ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, আদালতে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নম্বর ৫২৬/২২। গতকা বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে তিনজন অভিভাবক সদস্য বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিত আদেশ চেয়ে এই মামলা দায়ের করেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তারা হলেন- রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি হাসানুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মুহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের যোগসাজোসে গভর্নিং বডির নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা না করেই গড়িমিসি করে নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। অন্যদিকে কলেজ শাখার দ্বাদশ শ্রেণির ৬৭ জন শিক্ষার্থীর কারো অভিভাবককে ভোটার তালিকায় রাখা হয়নি। বিধি মোতাবেক একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অভিবাবকগণের ভোটে একাদশ শ্রেণির দুজন অভিভাবক সদস্য নিযুক্ত হবেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অন্তত ১০ দিন পর বির্নাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি ম্যানডেটরি অথচ ৭ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ায় নির্বাচনী তফশিল অবৈধ। ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে তাদের পছন্দমতো লোকজনকে অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়নের জন্য সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেনি। যেখানে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ছাত্র সংখ্যা ৬০০ এর ঊর্ধ্বে, সেখানে চূড়ান্ত প্রকাশিত তালিকায় অভিভাবক ভোটারের সংখ্যা ৫০০ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ১ জন অভিভাবককেউ ভোটার তালিকায় অন্তুর্ভূক্ত করেনি। যার ফলে অবৈধ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে অভিভাবক ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে স্পষ্ট নির্বাচন সম্ভব নয় বলে নির্বাচনী কার্যাক্রম স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

অভিযোগকারী আবু বক্কর জানান, বিদ্যালয়ের অভিভাবক ভোটার তালিকা অবৈধ। আবার সঠিক নিয়মে নির্বাচন হচ্ছে না। সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে নিজেদের পছন্দমতো সদস্য করার জন্য প্রায় দুইশত অভিভাবক ভোটারকে বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তারা তড়িঘড়ি করে গর্ভনিং বডির নির্বাচন দিতে চাইছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আনারুল কবির রণ্টু বলেন, অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৮০ দিন আগে ভোটার কার্যক্রম শুরু করতে হয়। কিন্তু উনারা ভোটের কার্যক্রম শুরু করেছেন ০৭-০৯-২২ তারিখে, যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ০২-১০-২২ তারিখ, এখানে একটা বড় অনিয়ম। আবার তফসিল ঘোষণার ১০ দিন পর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হয়। এরকম বিভিন্ন অনিয়ম করে তারা এই নির্বাচন করতে চাচ্ছিলেন। এই অনিয়মের আলোকে আমরা উচ্চআদলতে শুনানি করলে আদালত ৭ দিনের শোকজ করেছেন। উনারা এসে জবাব দিবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, আদালতে মামলা

আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নম্বর ৫২৬/২২। গতকা বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে তিনজন অভিভাবক সদস্য বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিত আদেশ চেয়ে এই মামলা দায়ের করেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তারা হলেন- রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি হাসানুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মুহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের যোগসাজোসে গভর্নিং বডির নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা না করেই গড়িমিসি করে নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। অন্যদিকে কলেজ শাখার দ্বাদশ শ্রেণির ৬৭ জন শিক্ষার্থীর কারো অভিভাবককে ভোটার তালিকায় রাখা হয়নি। বিধি মোতাবেক একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অভিবাবকগণের ভোটে একাদশ শ্রেণির দুজন অভিভাবক সদস্য নিযুক্ত হবেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অন্তত ১০ দিন পর বির্নাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি ম্যানডেটরি অথচ ৭ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ায় নির্বাচনী তফশিল অবৈধ। ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে তাদের পছন্দমতো লোকজনকে অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়নের জন্য সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে স্পষ্ট ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেনি। যেখানে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ছাত্র সংখ্যা ৬০০ এর ঊর্ধ্বে, সেখানে চূড়ান্ত প্রকাশিত তালিকায় অভিভাবক ভোটারের সংখ্যা ৫০০ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ১ জন অভিভাবককেউ ভোটার তালিকায় অন্তুর্ভূক্ত করেনি। যার ফলে অবৈধ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে অভিভাবক ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে স্পষ্ট নির্বাচন সম্ভব নয় বলে নির্বাচনী কার্যাক্রম স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

অভিযোগকারী আবু বক্কর জানান, বিদ্যালয়ের অভিভাবক ভোটার তালিকা অবৈধ। আবার সঠিক নিয়মে নির্বাচন হচ্ছে না। সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে নিজেদের পছন্দমতো সদস্য করার জন্য প্রায় দুইশত অভিভাবক ভোটারকে বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তারা তড়িঘড়ি করে গর্ভনিং বডির নির্বাচন দিতে চাইছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আনারুল কবির রণ্টু বলেন, অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৮০ দিন আগে ভোটার কার্যক্রম শুরু করতে হয়। কিন্তু উনারা ভোটের কার্যক্রম শুরু করেছেন ০৭-০৯-২২ তারিখে, যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ০২-১০-২২ তারিখ, এখানে একটা বড় অনিয়ম। আবার তফসিল ঘোষণার ১০ দিন পর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হয়। এরকম বিভিন্ন অনিয়ম করে তারা এই নির্বাচন করতে চাচ্ছিলেন। এই অনিয়মের আলোকে আমরা উচ্চআদলতে শুনানি করলে আদালত ৭ দিনের শোকজ করেছেন। উনারা এসে জবাব দিবেন।