ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোর বেহাল দশা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ১২ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে কোনো মুক্তিযোদ্ধার পদচারণা নেই। নেই অফিসিয়াল কর্মকাণ্ড। ময়লা-আবর্জনায় ভবনের মেঝে নষ্ট হচ্ছে। অনেক নতুন ভবনের টাইলস ভালো করে পুটিং করা হয়নি। কয়েকটির কিছু দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলেও অনেকগুলো এখনও তালাবদ্ধ রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, ভবনগুলোতে পুরোদমে চালু রাখতে প্রয়োজন নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

ঝিনাইদহ এলজিইডির দেওয়া তথ্য মতে, জেলা সদরসহ জেলার ৬ উপজেলায় ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরিতে ব্যায় হয়েছে ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের বসার স্থায়ী স্থান ও কমপ্লেক্সগুলো থেকে পাওয়া দোকান ভাড়া থেকে অর্জিত আয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা ও অফিসের দৈনন্দিন আয় মেটানোর কথা থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমিটি না থাকায় ভবনগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে কমিটির হাতে ভবনগুলো বুঝিয়ে দিলে নতুন এসব ভবনে চাঞ্চল্যতা ফিরে আসতো।

শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিতা বলেন, ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হয়। ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাবেক ইউনিট কমান্ডার হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের আগের অফিসে বসছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও তা হস্তান্তর করা হয়নি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। দুই কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ভবন হস্তান্তর করা হয়নি। ভবনের দোকানগুলোতে সার্টার লাগানো হয়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও বিল না দেওয়ার কারণে কেটে দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলছেন, ঠিকাদার ভবন হস্তান্তর করলেও ইউএনওর কাছে বুঝে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেগুলোর কিছু অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করা হয়। তারপরও যেগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে সেগুলো যেন ব্যবহার হয় সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোর বেহাল দশা

আপলোড টাইম : ০৯:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ১২ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে কোনো মুক্তিযোদ্ধার পদচারণা নেই। নেই অফিসিয়াল কর্মকাণ্ড। ময়লা-আবর্জনায় ভবনের মেঝে নষ্ট হচ্ছে। অনেক নতুন ভবনের টাইলস ভালো করে পুটিং করা হয়নি। কয়েকটির কিছু দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলেও অনেকগুলো এখনও তালাবদ্ধ রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, ভবনগুলোতে পুরোদমে চালু রাখতে প্রয়োজন নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

ঝিনাইদহ এলজিইডির দেওয়া তথ্য মতে, জেলা সদরসহ জেলার ৬ উপজেলায় ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরিতে ব্যায় হয়েছে ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের বসার স্থায়ী স্থান ও কমপ্লেক্সগুলো থেকে পাওয়া দোকান ভাড়া থেকে অর্জিত আয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা ও অফিসের দৈনন্দিন আয় মেটানোর কথা থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমিটি না থাকায় ভবনগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে কমিটির হাতে ভবনগুলো বুঝিয়ে দিলে নতুন এসব ভবনে চাঞ্চল্যতা ফিরে আসতো।

শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিতা বলেন, ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হয়। ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাবেক ইউনিট কমান্ডার হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের আগের অফিসে বসছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও তা হস্তান্তর করা হয়নি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। দুই কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ভবন হস্তান্তর করা হয়নি। ভবনের দোকানগুলোতে সার্টার লাগানো হয়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও বিল না দেওয়ার কারণে কেটে দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলছেন, ঠিকাদার ভবন হস্তান্তর করলেও ইউএনওর কাছে বুঝে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেগুলোর কিছু অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করা হয়। তারপরও যেগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে সেগুলো যেন ব্যবহার হয় সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।