ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতের আধারে নিমার্ণাধীণ বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জমি দখলকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে নিমার্ণাধীণ বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ায় সোনামিয়ার বাগান খ্যাত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঐ এলাকায় বসবাসকারী ২০ পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। রাতেই এলাকাবাসী একজোট হয়ে মেহেরপুর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি মেহেরপুর থানা পুলিশ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে মেহেরপুর থানা পুলিশের দাবি তাদের চিকিৎসা নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত ৪ বছর আগে রোলেক্সের কাছ থেকে ২০টি পরিবার সোনার মিয়ার বাগানে জমি কিনে বসবাস করছে। কয়েক দিন আগে রোলেক্সের চাচাতো দাদা সোনা মিয়ার লোকজন এসকল পরিবারকে উঠে যাবার জন্য হুমকি দেন। এরপর গত শুক্রবার রাতে দেশি অস্ত্রসহ ফারুকের নেতৃত্বে লিপু, রানা, রনকসহ একদল সন্ত্রসী মনির বাড়িতে হামলা করে বাড়ি গুড়িয়ে দেয়। এসময় এলাকার নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও লাঞ্চিত করে। পরে মেহেরপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর এলাকাবাসী থানায় আভিযোগ নিয়ে গেলে অভিযোগ না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে মেহেরপুর থানা পুলিশ। তারা আরো বলেন, আমরা এখানে জমি কিনে বিপদে পড়েছি। হামলার ভয়ে বাড়ির নারী ও শিশুরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

সোনা মিয়ার ছেলে মবিন উদ্দিন ডিউ বলেন, রোলেক্স ও তার চাচা ঘটন জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা করে। আমরা আদালতে মামলা দিলে আদালত এ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু রোলেক্স সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইন ভেঙ্গে ২০টি পরিবারের কাছে জমি বিক্রি করে। আমরা তাদের জমি নিতে নিষেধ করলেও তারা জমি নেন। তাই আমরাও গতরাতে একটি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি।
রোলেক্স বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোনা মিয়া ও তার ছেলে বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। তখন আমরা আমাদের দখলের জমি রক্ষা করার জন্য ২০টি দরিদ্র পরিবারকে সেখানে থাকার জায়গা করে দিয়েছ। তাদের উচ্ছেদ করার জন্য এ হামলা করা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পর পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তবে সেখানে কয়েকজন নারী ছাড়া কাউকে পাইনি। এরপর শুক্রবার রাতেই কিছু নারী থানায় অভিযোগের জন্য আসে। আমি তাদের হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি। আজ (গতকাল)বিকালের দিকে হয়তো তারা আসবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

রাতের আধারে নিমার্ণাধীণ বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জমি দখলকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে নিমার্ণাধীণ বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ায় সোনামিয়ার বাগান খ্যাত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঐ এলাকায় বসবাসকারী ২০ পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। রাতেই এলাকাবাসী একজোট হয়ে মেহেরপুর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি মেহেরপুর থানা পুলিশ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে মেহেরপুর থানা পুলিশের দাবি তাদের চিকিৎসা নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত ৪ বছর আগে রোলেক্সের কাছ থেকে ২০টি পরিবার সোনার মিয়ার বাগানে জমি কিনে বসবাস করছে। কয়েক দিন আগে রোলেক্সের চাচাতো দাদা সোনা মিয়ার লোকজন এসকল পরিবারকে উঠে যাবার জন্য হুমকি দেন। এরপর গত শুক্রবার রাতে দেশি অস্ত্রসহ ফারুকের নেতৃত্বে লিপু, রানা, রনকসহ একদল সন্ত্রসী মনির বাড়িতে হামলা করে বাড়ি গুড়িয়ে দেয়। এসময় এলাকার নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও লাঞ্চিত করে। পরে মেহেরপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর এলাকাবাসী থানায় আভিযোগ নিয়ে গেলে অভিযোগ না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে মেহেরপুর থানা পুলিশ। তারা আরো বলেন, আমরা এখানে জমি কিনে বিপদে পড়েছি। হামলার ভয়ে বাড়ির নারী ও শিশুরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

সোনা মিয়ার ছেলে মবিন উদ্দিন ডিউ বলেন, রোলেক্স ও তার চাচা ঘটন জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা করে। আমরা আদালতে মামলা দিলে আদালত এ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু রোলেক্স সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইন ভেঙ্গে ২০টি পরিবারের কাছে জমি বিক্রি করে। আমরা তাদের জমি নিতে নিষেধ করলেও তারা জমি নেন। তাই আমরাও গতরাতে একটি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি।
রোলেক্স বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোনা মিয়া ও তার ছেলে বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। তখন আমরা আমাদের দখলের জমি রক্ষা করার জন্য ২০টি দরিদ্র পরিবারকে সেখানে থাকার জায়গা করে দিয়েছ। তাদের উচ্ছেদ করার জন্য এ হামলা করা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পর পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তবে সেখানে কয়েকজন নারী ছাড়া কাউকে পাইনি। এরপর শুক্রবার রাতেই কিছু নারী থানায় অভিযোগের জন্য আসে। আমি তাদের হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি। আজ (গতকাল)বিকালের দিকে হয়তো তারা আসবে।