ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোড়া খুনের ১৭ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরে গাংনীতে তহিদুল ইসলাম ও বাহাজেল হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে বাদল জেলহাজতে রয়েছেন এবং আলামিন হোসেন ও হাশেম আলী পলাতক রয়েছেন। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে তহিদুল ইসলাম গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়ায় বাহাজেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা একটি চৌকির ওপর বসে গল্প করছিলেন। এসময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের দেখে তহিদুল ইসলাম পালিয়ে গিয়ে একটি ঘরের কোনে অবস্থান নেয়। সন্ত্রাসীরা তাকে না পেয়ে বাহাজেলকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের ভারতের সীমান্তে তহিদুলের লাশ পাওয়া যায়। এদিকে বাহাজেলকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারি গাংনী থানায় ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম। ওই মামলায় ২০০৫ সালের ৮ মে ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন গাংনী থানার এসআই মেজবাহ উদ্দীন আহম্মেদ ও এসআই আনোয়ার আলম আজাদ। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. কাজী শহিদুল ইসলাম ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জোড়া খুনের ১৭ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরে গাংনীতে তহিদুল ইসলাম ও বাহাজেল হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে বাদল জেলহাজতে রয়েছেন এবং আলামিন হোসেন ও হাশেম আলী পলাতক রয়েছেন। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে তহিদুল ইসলাম গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়ায় বাহাজেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা একটি চৌকির ওপর বসে গল্প করছিলেন। এসময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের দেখে তহিদুল ইসলাম পালিয়ে গিয়ে একটি ঘরের কোনে অবস্থান নেয়। সন্ত্রাসীরা তাকে না পেয়ে বাহাজেলকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের ভারতের সীমান্তে তহিদুলের লাশ পাওয়া যায়। এদিকে বাহাজেলকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারি গাংনী থানায় ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম। ওই মামলায় ২০০৫ সালের ৮ মে ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন গাংনী থানার এসআই মেজবাহ উদ্দীন আহম্মেদ ও এসআই আনোয়ার আলম আজাদ। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. কাজী শহিদুল ইসলাম ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. এ কে এম শফিকুল আলম।