ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার পৃথক আয়োজনে এ এসব কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:
১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এরপর দলীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়র্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান ও মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, পাবলিক প্রসিকিউটারস (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আলাউদ্দিন হেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত এদেশটাকে অস্থির পরিস্থিতিতে ফেলে দিতেই এই সিরিজ বোমা হামলা চালায়। তারা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদেরকে প্রতিরোধ করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’

এদিকে, ১৭ই আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ থেকে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা কৃষক লীগ ও জেলা ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একযোগে একটি বৃহত্তর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের কেদারগঞ্জ, কোর্ট রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, আবুল কাশেম সড়কসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গৌরব ও ঐতিহ্যের উত্তরসূরী বিশ্বের অন্যতম প্রাজ্ঞ রাজনীতিক ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে স্রোতের উজানে নৌকা ভাসিয়েছেন। এই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়দীপ্ত সংগ্রামে একের সঙ্গে বেঁধেছেন বহুকে। এই আগস্ট মাস আসলেই আমাদের রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হয়। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট একই সুতোয় গাঁথা। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা, সারাদেশে এক সাথে জঙ্গি হামলার করে তারা দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ দেশের মানুষকে তারা আর বোকা বানাতে পারে নাই। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, তা দেখে আবারও তাদের মাথা খারাপ হয়েছে, তাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা কখনো বাস্তব হতে দিবে না এ দেশের মানুষ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশে এখন কোনো জঙ্গিবাদ নেই। বাংলার মাটিতে কোনো জঙ্গিবাদের জায়গা হবে না। বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের দোসর নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যরা ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট রাজধানীসহ সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। তাদেরকে তখন সরাসরি সহযোগিতা করেন তৎকালীন জোট সরকার। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানো।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সাম্প্রদায়িক ও অনগ্রসর-পশ্চাৎপদ দৃষ্টিভঙ্গির চূড়ান্ত পরিণতির নাম জঙ্গিবাদ। দেশ থেকে ১৭ আগস্টের মতো অপরাজনৈতিক তৎপরতা চিরতরে দূর করতে হবে। এ দেশের জঙ্গিবাদের শীর্ষ নেতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদিতার পৃষ্ঠপোষকরা পাকিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে আছে। এদের সবাইকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকর করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জঙ্গিবাদের করালগ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, এ দেশের বুকে আর কোনো ১৭ আগস্ট আমরা দেখতে চাই না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মা মাটিকে বাচাঁতে, এই দেশকে বাচাঁতে রাজপথে থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গিরা দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে মানুষের মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত দেশপ্রেমিক বাঙালি তাদের সে স্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন করতে দেবে না। জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক মোমিনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান বজলু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহম্মেদ জনি, সদর থানা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দর্শনা থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসলামুল হক আল আমিন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সামী তাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে সংঘটিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা যুবলীগ আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিল জনস্রোতে রূপ নেয়। দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা স্লোগান নিয়ে মিছিলের মূল কেন্দ্র জেলা টাউন ফুটবল মাঠে আসতে শুরু করে।
বিকেল চারটার দিকে প্রতিবাদ মিছিলটি জনস্রোতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়ক, শহিদ হাসান হত্বর, কোর্ট মোড়, কলেজ রোড, কবরি রোড প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীরা সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরবর্তীতে বিকেল পাঁচটায় জেলা টাউন ফুটবল মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুবলীগের সদস্য আজাদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এ দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার ভার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে, তখন দায়িত্বশীলতার টান আমাদের আছে। কিন্তু অস্তিত্বে আঘাত অনুভূত হলে কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে যে সিরিজ বোমা হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল, আমরা তার নিন্দা জানাই। বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। আমরা যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। যেকোন মূল্যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রতিহত করতে মাঠ ছাড়বে না বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা। এসময় তিনি দেশবিরোধী অপশক্তি ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করেন।’
জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ ও আলমগীর আজম খোকা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- আলুকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি, যুবলীগ নেতা আসমাউল, মোনয়ার মেম্বর, মোমিনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোমিন হোসেন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বিপ্লবক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাণ্টু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মেম্বর, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদ, নেহালপুরর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক সামসুল, খাদিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল, নেতা পুটু মাস্টার, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন, সাধারণ সম্পাদক বকুল, নাগদাহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, বারাদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরীফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সেতু, আলমডাঙ্গা পৌর যুবলীগের সভাপতি ডিটু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ডাইকি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রকি, বেগমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামিম মিজি, গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান, ইয়ামিন, হারদী যুবলীগের নেতা জাফর, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা যুবলীগ নেতা কাওছার, জাহাঙ্গীর মালেক, ফকির, চুয়াডাঙ্গা পৌর তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদার রহমান মাসুম, ফটিট চাঁন, আল ইমরান শুভ, হাসানুল ইসলাম পলেন, রামীম হাসান সৈকত, শেখ রাসেল, দিপু বিশ্বাস, খালিদ মণ্ডল, লোকমান, জাকির, পাভেল, সজল, সুমন, বিপ্লব, হাসান, নাজমুল, সরব, লিপ্টন, জুয়েল, কবির, বিপুল, সাকিব, সৌরভ, তামিম, বাচ্চু, আলী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের নেতাকর্মীবৃন্দ।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে জঙ্গিসংগঠন জেএমবি কর্তৃক একযোগে ঘৃণ্য ও নারকীয় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মঞ্চে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) পরিকল্পিত সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। সেদিন বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ছাড়া ৬৩ জেলার প্রায় ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিরা। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিদের বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি, আধা-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ। মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে চালানো সেই হামলায় ৫ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণে দুই জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। দেশে জঙ্গি কায়দায় ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা করেছিল জেএমবি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিদের নির্মুল করেছেন। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে আর্নেজ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই দিন শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও দলের নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেকে মারা গিয়েছিল। অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে আগস্ট মাসটাকে বেছে নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী বেঁচে থাকতে আমরা বিএনপি-জামায়াতের নীল নকশা প্রতিহত করব।
এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ওই সমস্ত অগ্নি সন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হলো মাটি ও মানুষের সংগঠন। মানুষের কল্যাণে এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা কথায় কথায় রাজপথের হুমকি দেখান, আমরা আজ যে লোক সমাগম করেছি, আপনারা এর অর্ধেক লোক সমাবেশ করে দেখান। তাহলে বুঝব মানুষ আপনাদের সাথে আছে। মানুষ আপনাদের মতো অগ্নি সন্ত্রাসীদের আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সফল করায় নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রশান্ত অধিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, সদস্য কাজী খালিদুর রহমান অরুণ, সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শাহিদা ইসলাম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থাপনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল রানা শাহিন, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিণ্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ওল্টু, বাড়াদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সোনাউল্লা, কামাল হোসেন, দীনেশ কুমার, তরিকুল ইসলাম, কালু ঘোষ, শহীদ মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, হাসানুজ্জামান হান্নান, জয়নাল আবেদীন, কামরুজ্জামান শামীম, সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক কাজল রেখা প্রমুখ।

