ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ কারাগারে বিনা বিচারে আটক প্রতিবন্ধী মৃণাল রায় ৩২ মাস পর মুক্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: বিনা বিচারে ঝিনাইদহ কারাগারে আটক থাকা প্রতিবন্ধী মৃণাল রায়ের মুক্তি মিলেছে। ৩২ মাস পর গতকাল সোমবার সকালে নীলফামারী থেকে তাঁর মামা চিনেন্দ্র নাথ রায়সহ তার স্বজনরা ঝিনাইদহ সদর থানা জুডিসিয়াল আমলি আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট যাচাই অন্তে কাগজপত্র সঠিক আছে মর্মে নিশ্চিত হয়। আদালত থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয় মৃণাল রায়ের মুক্তির আদেশ। বিকেলে জেলা কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর কারা ফটকে মৃণাল রায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন।

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপদ হেফাজতে থাকা প্রতিবন্ধী মৃণাল রায়কে আদালতের আদেশে মুক্তি দিয়ে তাঁর মামার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় মৃণাল তাঁর মামাকে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন। কারা ফটকে মামা-ভাগ্নের এই মিলন দৃশ্য উপস্থিত সবার মাঝে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মৃণালের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাওড়া গ্রামে।

মামা চিনেন্দ্র নাথ রায় জানান, মৃণালের পিতা যতিন্দ্রনাথ রায় স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিজ্ঞ আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সদর থানার তৎকালীন এসআই মো. ইউনুস আলী গাজী ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ওই প্রতিবন্ধীকে স্থানীয় লোকজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে সেফ কাস্টডির জন্য আদালতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আদালত আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় উদ্ধারের জন্য জেলা কারাগার, জেলা নির্বাচন অফিস ও টেকনাফ, উখিয়া ও ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আদেশ প্রদান করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ কারাগারে বিনা বিচারে আটক প্রতিবন্ধী মৃণাল রায় ৩২ মাস পর মুক্ত

আপলোড টাইম : ১০:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: বিনা বিচারে ঝিনাইদহ কারাগারে আটক থাকা প্রতিবন্ধী মৃণাল রায়ের মুক্তি মিলেছে। ৩২ মাস পর গতকাল সোমবার সকালে নীলফামারী থেকে তাঁর মামা চিনেন্দ্র নাথ রায়সহ তার স্বজনরা ঝিনাইদহ সদর থানা জুডিসিয়াল আমলি আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট যাচাই অন্তে কাগজপত্র সঠিক আছে মর্মে নিশ্চিত হয়। আদালত থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয় মৃণাল রায়ের মুক্তির আদেশ। বিকেলে জেলা কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর কারা ফটকে মৃণাল রায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন।

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপদ হেফাজতে থাকা প্রতিবন্ধী মৃণাল রায়কে আদালতের আদেশে মুক্তি দিয়ে তাঁর মামার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় মৃণাল তাঁর মামাকে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন। কারা ফটকে মামা-ভাগ্নের এই মিলন দৃশ্য উপস্থিত সবার মাঝে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মৃণালের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাওড়া গ্রামে।

মামা চিনেন্দ্র নাথ রায় জানান, মৃণালের পিতা যতিন্দ্রনাথ রায় স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিজ্ঞ আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সদর থানার তৎকালীন এসআই মো. ইউনুস আলী গাজী ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ওই প্রতিবন্ধীকে স্থানীয় লোকজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে সেফ কাস্টডির জন্য আদালতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আদালত আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় উদ্ধারের জন্য জেলা কারাগার, জেলা নির্বাচন অফিস ও টেকনাফ, উখিয়া ও ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আদেশ প্রদান করেন।