ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীকে স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতাকে অভিভাবক সদস্য প্রধান শিক্ষকের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: কলেজে পুড়য়া ছাত্রীকে স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতাকে অভিভাবক সদস্য বানানো হয়েছে। এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আর এই জালিয়াতি, দূর্ণীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। ওই কমিটিতে স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের বিধিবহিভূুতভাবে সদস্য করা হলেও প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা সদস্য হতে পারেনি। ফলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত ও নির্বাচনের পূনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।

গতকাল শনিবার বিকেলে হরিণাকণ্ডুু উপজেলার ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, অভিভাবক সদস্য শামিম হোসেন। এসময় ইমদাদুল হক, মাহমুদ আলী, আজব আলী, মিস্টার, আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য অভিভাবক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আফরিন জাহান লিজা নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীকে কারিগরী শাখায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতা অহিদুল ইসলামকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তভুক্ত করেছেন। এছাড়া হরিণাকুণ্ডু সালেহা বেগম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী অনন্যা খাতুনকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতা রবজেল হোসেনকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। অথচ দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া ও শান্তা খাতুনের অভিভাবককে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এদিকে, এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে অভিভাবক জাভেদ ইকবাল বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ হরিণাকণ্ডু আদালতে দেঃ ২০৯/২২ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এডহক কমিটির সভাপতি হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক এবং অহিদুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তিন কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এবিষয়ে খলিশাকুণ্ডু গ্রামের নজরুল ইসলামও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে ফোন করা হলে তার মুঠোফানটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহনের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।

বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, এখনও মামলার কপি হাতে পায়নি, তবে মামলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আদালতে এবিষয়ে জবাব দেয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীকে স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতাকে অভিভাবক সদস্য প্রধান শিক্ষকের

আপলোড টাইম : ০২:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: কলেজে পুড়য়া ছাত্রীকে স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতাকে অভিভাবক সদস্য বানানো হয়েছে। এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। আর এই জালিয়াতি, দূর্ণীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। ওই কমিটিতে স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের বিধিবহিভূুতভাবে সদস্য করা হলেও প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা সদস্য হতে পারেনি। ফলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত ও নির্বাচনের পূনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।

গতকাল শনিবার বিকেলে হরিণাকণ্ডুু উপজেলার ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, অভিভাবক সদস্য শামিম হোসেন। এসময় ইমদাদুল হক, মাহমুদ আলী, আজব আলী, মিস্টার, আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য অভিভাবক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আফরিন জাহান লিজা নামের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীকে কারিগরী শাখায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতা অহিদুল ইসলামকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তভুক্ত করেছেন। এছাড়া হরিণাকুণ্ডু সালেহা বেগম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী অনন্যা খাতুনকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি দেখিয়ে তার পিতা রবজেল হোসেনকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। অথচ দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া ও শান্তা খাতুনের অভিভাবককে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এদিকে, এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে অভিভাবক জাভেদ ইকবাল বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ হরিণাকণ্ডু আদালতে দেঃ ২০৯/২২ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এডহক কমিটির সভাপতি হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক এবং অহিদুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তিন কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এবিষয়ে খলিশাকুণ্ডু গ্রামের নজরুল ইসলামও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে ফোন করা হলে তার মুঠোফানটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহনের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।

বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, এখনও মামলার কপি হাতে পায়নি, তবে মামলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আদালতে এবিষয়ে জবাব দেয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।