দামুড়হুদা:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। প্রধান সড়ক ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে চৌরাস্তার মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তৎকালীন জঙ্গিবাদী বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যক্ষ মদদে সংঘটিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে দেশকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাইতারা করেছিল। সেই নৈরাজ্যকে প্রতিহত করে দেশেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষকরা সার পায়নি, বিদ্যুৎ ছিল না। কিন্তু এখন দেশে কোনো কিছুর ঘাড়তি নেই, মানুষ খুব ভালো আছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবীর ইউসুব, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়লগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব মাস্টার প্রমুখ।

মেহেরপুর:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার বিকেল ছয়টার দিকে মেহেরপুর জেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেকের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস প্রমুখ।
মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, পি পি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আারা হিরা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফী কামাল পলাশ প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

আপলোড টাইম : ০৮:৫০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার পৃথক আয়োজনে এ এসব কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:
১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এরপর দলীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়র্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান ও মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, পাবলিক প্রসিকিউটারস (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আলাউদ্দিন হেলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত এদেশটাকে অস্থির পরিস্থিতিতে ফেলে দিতেই এই সিরিজ বোমা হামলা চালায়। তারা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদেরকে প্রতিরোধ করে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’

এদিকে, ১৭ই আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ থেকে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা কৃষক লীগ ও জেলা ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একযোগে একটি বৃহত্তর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের কেদারগঞ্জ, কোর্ট রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, আবুল কাশেম সড়কসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গৌরব ও ঐতিহ্যের উত্তরসূরী বিশ্বের অন্যতম প্রাজ্ঞ রাজনীতিক ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে স্রোতের উজানে নৌকা ভাসিয়েছেন। এই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়দীপ্ত সংগ্রামে একের সঙ্গে বেঁধেছেন বহুকে। এই আগস্ট মাস আসলেই আমাদের রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হয়। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট একই সুতোয় গাঁথা। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা, সারাদেশে এক সাথে জঙ্গি হামলার করে তারা দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ দেশের মানুষকে তারা আর বোকা বানাতে পারে নাই। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, তা দেখে আবারও তাদের মাথা খারাপ হয়েছে, তাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা কখনো বাস্তব হতে দিবে না এ দেশের মানুষ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশে এখন কোনো জঙ্গিবাদ নেই। বাংলার মাটিতে কোনো জঙ্গিবাদের জায়গা হবে না। বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের দোসর নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যরা ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট রাজধানীসহ সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। তাদেরকে তখন সরাসরি সহযোগিতা করেন তৎকালীন জোট সরকার। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানো।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সাম্প্রদায়িক ও অনগ্রসর-পশ্চাৎপদ দৃষ্টিভঙ্গির চূড়ান্ত পরিণতির নাম জঙ্গিবাদ। দেশ থেকে ১৭ আগস্টের মতো অপরাজনৈতিক তৎপরতা চিরতরে দূর করতে হবে। এ দেশের জঙ্গিবাদের শীর্ষ নেতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদিতার পৃষ্ঠপোষকরা পাকিস্তান বা মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে আছে। এদের সবাইকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকর করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জঙ্গিবাদের করালগ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, এ দেশের বুকে আর কোনো ১৭ আগস্ট আমরা দেখতে চাই না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মা মাটিকে বাচাঁতে, এই দেশকে বাচাঁতে রাজপথে থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জঙ্গিরা দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে মানুষের মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত দেশপ্রেমিক বাঙালি তাদের সে স্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন করতে দেবে না। জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক মোমিনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান বজলু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহম্মেদ জনি, সদর থানা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দর্শনা থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসলামুল হক আল আমিন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সামী তাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে সংঘটিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা যুবলীগ আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিল জনস্রোতে রূপ নেয়। দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা স্লোগান নিয়ে মিছিলের মূল কেন্দ্র জেলা টাউন ফুটবল মাঠে আসতে শুরু করে।
বিকেল চারটার দিকে প্রতিবাদ মিছিলটি জনস্রোতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়ক, শহিদ হাসান হত্বর, কোর্ট মোড়, কলেজ রোড, কবরি রোড প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীরা সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরবর্তীতে বিকেল পাঁচটায় জেলা টাউন ফুটবল মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুবলীগের সদস্য আজাদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এ দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার ভার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে, তখন দায়িত্বশীলতার টান আমাদের আছে। কিন্তু অস্তিত্বে আঘাত অনুভূত হলে কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে যে সিরিজ বোমা হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল, আমরা তার নিন্দা জানাই। বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। আমরা যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। যেকোন মূল্যে বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রতিহত করতে মাঠ ছাড়বে না বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা। এসময় তিনি দেশবিরোধী অপশক্তি ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করেন।’
জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ ও আলমগীর আজম খোকা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- আলুকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি, যুবলীগ নেতা আসমাউল, মোনয়ার মেম্বর, মোমিনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোমিন হোসেন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি বিপ্লবক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাণ্টু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মেম্বর, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদ, নেহালপুরর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক সামসুল, খাদিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল, নেতা পুটু মাস্টার, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন, সাধারণ সম্পাদক বকুল, নাগদাহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, বারাদী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরীফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সেতু, আলমডাঙ্গা পৌর যুবলীগের সভাপতি ডিটু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ডাইকি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রকি, বেগমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামিম মিজি, গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান, ইয়ামিন, হারদী যুবলীগের নেতা জাফর, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা যুবলীগ নেতা কাওছার, জাহাঙ্গীর মালেক, ফকির, চুয়াডাঙ্গা পৌর তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদার রহমান মাসুম, ফটিট চাঁন, আল ইমরান শুভ, হাসানুল ইসলাম পলেন, রামীম হাসান সৈকত, শেখ রাসেল, দিপু বিশ্বাস, খালিদ মণ্ডল, লোকমান, জাকির, পাভেল, সজল, সুমন, বিপ্লব, হাসান, নাজমুল, সরব, লিপ্টন, জুয়েল, কবির, বিপুল, সাকিব, সৌরভ, তামিম, বাচ্চু, আলী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের নেতাকর্মীবৃন্দ।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে জঙ্গিসংগঠন জেএমবি কর্তৃক একযোগে ঘৃণ্য ও নারকীয় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মঞ্চে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) পরিকল্পিত সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। সেদিন বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ছাড়া ৬৩ জেলার প্রায় ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিরা। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিদের বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি, আধা-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ। মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে চালানো সেই হামলায় ৫ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণে দুই জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। দেশে জঙ্গি কায়দায় ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা করেছিল জেএমবি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিদের নির্মুল করেছেন। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে আর্নেজ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই দিন শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও দলের নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেকে মারা গিয়েছিল। অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে আগস্ট মাসটাকে বেছে নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী বেঁচে থাকতে আমরা বিএনপি-জামায়াতের নীল নকশা প্রতিহত করব।
এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ওই সমস্ত অগ্নি সন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হলো মাটি ও মানুষের সংগঠন। মানুষের কল্যাণে এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা কথায় কথায় রাজপথের হুমকি দেখান, আমরা আজ যে লোক সমাগম করেছি, আপনারা এর অর্ধেক লোক সমাবেশ করে দেখান। তাহলে বুঝব মানুষ আপনাদের সাথে আছে। মানুষ আপনাদের মতো অগ্নি সন্ত্রাসীদের আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সফল করায় নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রশান্ত অধিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, সদস্য কাজী খালিদুর রহমান অরুণ, সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শাহিদা ইসলাম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থাপনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল রানা শাহিন, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিণ্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ওল্টু, বাড়াদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সোনাউল্লা, কামাল হোসেন, দীনেশ কুমার, তরিকুল ইসলাম, কালু ঘোষ, শহীদ মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, হাসানুজ্জামান হান্নান, জয়নাল আবেদীন, কামরুজ্জামান শামীম, সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক কাজল রেখা প্রমুখ।

দামুড়হুদা:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। প্রধান সড়ক ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে চৌরাস্তার মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তৎকালীন জঙ্গিবাদী বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যক্ষ মদদে সংঘটিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করে দেশকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাইতারা করেছিল। সেই নৈরাজ্যকে প্রতিহত করে দেশেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষকরা সার পায়নি, বিদ্যুৎ ছিল না। কিন্তু এখন দেশে কোনো কিছুর ঘাড়তি নেই, মানুষ খুব ভালো আছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবীর ইউসুব, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়লগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব মাস্টার প্রমুখ।

মেহেরপুর:
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার বিকেল ছয়টার দিকে মেহেরপুর জেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেকের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস প্রমুখ।
মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, পি পি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আারা হিরা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফী কামাল পলাশ প্রমুখ।