ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাইডাঙ্গায় গৃহবধূর আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি হত্যা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, বারাদী: মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামে সীমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যাকারী সীমা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী গ্রামের মরহুম আব্বাস আলীর মেয়ে।

জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে কলাইডাঙ্গা গ্রামের মোল্লাপাড়ার রেজাউল হকের ছেলে কাওসার আলীর সঙ্গে সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। ১৩ দিন আগে কাউসার দম্পতি পিতা-মাতার সাথে পৃথক হয়। গত সোমবার সীমা খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে সীমা ও কাওসারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সীমা খাতুন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে কুষ্টিয়ায় নেওয়ার পথে সীমা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন।

এবিষয়ে সীমা খাতুনের মা কমেলা খাতুন অভিযোগ তুলে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার জামাই ও মেয়ের শাশুড়ী বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সার জন্য মেয়েকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করত। এ পর্যন্ত আমি জামাইকে প্রায় ৪ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমি মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না।’ তিনি হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার জামাই ও বিয়ান মিলে আমার মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে।’

এ ব্যাপারে নিহত সীমা খাতুনের স্বামী কাউসারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বারাদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কলাইডাঙ্গায় গৃহবধূর আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি হত্যা!

আপলোড টাইম : ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, বারাদী: মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামে সীমা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যাকারী সীমা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী গ্রামের মরহুম আব্বাস আলীর মেয়ে।

জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে কলাইডাঙ্গা গ্রামের মোল্লাপাড়ার রেজাউল হকের ছেলে কাওসার আলীর সঙ্গে সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। ১৩ দিন আগে কাউসার দম্পতি পিতা-মাতার সাথে পৃথক হয়। গত সোমবার সীমা খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে সীমা ও কাওসারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সীমা খাতুন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে কুষ্টিয়ায় নেওয়ার পথে সীমা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন।

এবিষয়ে সীমা খাতুনের মা কমেলা খাতুন অভিযোগ তুলে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার জামাই ও মেয়ের শাশুড়ী বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সার জন্য মেয়েকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করত। এ পর্যন্ত আমি জামাইকে প্রায় ৪ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও আমি মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না।’ তিনি হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার জামাই ও বিয়ান মিলে আমার মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে।’

এ ব্যাপারে নিহত সীমা খাতুনের স্বামী কাউসারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বারাদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’