ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ইবি ছাত্রী নিশাত তাসনিম উর্মির মরদেহ উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নিশাত তাসনিম উর্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে মেহেরপুরের গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হত্যার পর হাসপাতালে এনে নাটক সাজিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এদিকে, উর্মীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। উর্মীর বাবা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত এজাহার দেন। এরপরপরই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আশিকুজ্জামান প্রিন্স গাংনী শহরের কাথুলি মোড় এলাকার বিশিষ্ট হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হাসেম শাহ’র ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়ার সময় গাংনীর পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হাসেম শাহর ছেলে আসফাকুজ্জামান প্রিন্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় উর্মির। পরে কলেজে উঠলে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১৩ মাস বয়সী একটা ছেলে সন্তান আছে।

উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গভীর রাতে বেয়াই হাসেম শাহ মোবাইল ফোনে জানান, মেয়ে উর্মির অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে উর্মীর ঘরের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়েছে বলে জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারি মেয়ে অনেক আগেই মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’

গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন বলেন, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উর্মীর বাবা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যার মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে ইবি ছাত্রী নিশাত তাসনিম উর্মির মরদেহ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৯:০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নিশাত তাসনিম উর্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে মেহেরপুরের গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হত্যার পর হাসপাতালে এনে নাটক সাজিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এদিকে, উর্মীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। উর্মীর বাবা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত এজাহার দেন। এরপরপরই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আশিকুজ্জামান প্রিন্স গাংনী শহরের কাথুলি মোড় এলাকার বিশিষ্ট হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হাসেম শাহ’র ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়ার সময় গাংনীর পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হাসেম শাহর ছেলে আসফাকুজ্জামান প্রিন্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় উর্মির। পরে কলেজে উঠলে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১৩ মাস বয়সী একটা ছেলে সন্তান আছে।

উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গভীর রাতে বেয়াই হাসেম শাহ মোবাইল ফোনে জানান, মেয়ে উর্মির অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে উর্মীর ঘরের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়েছে বলে জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারি মেয়ে অনেক আগেই মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’

গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন বলেন, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উর্মীর বাবা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যার মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।