ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেমন আছেন মিঠুন-এলিজাবেথ দম্পত্তি?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: আড়াই মাসের প্রেমে ঝিনাইদহের মিঠুনের জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে আসেন মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ। পরিচয় থেকে প্রেম তারপর উড়াল দিয়ে এলিজাবেথ নিজেই মিঠুনের কাছে চলে আসেন। কালীগঞ্জের রাখালগাছি গ্রামে হয় তাঁদের জাকজমক বিয়ে। বিয়ের পর এলিজাবেথ দুইবার স্বামীর কাছে ছুটে এসে সংসার করে যান। তারপর এখন তাঁদের স্বর্ণযুগ। স্বামী মিঠুনকে আমেরিকার নাগরিত্ব দিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁর কাছে। দুজনই এখন চাকরি করেন। শুনতে সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও বাংলাদেশির প্রেমে ছুটে আসা এলিজাবেথ আর ১০ জন তরুণীর মতোই বিদেশী যুবতী।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মিঠুনের শৈশব কেটেছে দূরন্তপনায়। খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ থেকে বিবিএ পাস করে চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে কনস্ট্রাকশনের ওপর বিশেষ কোর্স শেষে দেশে ফিরে আসেন। সিঙ্গাপুরে থাকতে ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় মার্কিন তরুণী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সিটির রয় এমলিকের কন্যা এলিজাথের সঙ্গে। বন্ধুত্ব থেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মিঠুন ও এলিজাবেথ। তাঁদের কখনও দেখা মিলবে এমনটা কখনও ভাবেননি। মাত্র আড়াই মাসের প্রেমে এলিজাবেথ সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ছুটে আসেন বাংলাদেশে। এই অচেনা অজানা গ্রামীণ পরিবেশ পেয়ে মুগ্ধ হন তিনি। এ দেশীয় ও ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে খুলনার শালক এজি চার্চে তাদের বিয়ে হয় ওই বছরের ৯ জানুয়ারি।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, মিঠুনের পরিবার কৃষিনির্ভর ও তাঁরা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ছোটবেলা থেকে মিঠুন ভদ্র স্বভাবের ও লেখাপড়ায় অনেক মেধাবী ছিলেন। বিদেশি মেয়ে হলেও আচার-ব্যবহার বাঙালিদের মতো সাধাসিধে এলিজাবেথের। মিঠুনের বাবা নির্মল বিশ্বাস জানান, এলিজাবেথ খুব ভালো মেয়ে। বিদেশি পরিবেশে বড় হলেও সে অত্যন্ত মানবিক হৃদয়ের। এদেশে এসে সে দুই মাস করে থেকে গেছেন। সংসারের সবাই তার ওপর খুশি। বিয়ের ৫ বছর পার হলেও এখনও প্রতিদিন রাতে মোবাইলফোনে বাড়ির সবার খোঁজখবর নেয়। এলিজাবেথের মা-বাবা সন্তুষ্টি হয়ে ইতঃমধ্যে তাদের সবার জন্য উপহার-সামগ্রী পাঠিয়েছেন।

মিঠুনের বড় ভাই পলাশ জানান, আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশের স্টারলিং শহরে এলিজাবেথ-মিঠুন বসবাস করছেন। মিঠুন নাগরিকত্ব লাভ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মিঠুন বিশ্বাস জানান, ‘এখন আমরা সুখে-শান্তিতে সংসার করছি। এলিজাবেথ বাংলা বলতে শিখছে। বিয়ের আগে ওর পরিবার বাধা দিলেও এখন তারা এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন। এলিজাবেথের বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে সব সময় কথা হয়। তারাও এখন খুশি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কেমন আছেন মিঠুন-এলিজাবেথ দম্পত্তি?

আপলোড টাইম : ০৭:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: আড়াই মাসের প্রেমে ঝিনাইদহের মিঠুনের জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে আসেন মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ। পরিচয় থেকে প্রেম তারপর উড়াল দিয়ে এলিজাবেথ নিজেই মিঠুনের কাছে চলে আসেন। কালীগঞ্জের রাখালগাছি গ্রামে হয় তাঁদের জাকজমক বিয়ে। বিয়ের পর এলিজাবেথ দুইবার স্বামীর কাছে ছুটে এসে সংসার করে যান। তারপর এখন তাঁদের স্বর্ণযুগ। স্বামী মিঠুনকে আমেরিকার নাগরিত্ব দিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁর কাছে। দুজনই এখন চাকরি করেন। শুনতে সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও বাংলাদেশির প্রেমে ছুটে আসা এলিজাবেথ আর ১০ জন তরুণীর মতোই বিদেশী যুবতী।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মিঠুনের শৈশব কেটেছে দূরন্তপনায়। খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ থেকে বিবিএ পাস করে চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে কনস্ট্রাকশনের ওপর বিশেষ কোর্স শেষে দেশে ফিরে আসেন। সিঙ্গাপুরে থাকতে ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় মার্কিন তরুণী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সিটির রয় এমলিকের কন্যা এলিজাথের সঙ্গে। বন্ধুত্ব থেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মিঠুন ও এলিজাবেথ। তাঁদের কখনও দেখা মিলবে এমনটা কখনও ভাবেননি। মাত্র আড়াই মাসের প্রেমে এলিজাবেথ সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ছুটে আসেন বাংলাদেশে। এই অচেনা অজানা গ্রামীণ পরিবেশ পেয়ে মুগ্ধ হন তিনি। এ দেশীয় ও ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে খুলনার শালক এজি চার্চে তাদের বিয়ে হয় ওই বছরের ৯ জানুয়ারি।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, মিঠুনের পরিবার কৃষিনির্ভর ও তাঁরা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ছোটবেলা থেকে মিঠুন ভদ্র স্বভাবের ও লেখাপড়ায় অনেক মেধাবী ছিলেন। বিদেশি মেয়ে হলেও আচার-ব্যবহার বাঙালিদের মতো সাধাসিধে এলিজাবেথের। মিঠুনের বাবা নির্মল বিশ্বাস জানান, এলিজাবেথ খুব ভালো মেয়ে। বিদেশি পরিবেশে বড় হলেও সে অত্যন্ত মানবিক হৃদয়ের। এদেশে এসে সে দুই মাস করে থেকে গেছেন। সংসারের সবাই তার ওপর খুশি। বিয়ের ৫ বছর পার হলেও এখনও প্রতিদিন রাতে মোবাইলফোনে বাড়ির সবার খোঁজখবর নেয়। এলিজাবেথের মা-বাবা সন্তুষ্টি হয়ে ইতঃমধ্যে তাদের সবার জন্য উপহার-সামগ্রী পাঠিয়েছেন।

মিঠুনের বড় ভাই পলাশ জানান, আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশের স্টারলিং শহরে এলিজাবেথ-মিঠুন বসবাস করছেন। মিঠুন নাগরিকত্ব লাভ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মিঠুন বিশ্বাস জানান, ‘এখন আমরা সুখে-শান্তিতে সংসার করছি। এলিজাবেথ বাংলা বলতে শিখছে। বিয়ের আগে ওর পরিবার বাধা দিলেও এখন তারা এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন। এলিজাবেথের বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে সব সময় কথা হয়। তারাও এখন খুশি।’