ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ^াসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মণ্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামিরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামিরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হলে বেশি খুশি হতাম। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি।’ ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার দ্রুত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা

আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ^াসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মণ্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামিরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামিরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হলে বেশি খুশি হতাম। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি।’ ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার দ্রুত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।