ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বহিস্কার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতিসহ ৭ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও সংগঠন পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম হাসান সানি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ^াস হাদিউজ্জামান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাব্বি (অর্ক), ছাত্রলীগের কর্মী ফরহাদ-১, মুস্তাকিম, ফরহাদ-২ ও নিয়নকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হলো এবং স্থানীয়ভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হলো।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের ফাহিম হাসান সানি গ্রুপের ধাওয়া ও রাম দায়ের কোপ খেয়ে পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘনায় নিহত হন ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি ও সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে সাইদুজ্জামান মুরাদ বিশ^াস (২৫), ছাত্রলীগ কর্মী ও ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ^রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৫) এবং যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পালদিয়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র বিশ^াসের ছেলে সমরেশ চন্দ্র বিশ^াস (২৩)।

এ নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান উল্লেখিত ৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনায় ভেটেরিনারি কলেজের জিএস সজিব হাসানকে ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দ্বী সানি ও আরিফ গ্রুপ কুপিয়ে জখম করে। তিনি বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ নয়ন ও সংগ্রাম নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গত শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা।

এদিকে মুরাদের স্ত্রী সুমি খাতুন অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কারণ তার স্বামী এমপি গ্রুপের আবু সুমন বিশ^াসের সঙ্গে দল করত। তিনি বলেন, এটা দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। এর আগেও তার স্বামীকে হত্যার ছক করা হয়। ছাত্রলীগের ট্রেন্ডে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে হেনস্তা করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বহিস্কার

আপলোড টাইম : ১২:১৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতিসহ ৭ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও সংগঠন পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম হাসান সানি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ^াস হাদিউজ্জামান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাব্বি (অর্ক), ছাত্রলীগের কর্মী ফরহাদ-১, মুস্তাকিম, ফরহাদ-২ ও নিয়নকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হলো এবং স্থানীয়ভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হলো।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের ফাহিম হাসান সানি গ্রুপের ধাওয়া ও রাম দায়ের কোপ খেয়ে পালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘনায় নিহত হন ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ভিপি ও সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে সাইদুজ্জামান মুরাদ বিশ^াস (২৫), ছাত্রলীগ কর্মী ও ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ^রপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৫) এবং যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পালদিয়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র বিশ^াসের ছেলে সমরেশ চন্দ্র বিশ^াস (২৩)।

এ নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান উল্লেখিত ৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনায় ভেটেরিনারি কলেজের জিএস সজিব হাসানকে ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দ্বী সানি ও আরিফ গ্রুপ কুপিয়ে জখম করে। তিনি বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ নয়ন ও সংগ্রাম নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গত শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা।

এদিকে মুরাদের স্ত্রী সুমি খাতুন অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কারণ তার স্বামী এমপি গ্রুপের আবু সুমন বিশ^াসের সঙ্গে দল করত। তিনি বলেন, এটা দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। এর আগেও তার স্বামীকে হত্যার ছক করা হয়। ছাত্রলীগের ট্রেন্ডে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে হেনস্তা করা হয়।