর) রাতে সবাইকে শহরে ডাকেন। এসময় তারা এ নেতার সাথে দেখা করে ক্যাম্পাসে ফিরছিল। পথের মধ্যে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরবাথান সংলগ্ন জোহান পার্কের সামনে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আসামি ইকরামুল ইসলাম ভিপি মুরাদ ও তার সহপাঠীদের চা-পানের আহ্বান করেন। সেখান থেকে চা পান শেষে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে ওঁৎ পেতে থাকে আসামিরা হামলা চালায়। হামলায় কলেজের জিএস সজিবুলসহ দুইজনকে কুপিয়ে জখম করে।

এসময় কলেজের ভিপি মুরাদসহ ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও সমরেশ বিশ^াস মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানের নির্দেশে উক্ত আসামিরা ধাওয়া করে আঠারমাইল নামক স্থানে নিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে মারা যাওয়ার ঘটনা প্রচার করে আসামিরা। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মামলার বাদী কলেজের ভিপি ভিপি মুরাদের বাবা বদিউজ্জামান বিশ^াস অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘রাজনৈতিক হয়রানি ও পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি এ সকল ঘটনার সাথে জড়িত নয়।’ আদালতে বাদীর পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

‘সড়ক দুর্ঘটনা নয়, তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’

আপলোড টাইম : ০৯:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষের ধাওয়া ও হামলায় সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি সাইদুজ্জামান মুরাদসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ভিপি মুরাদের পিতা বদিউজ্জামান বিশ^াস বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আজমের আদালতে এই মামলা (জিআর ৬৮৫/২২) করেন। মামলায় ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানসহ ২০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ডিভিএম ডিগ্রির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে হঠাৎ করেই বিরোধ শুরু হয় কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সাইদুজ্জামান মুরাদ ও জিএস সজিবুল হাসানের সাথে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম হাসান সনির। বিষয়টি মীমাংসা করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাগর হোসেন সোহাগ গত শুক্রবারে (৭ অক্টোবর) রাতে সবাইকে শহরে ডাকেন। এসময় তারা এ নেতার সাথে দেখা করে ক্যাম্পাসে ফিরছিল। পথের মধ্যে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরবাথান সংলগ্ন জোহান পার্কের সামনে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আসামি ইকরামুল ইসলাম ভিপি মুরাদ ও তার সহপাঠীদের চা-পানের আহ্বান করেন। সেখান থেকে চা পান শেষে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে ওঁৎ পেতে থাকে আসামিরা হামলা চালায়। হামলায় কলেজের জিএস সজিবুলসহ দুইজনকে কুপিয়ে জখম করে।

এসময় কলেজের ভিপি মুরাদসহ ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম ও সমরেশ বিশ^াস মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানের নির্দেশে উক্ত আসামিরা ধাওয়া করে আঠারমাইল নামক স্থানে নিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে মারা যাওয়ার ঘটনা প্রচার করে আসামিরা। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মামলার বাদী কলেজের ভিপি ভিপি মুরাদের বাবা বদিউজ্জামান বিশ^াস অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘রাজনৈতিক হয়রানি ও পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি এ সকল ঘটনার সাথে জড়িত নয়।’ আদালতে বাদীর পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম।