ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর এক বছর পর আদালতে হাজিরা দিলেন নুর ইসলাম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের নুর ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হরেয় মারা যান ২০১২ সালের ১৫ জুন। অথচ ২০১৩ সালে আদালতে হাজির হয়ে ছলেনামায় স্বাক্ষর করেন। এমন এক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নওদাগ্রামে। মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে জমি আত্মসাতের জন্যই এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

নওদাগ্রামের মৃত তৈইজউদ্দীনের ছেলে কুরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বড় ভাই নুর ইসলাম ২০১২ সালে মারা গেলেও ২০১৩ সালে আদালতে হাজির হয়ে ছলেনামায় স্বাক্ষর করেন। জমি দখলের জন্য একই গ্রামের আইনদ্দীন নামে এক ব্যক্তি এই জালিয়াতির আশ্রয় নেয়।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কুরবান ও তাঁর পরিবার পৈত্রিক সূত্রে ১৭ শতক জমির মালিক। প্রভাবশালী আইনদ্দীন ও তার ভাইদের নজর পড়ে এই জমির ওপর। জাল দলিল করে জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। জমি দখলে নিতে ২০১৩ সালে প্রতারক আইনদ্দীন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত জমির প্রকৃত মালিক কোরবান আলীদের নামে নোটিশ জারি করলে সুচতুর আইনদ্দীন আদালতের নোটিশ গায়েব করে দেয়। আদালতের হাজিরার দিন আইনদ্দীন তার অনুগত লোকদের বিবাদী সাজিয়ে ২০১৩ সালের ১ জুলাই আদালতে হাজির করিয়ে কুরবানের সকল ভাই-বোন এমনকি মৃত ভাই নুর ইসলামের জাল স্বাক্ষর করে ছলেনামা করার চেষ্টা করে। কোটচাঁদপুর পৌরসভার মৃত্যু সনদ অনুযায়ী কোরবানের বড় ভাই নুর ইসলাম ২০১২ সালের ১৫ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও আইনদ্দীন জালিয়াতি করে ১৩ সালে হাজিরা নামায় স্বাক্ষর করায়।

কুরবান আলীর প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমার ভাই ২০১২ সালে মারা গেলে ২০১৩ সালে কীভাবে আদালতে হাজিরা দিলো?’ বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মৃত্যুর এক বছর পর আদালতে হাজিরা দিলেন নুর ইসলাম!

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের নুর ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হরেয় মারা যান ২০১২ সালের ১৫ জুন। অথচ ২০১৩ সালে আদালতে হাজির হয়ে ছলেনামায় স্বাক্ষর করেন। এমন এক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নওদাগ্রামে। মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে জমি আত্মসাতের জন্যই এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

নওদাগ্রামের মৃত তৈইজউদ্দীনের ছেলে কুরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বড় ভাই নুর ইসলাম ২০১২ সালে মারা গেলেও ২০১৩ সালে আদালতে হাজির হয়ে ছলেনামায় স্বাক্ষর করেন। জমি দখলের জন্য একই গ্রামের আইনদ্দীন নামে এক ব্যক্তি এই জালিয়াতির আশ্রয় নেয়।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কুরবান ও তাঁর পরিবার পৈত্রিক সূত্রে ১৭ শতক জমির মালিক। প্রভাবশালী আইনদ্দীন ও তার ভাইদের নজর পড়ে এই জমির ওপর। জাল দলিল করে জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। জমি দখলে নিতে ২০১৩ সালে প্রতারক আইনদ্দীন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত জমির প্রকৃত মালিক কোরবান আলীদের নামে নোটিশ জারি করলে সুচতুর আইনদ্দীন আদালতের নোটিশ গায়েব করে দেয়। আদালতের হাজিরার দিন আইনদ্দীন তার অনুগত লোকদের বিবাদী সাজিয়ে ২০১৩ সালের ১ জুলাই আদালতে হাজির করিয়ে কুরবানের সকল ভাই-বোন এমনকি মৃত ভাই নুর ইসলামের জাল স্বাক্ষর করে ছলেনামা করার চেষ্টা করে। কোটচাঁদপুর পৌরসভার মৃত্যু সনদ অনুযায়ী কোরবানের বড় ভাই নুর ইসলাম ২০১২ সালের ১৫ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও আইনদ্দীন জালিয়াতি করে ১৩ সালে হাজিরা নামায় স্বাক্ষর করায়।

কুরবান আলীর প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমার ভাই ২০১২ সালে মারা গেলে ২০১৩ সালে কীভাবে আদালতে হাজিরা দিলো?’ বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’