ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যানের মুখে ঘুষি মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দিন ও তার লোকজনের সাথে ইউনিয়নের জামাল মেম্বার ও রহিম মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গত সোমবার রাতে চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন তার ইউনিয়নের (ভূমি) নায়েবকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুজিবর্ষের উপহার ভূমিহীন গৃহহীনদের ৪র্থ পর্যায়ের ঘর তৈরি করার জমি জরিপের জন্য এনায়েতপুর গ্রামে যান। জমি জরিপ শেষে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল ভূঁইয়া ও রহিম মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন। এনায়েতপুর বাগদিপাড়ায় ঘর বানানো হলে কারও কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে রহিম মেম্বারের ভাই আব্দুর রশিদ বলেন, অবশ্যই সমস্যা আছে। আপনিতো সব ঘর বরাদ্দের জন্যই টাকা-পয়সা ঘুষ নেন। আব্দুর রশিদের এমন মন্তব্যেই চেয়ারম্যন রেগে গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ চেযারম্যানের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে মুখের ওপর ঘুষি মারেন। মুহূর্তের মধ্যই উত্তেজনা ইউনিয়নব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন রহিম মেম্বার এবং তার ভাই আব্দুর রশিদকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এমনটিই মুঠোফোনে জানান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল ভূঁইয়া। তিনি আরও জানান, ‘চেয়ারম্যানকে অপমান করায় আমি রশিদকে সবার সামনে চড়-থাপ্পড় মেরেছি। কিন্তু এ বিষয়টি জানার জন্য ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌহিদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের আমাকে ডেকে আনেন। অথচ আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে একদল গুন্ডাবাহিনী আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাৎক্ষণিক নাজির চেয়ারম্যান এবং তার ভাই শুকুর আলী আমাকে সেভ করে।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘর নির্মাণের জন্য আমরা যখন জমি মাপামাপি করি, তখন রহিম মেম্বারের ভাই আব্দুর রশিদের জমির সীমানায় বেঁধে যাচ্ছে। সে কারণেই হয়ত সে আমার সম্পর্কে এরুপ মন্তব্য করেছে। তবে আমি আমার লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।’ এ ব্যাপারে আ. রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌহিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়।’ তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন দশমাইল বাজারে অবস্থিত আব্দুর রশিদের দুইতলা বাড়ি ভাঙচুর করার জন্য গেলে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে আব্দুর রশিদের আমবাগানের গেট ভাঙচুর হয়। এবং তাকে খুঁজে না পেয়ে তার গ্রামের বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এসএম শাহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি একটা জায়গা দেখে আসছি। তবে ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে টাকা-পয়সা নেওয়া এবং মারামারির ব্যাপারে আমি এখনো কোনো তথ্য পায়নি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যানের মুখে ঘুষি মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

আপলোড টাইম : ০৭:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দিন ও তার লোকজনের সাথে ইউনিয়নের জামাল মেম্বার ও রহিম মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গত সোমবার রাতে চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন তার ইউনিয়নের (ভূমি) নায়েবকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুজিবর্ষের উপহার ভূমিহীন গৃহহীনদের ৪র্থ পর্যায়ের ঘর তৈরি করার জমি জরিপের জন্য এনায়েতপুর গ্রামে যান। জমি জরিপ শেষে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল ভূঁইয়া ও রহিম মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন। এনায়েতপুর বাগদিপাড়ায় ঘর বানানো হলে কারও কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে রহিম মেম্বারের ভাই আব্দুর রশিদ বলেন, অবশ্যই সমস্যা আছে। আপনিতো সব ঘর বরাদ্দের জন্যই টাকা-পয়সা ঘুষ নেন। আব্দুর রশিদের এমন মন্তব্যেই চেয়ারম্যন রেগে গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ চেযারম্যানের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে মুখের ওপর ঘুষি মারেন। মুহূর্তের মধ্যই উত্তেজনা ইউনিয়নব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন রহিম মেম্বার এবং তার ভাই আব্দুর রশিদকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এমনটিই মুঠোফোনে জানান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল ভূঁইয়া। তিনি আরও জানান, ‘চেয়ারম্যানকে অপমান করায় আমি রশিদকে সবার সামনে চড়-থাপ্পড় মেরেছি। কিন্তু এ বিষয়টি জানার জন্য ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌহিদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের আমাকে ডেকে আনেন। অথচ আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে একদল গুন্ডাবাহিনী আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাৎক্ষণিক নাজির চেয়ারম্যান এবং তার ভাই শুকুর আলী আমাকে সেভ করে।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘর নির্মাণের জন্য আমরা যখন জমি মাপামাপি করি, তখন রহিম মেম্বারের ভাই আব্দুর রশিদের জমির সীমানায় বেঁধে যাচ্ছে। সে কারণেই হয়ত সে আমার সম্পর্কে এরুপ মন্তব্য করেছে। তবে আমি আমার লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।’ এ ব্যাপারে আ. রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌহিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়।’ তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন দশমাইল বাজারে অবস্থিত আব্দুর রশিদের দুইতলা বাড়ি ভাঙচুর করার জন্য গেলে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে আব্দুর রশিদের আমবাগানের গেট ভাঙচুর হয়। এবং তাকে খুঁজে না পেয়ে তার গ্রামের বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এসএম শাহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি একটা জায়গা দেখে আসছি। তবে ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে টাকা-পয়সা নেওয়া এবং মারামারির ব্যাপারে আমি এখনো কোনো তথ্য পায়নি।’