ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাইমারি স্কুলের মাঠ এখন ‘পুকুর’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: দূর থেকে দেখলে মনে হবে একটি বড় পুকুর। কিন্তু না, এটি একটি স্কুল মাঠ। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই মাঠটি বছরের ৬ মাস পানির নীচে থাকে। ফলে শিশু শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে পারে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের সিংহভাগ জমে আছে পানি, বাকি অংশে বড় বড় গর্ত। বিদ্যালয়ের পুরাতন একটি ভবন ভাঙার পর তৈরি হওয়া এই গর্ত ভরাট করা হয়নি। অথচ ওই স্কুলে প্রতি বছর স্লিপসহ নানা খাতে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বা অ্যাসেম্বলির কোনো সুযোগ নেই। মাঝে মধ্যে বারান্দায় আর ইট-পাটকেলের মধ্যে অ্যাসেম্বলি সম্পন্ন করান শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, মাঠে মাটি ভরাটের প্রয়োজন। তাঁরা এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর আর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুল মাঠে হাঁটু পানি জমে থাকে। পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা থাকে মাসের পর মাস। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন জানান, ৭২ শতক জমির ওপর ১৯৫৫ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের পাঠদানে ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। আরও আছেন একজন দপ্তরি। প্রতিবছর শতভাগ ছেলে-মেয়ে পাশ করছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে বিদ্যালয় এলাকার পরিবেশ বর্তমানে খুবই খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিস থেকে শ্রেণিকক্ষে যাবার জন্য অনেক সময় শিক্ষকদের প্যান্ট গুটিয়ে যেতে হয়। কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয় মাঠে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। কখনও ক্লাসে যেতে গিয়ে পাঁ পিছলে পড়তে হয়।
প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন আরও জানান, বিদ্যালয় মাঠের ৭০ ভাগ বছরের ৬ মাস পানির নীচে থাকে। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান জানান, তাঁরা ইতঃমধ্যে চলাচলের জন্য একটা রাস্তা তৈরি করার ব্যবস্থা করেছেন। আগামীতে এডিবি’র বরাদ্দ থেকে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছেন মাঠে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রাইমারি স্কুলের মাঠ এখন ‘পুকুর’

আপলোড টাইম : ০৮:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: দূর থেকে দেখলে মনে হবে একটি বড় পুকুর। কিন্তু না, এটি একটি স্কুল মাঠ। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মান্দারতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই মাঠটি বছরের ৬ মাস পানির নীচে থাকে। ফলে শিশু শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে পারে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের সিংহভাগ জমে আছে পানি, বাকি অংশে বড় বড় গর্ত। বিদ্যালয়ের পুরাতন একটি ভবন ভাঙার পর তৈরি হওয়া এই গর্ত ভরাট করা হয়নি। অথচ ওই স্কুলে প্রতি বছর স্লিপসহ নানা খাতে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বা অ্যাসেম্বলির কোনো সুযোগ নেই। মাঝে মধ্যে বারান্দায় আর ইট-পাটকেলের মধ্যে অ্যাসেম্বলি সম্পন্ন করান শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, মাঠে মাটি ভরাটের প্রয়োজন। তাঁরা এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর আর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুল মাঠে হাঁটু পানি জমে থাকে। পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থা থাকে মাসের পর মাস। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন জানান, ৭২ শতক জমির ওপর ১৯৫৫ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের পাঠদানে ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। আরও আছেন একজন দপ্তরি। প্রতিবছর শতভাগ ছেলে-মেয়ে পাশ করছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে বিদ্যালয় এলাকার পরিবেশ বর্তমানে খুবই খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিস থেকে শ্রেণিকক্ষে যাবার জন্য অনেক সময় শিক্ষকদের প্যান্ট গুটিয়ে যেতে হয়। কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয় মাঠে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। কখনও ক্লাসে যেতে গিয়ে পাঁ পিছলে পড়তে হয়।
প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন আরও জানান, বিদ্যালয় মাঠের ৭০ ভাগ বছরের ৬ মাস পানির নীচে থাকে। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসান জানান, তাঁরা ইতঃমধ্যে চলাচলের জন্য একটা রাস্তা তৈরি করার ব্যবস্থা করেছেন। আগামীতে এডিবি’র বরাদ্দ থেকে মাঠে মাটি ভরাটের জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছেন মাঠে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।