ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণ দেয়ার কথা বলে জামানত নিয়ে উধাও এনজিও

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন গ্রামে ঋণ দেওয়ার কথা বলে জামানতের কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে একটি প্রতারক চক্র। পল্লী উন্নয়ন সমিতির ব্যানারে মেহেরপুরের গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে অফিস খুলে বসে তারা। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে জামানতের টাকা নিয়ে রাতারাতি আত্মগোপন করে তারা। সমিতির ব্যবস্থাপক ও সদস্যদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব না হলেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গাংনীর আকুবপুর গ্রামের কাজলী খাতুন জানান, এ উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খুলে বসেন আশিক নামের এক যুবক। নিজেকে পল্লী উন্নয়ন সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে একটি সাইনবোর্ড সর্বস্ব অফিস খুলে বিভিন্ন গ্রামে সমিতি গঠন করা শুরু করেন। ইতঃমধ্যে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে জামানত হিসেবে নেওয়া হয় ১০ হাজার ৫ শ টাকা, একই হারে দিপুর স্ত্রী মাবিয়া খাতুন, সজিবের স্ত্রী সজনি খাতুন, কুরবান আলীর স্ত্রী স্বপ্না, লাল্টুর স্ত্রী পপি খাতুনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন দেয়ার কথা বলে পাঁচ হাজার ৫ শ টাকা, রাশিদুলের স্ত্রী রেবেকা খাতুনের সাথে দেড় হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা উত্তোলন করে। এক সপ্তাহ পর ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে অফিসে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোন করেন আশিক ও তাঁর সহকর্মীরা। পরে ভুক্তভোগীরা সমিতির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ছাতিয়ান গ্রামে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। এবং আশিকের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। শুধু আকুবপুর গ্রামেই নয়, উপজেলার মটমুড়া, বাওট, মহম্মদপুর গ্রামের অন্তত দেড় শতাধিক নারীদের সাথে টাকা উত্তোলন করে প্রতারক চক্রটি।

ভুক্তভোগী স্বপ্না খাতুন জানান, ‘সাপ্তাহিক দেড় হাজার টাকা সুদের ওপর সাড়ে ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় আশিকের হাতে। এখন অফিস ও মোবাইল দুটোই বন্ধ। আমি এখন কী করে ধারের টাকা পরিশোধ করব, তা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েছি।’ এবিষয়ে কথিত শাখা ব্যবস্থাপক শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৯১৭৫৬৯৭২৬ ও ০১৯১৬৭৬৫৮০২ এ কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে। সমিতির কার্যালয় গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতারণার শিকার গ্রাহকগণ।

এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আত্মগোপনে থাকা সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক শাহিনকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঋণ দেয়ার কথা বলে জামানত নিয়ে উধাও এনজিও

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন গ্রামে ঋণ দেওয়ার কথা বলে জামানতের কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে একটি প্রতারক চক্র। পল্লী উন্নয়ন সমিতির ব্যানারে মেহেরপুরের গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে অফিস খুলে বসে তারা। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে জামানতের টাকা নিয়ে রাতারাতি আত্মগোপন করে তারা। সমিতির ব্যবস্থাপক ও সদস্যদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব না হলেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গাংনীর আকুবপুর গ্রামের কাজলী খাতুন জানান, এ উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খুলে বসেন আশিক নামের এক যুবক। নিজেকে পল্লী উন্নয়ন সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে একটি সাইনবোর্ড সর্বস্ব অফিস খুলে বিভিন্ন গ্রামে সমিতি গঠন করা শুরু করেন। ইতঃমধ্যে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে জামানত হিসেবে নেওয়া হয় ১০ হাজার ৫ শ টাকা, একই হারে দিপুর স্ত্রী মাবিয়া খাতুন, সজিবের স্ত্রী সজনি খাতুন, কুরবান আলীর স্ত্রী স্বপ্না, লাল্টুর স্ত্রী পপি খাতুনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন দেয়ার কথা বলে পাঁচ হাজার ৫ শ টাকা, রাশিদুলের স্ত্রী রেবেকা খাতুনের সাথে দেড় হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা উত্তোলন করে। এক সপ্তাহ পর ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে অফিসে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোন করেন আশিক ও তাঁর সহকর্মীরা। পরে ভুক্তভোগীরা সমিতির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ছাতিয়ান গ্রামে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ। এবং আশিকের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। শুধু আকুবপুর গ্রামেই নয়, উপজেলার মটমুড়া, বাওট, মহম্মদপুর গ্রামের অন্তত দেড় শতাধিক নারীদের সাথে টাকা উত্তোলন করে প্রতারক চক্রটি।

ভুক্তভোগী স্বপ্না খাতুন জানান, ‘সাপ্তাহিক দেড় হাজার টাকা সুদের ওপর সাড়ে ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় আশিকের হাতে। এখন অফিস ও মোবাইল দুটোই বন্ধ। আমি এখন কী করে ধারের টাকা পরিশোধ করব, তা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েছি।’ এবিষয়ে কথিত শাখা ব্যবস্থাপক শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৯১৭৫৬৯৭২৬ ও ০১৯১৬৭৬৫৮০২ এ কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে। সমিতির কার্যালয় গুটিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতারণার শিকার গ্রাহকগণ।

এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আত্মগোপনে থাকা সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক শাহিনকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।