ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলা করায় আসামিরা বেপরোয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২০:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটে থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ও সামাজিক কারণে এলাকার একটি মহল ইদ্রিস আলী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রাশিদা খাতুনকেও মারধর করেছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় ১০ জনের নামে মামলা করা হলে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আদালতের বারান্দায় পর্যন্ত মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে পড়ুয়া কন্যা রঞ্জনা খাতুনকে একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছে। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় উত্ত্যাক্ত করত রঞ্জনাকে। এছাড়া জমি নিয়ে রঞ্জনার মামা সাবান শাহ’র সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ ছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২২ জুলাই আসামি উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের সলেমান মণ্ডলের ছেলে তুহিন মণ্ডল, আশিক, ইউনুস আলী শাহের ছেলে ওবাইদুল, আসাদুল, তোয়াজ উদ্দীন মালিথার ছেলে মনিরুল, মোফাজ্জেল মণ্ডলের ছেলে রানা, পাঞ্জু শাহের ছেলে আনোয়ার, পাচু রায়ের ছেলে কৃষ্ণ রায়, একই গ্রামের আসাদ ও ভুপতিপুর গ্রামের সুরোত আলীর ছেলে বজলুর রহমান দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বেআইনিভাবে রঞ্জনা খাতুনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তার মামা সাবান শাহ, মামি রোজিনা ও খালা শিখা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে। তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আসামি মনিরুল ইসলাম রঞ্জনার পরিধেয় কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী ঘটায়।

এসময় রঞ্জনার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ও তার অসুস্থ স্ত্রীকে আসামিরা মারধর করে জুখম করে। হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও ঘর থেকে সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হলে আসামিরা আদালতের বারান্দায় বাদীনিকে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করে ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

রঞ্জনা খাতুন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, ‘আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করার চরম দুঃসাহস দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তিন বোন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা করার কারণে আসামিরা যেকোনো সময় তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে।’ এ ব্যাপারে তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন বলেও জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মামলা করায় আসামিরা বেপরোয়া

আপলোড টাইম : ০৮:২০:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটে থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ও সামাজিক কারণে এলাকার একটি মহল ইদ্রিস আলী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রাশিদা খাতুনকেও মারধর করেছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় ১০ জনের নামে মামলা করা হলে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আদালতের বারান্দায় পর্যন্ত মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে পড়ুয়া কন্যা রঞ্জনা খাতুনকে একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছে। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় উত্ত্যাক্ত করত রঞ্জনাকে। এছাড়া জমি নিয়ে রঞ্জনার মামা সাবান শাহ’র সঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরোধ ছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২২ জুলাই আসামি উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের সলেমান মণ্ডলের ছেলে তুহিন মণ্ডল, আশিক, ইউনুস আলী শাহের ছেলে ওবাইদুল, আসাদুল, তোয়াজ উদ্দীন মালিথার ছেলে মনিরুল, মোফাজ্জেল মণ্ডলের ছেলে রানা, পাঞ্জু শাহের ছেলে আনোয়ার, পাচু রায়ের ছেলে কৃষ্ণ রায়, একই গ্রামের আসাদ ও ভুপতিপুর গ্রামের সুরোত আলীর ছেলে বজলুর রহমান দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বেআইনিভাবে রঞ্জনা খাতুনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তার মামা সাবান শাহ, মামি রোজিনা ও খালা শিখা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে। তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আসামি মনিরুল ইসলাম রঞ্জনার পরিধেয় কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী ঘটায়।

এসময় রঞ্জনার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ও তার অসুস্থ স্ত্রীকে আসামিরা মারধর করে জুখম করে। হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও ঘর থেকে সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হলে আসামিরা আদালতের বারান্দায় বাদীনিকে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করে ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

রঞ্জনা খাতুন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, ‘আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করার চরম দুঃসাহস দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তিন বোন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা করার কারণে আসামিরা যেকোনো সময় তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে।’ এ ব্যাপারে তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন বলেও জানান তিনি।