ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে কারাগারে মৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদের দাফন সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
কারাগারে মৃতবরণ করা মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নিহতর ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বেলা তিনটায় মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। মেহেরপুরের একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমানের করা চেক ডিজওনার মামলায় গত ৩০ মে তার ৮ মাসের সাজা হয়। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগারের নিজস্ব গাড়িতে করে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রাত আটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তোফায়েল আহম্মেদকে কারাক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেননি। এসময় তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

মেহেরপুর জেলা কারাগারের সুপার মোখলেসুর রহমান জানান, তোফায়েল আহমেদ একটি চেক ডিজওনার মামলার ৮ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় প্রতিদিন অনেক পরিমাণে ওষুধ সেবন করতেন।

নিহত তোফায়েল আহম্মেদের মেয়ে তাহমিন রুশদি বলেন, ‘আমার বাবা সাংবাদিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা সুদে ধার নিয়েছিলেন। আসল টাকা পরিশোধ করতে পারলেও সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। তাই উনার দায়ের করা মামলায় বাবার সাজা হয়। তিনি সুস্থ ছিলেন। কখন কীভাবে অসুস্থ হলো, আমরা জানি না। তার মৃত্যুর খবরও আমাদের জেলখানা থেকে জানানো হয়নি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফেসবুক ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাবার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। এরপর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আমার বাবার মৃতদেহ দেখতে পাই।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ বলেন, ‘সন্ধ্যায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, অথচ রাত ১০টার আমরা প্রাথমিক তথ্য পাচ্ছি। জেল কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জানানো। জেলা প্রশাসন, কারা কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটল। আমাদের জানালে আমরা সামর্থ্য মতো চেষ্টা করতে পারতাম।’

এদিকে, মরহুমের জানাযার নামাজে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস, মুজিবনগর বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে কারাগারে মৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদের দাফন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:
কারাগারে মৃতবরণ করা মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নিহতর ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বেলা তিনটায় মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। মেহেরপুরের একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমানের করা চেক ডিজওনার মামলায় গত ৩০ মে তার ৮ মাসের সাজা হয়। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগারের নিজস্ব গাড়িতে করে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রাত আটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তোফায়েল আহম্মেদকে কারাক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেননি। এসময় তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

মেহেরপুর জেলা কারাগারের সুপার মোখলেসুর রহমান জানান, তোফায়েল আহমেদ একটি চেক ডিজওনার মামলার ৮ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় প্রতিদিন অনেক পরিমাণে ওষুধ সেবন করতেন।

নিহত তোফায়েল আহম্মেদের মেয়ে তাহমিন রুশদি বলেন, ‘আমার বাবা সাংবাদিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা সুদে ধার নিয়েছিলেন। আসল টাকা পরিশোধ করতে পারলেও সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। তাই উনার দায়ের করা মামলায় বাবার সাজা হয়। তিনি সুস্থ ছিলেন। কখন কীভাবে অসুস্থ হলো, আমরা জানি না। তার মৃত্যুর খবরও আমাদের জেলখানা থেকে জানানো হয়নি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফেসবুক ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাবার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। এরপর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আমার বাবার মৃতদেহ দেখতে পাই।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ বলেন, ‘সন্ধ্যায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, অথচ রাত ১০টার আমরা প্রাথমিক তথ্য পাচ্ছি। জেল কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছিল অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জানানো। জেলা প্রশাসন, কারা কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটল। আমাদের জানালে আমরা সামর্থ্য মতো চেষ্টা করতে পারতাম।’

এদিকে, মরহুমের জানাযার নামাজে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস, মুজিবনগর বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।