ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের প্রতিবাদ করে বিপাকে পড়েছেন মহেশপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজীবউদ্দৌলা নাসের। ধরন্ত ফল বাগান ধ্বংসের পর তাঁকেও এলাকা ছাড়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি হয়রানির ভয়ে তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার বৈচিতলা বেড়ের মাঠ এলাকায় কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছিলেন মনিরুল ইসলাম ওরফে মিণ্টু খান। বিষয়টি নজীবউদ্দৌলা নাসের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমকে জানালে প্রশাসন বালি তোলা বন্ধ করে দেয়। মিণ্টু খান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নাসেরের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এরপর দিনে-দুপুরে মিণ্টু খানের ইন্ধনে নজীবউদ্দৌলা নাসেরের মালিকানাধীন সিএস ১৬৯ খতিয়ানের ১৫৫৮, এসএ ১৮৩ খতিয়ানের ১৫৫৮, আরএস ৬৪৭ খতিয়ানের ২৫২৪ ও ২৫২৭ এবং ৪৯৩ খতিয়ানের ২৫২৫ ও ২৫২৭ দাগের জমির ওপর গড়ে ওঠা কলা, পেয়ারা ও মেহগনি বাগান ভেকু গাড়ি লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বৈচিতলা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের ধারে নজীবউদ্দৌলা নাসের ১৩৪ শতক জমির ওপর গড়ে তোলেন বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ বাগান। এর মধ্যে দুইশ কলাগাছে কলা ধরেছিল। তিনশ পেয়ারা গাছে ধরন্ত পেয়ারা ছিল। কলাগাছের মধ্যে দুইশ মেহগনি গাছ লাগানো ছিল। কিন্তু নদী খননে ব্যবহৃত ভেকু গাড়ি দিয়ে মিণ্টু খানের ইন্ধনে নাসেরের বাগানে খননকৃত মাটির স্তুপ শুরু করে। একপর্যায়ে ১৩৪ শতকের মধ্যে ৬৭ শতক জমির ফল বাগান মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। ধরন্ত ফলের গাছগুলো অমানবিকভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয় হয়।
এ বিষয়ে নজীবউদ্দৌলা নাসের জানান, ধরন্ত ফল বাগান হারিয়ে একদিকে যেমন তিনি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন, অন্যদিকে প্রভাবশালী মিণ্টু খান হয়রানি করার জন্য তার পেছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন। তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না। নাসের জানান, নদ থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসন ভূমিকা নিলেও বালি ও ড্রেজিংয়ে নিয়োজিত মেশিন রহস্যজনক কারণে জব্দ করেনি। ফলে উত্তেলিত বালি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আনিছুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন আর বালি উত্তোলন করা হচ্ছে না। আর যাতে বালি না তোলে সে বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম ওরফে মিণ্টু খানের বক্তব্য নিতে তার ফোনে একাধিকবার যোগোযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

আপলোড টাইম : ০৮:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের প্রতিবাদ করে বিপাকে পড়েছেন মহেশপুর পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজীবউদ্দৌলা নাসের। ধরন্ত ফল বাগান ধ্বংসের পর তাঁকেও এলাকা ছাড়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি হয়রানির ভয়ে তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার বৈচিতলা বেড়ের মাঠ এলাকায় কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছিলেন মনিরুল ইসলাম ওরফে মিণ্টু খান। বিষয়টি নজীবউদ্দৌলা নাসের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমকে জানালে প্রশাসন বালি তোলা বন্ধ করে দেয়। মিণ্টু খান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নাসেরের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এরপর দিনে-দুপুরে মিণ্টু খানের ইন্ধনে নজীবউদ্দৌলা নাসেরের মালিকানাধীন সিএস ১৬৯ খতিয়ানের ১৫৫৮, এসএ ১৮৩ খতিয়ানের ১৫৫৮, আরএস ৬৪৭ খতিয়ানের ২৫২৪ ও ২৫২৭ এবং ৪৯৩ খতিয়ানের ২৫২৫ ও ২৫২৭ দাগের জমির ওপর গড়ে ওঠা কলা, পেয়ারা ও মেহগনি বাগান ভেকু গাড়ি লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বৈচিতলা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের ধারে নজীবউদ্দৌলা নাসের ১৩৪ শতক জমির ওপর গড়ে তোলেন বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ বাগান। এর মধ্যে দুইশ কলাগাছে কলা ধরেছিল। তিনশ পেয়ারা গাছে ধরন্ত পেয়ারা ছিল। কলাগাছের মধ্যে দুইশ মেহগনি গাছ লাগানো ছিল। কিন্তু নদী খননে ব্যবহৃত ভেকু গাড়ি দিয়ে মিণ্টু খানের ইন্ধনে নাসেরের বাগানে খননকৃত মাটির স্তুপ শুরু করে। একপর্যায়ে ১৩৪ শতকের মধ্যে ৬৭ শতক জমির ফল বাগান মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। ধরন্ত ফলের গাছগুলো অমানবিকভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয় হয়।
এ বিষয়ে নজীবউদ্দৌলা নাসের জানান, ধরন্ত ফল বাগান হারিয়ে একদিকে যেমন তিনি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন, অন্যদিকে প্রভাবশালী মিণ্টু খান হয়রানি করার জন্য তার পেছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন। তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না। নাসের জানান, নদ থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসন ভূমিকা নিলেও বালি ও ড্রেজিংয়ে নিয়োজিত মেশিন রহস্যজনক কারণে জব্দ করেনি। ফলে উত্তেলিত বালি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আনিছুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন আর বালি উত্তোলন করা হচ্ছে না। আর যাতে বালি না তোলে সে বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম ওরফে মিণ্টু খানের বক্তব্য নিতে তার ফোনে একাধিকবার যোগোযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।