সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা পর্নগ্রাফি মামলার আসামি উপহার মিয়াকে (৩৫) ঢাকার একটি কোম্পানির অফিস থেকে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত উপহার মিয়া গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের ক্লাবপাড়া এলাকার হকার জেলের ছেলে। স্থানীয়রা তাকে টিকটকার হিসেবে চেনেন বলে জানা গেছে। গত রোববার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়ার ডেকো গার্মেন্টস থেকে র‌্যাবের সহযোগিতায় গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে গাংনী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত উপহার মিয়ার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী পর্নগ্রাফি আইন ২০১২ এর ৮(১) (২) (৩) (৭) ধারায় মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৩৯২/২২ ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) তুষার সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় আশুলিয়া র‌্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে গাংনী থানায় নিয়ে আসেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ও ভিকটিম স্বামী-স্ত্রী। তারা স্বামী-স্ত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ের অন্তরঙ্গ কিছু ভিডিও ধারণ ও ছবি উত্তোলন করে রাখে তার স্বামী উপহার মিয়া। কিছুদিন পর থেকে অর্থ আদায়ের জন্য ব্লাকমেইল করে। একপর্যায়ে উপহার মিয়া ও তার কথিত প্রেমিকা শিরিনা তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তার সেই দাবিকৃত টাকা না দিতে চাইলে ভিকটিমের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের কাছে পূর্বের স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপস ও ছবি ম্যাসেঞ্জার ও ইমোতে দিয়ে ব্লাকমেইল শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্বামীর কাছে গিয়ে নানাভাবে অনুরোধ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এছাড়া ভিকটিমের নামে ভূঁয়া টিকটক আইডি খুলে মোবাইল নম্বর দিয়ে আপত্তিকর ছবি আপলোড করে তারা। ভিকটিমের মোবাইল নম্বরটিও সেখানে দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানান। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।