ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নেতার দ্বন্দ্ব চরমে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • / ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৫ জন। গত রোববার রাতে শৈলকুপা উপজেলার ৮ নম্বর ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামের বিজয়ী ইউপি সদস্য রতন কুণ্ডু ও পরাজিত সদস্য লক্ষীকান্তের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে লক্ষীকান্তের সমর্থক সুশান্ত মণ্ডল পাশর্^বর্তী রত্নাট গ্রাম থেকে কয়েকজন যুবককে নিয়ে কামারিয়া গ্রামে চায়ের দোকানে মহড়া দেয়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরই জের ধরে রাতে তারা ওই গ্রামে হামলা চালিয়ে ৬টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। মারধরে আহত হয় নারীসহ অন্তত ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী কামারিয়া গ্রামের সুনীল জানান, ‘কে বা কারা পিছন থেকে এসে আমার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে কে আঘাত করল আমি দেখতে পাইনি।’ ধলহরাচন্দ্র ইউপি মেম্বার রতন কুণ্ডু বলেন, ‘পাশর্^বর্তী ইউনিয়নের ফরিদ মুন্সীর নেতৃত্বে লোকজন এসে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।’ বগুড়া ইউপি মেম্বার ফরিদ মুন্সী বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে কামারিয়া গ্রামে কোনো হামলা হয়নি। ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সাতে জড়িত না।’

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, কামারিয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। ওখানে আমাদের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নেতার দ্বন্দ্ব চরমে

আপলোড টাইম : ০৮:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৫ জন। গত রোববার রাতে শৈলকুপা উপজেলার ৮ নম্বর ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামের বিজয়ী ইউপি সদস্য রতন কুণ্ডু ও পরাজিত সদস্য লক্ষীকান্তের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে লক্ষীকান্তের সমর্থক সুশান্ত মণ্ডল পাশর্^বর্তী রত্নাট গ্রাম থেকে কয়েকজন যুবককে নিয়ে কামারিয়া গ্রামে চায়ের দোকানে মহড়া দেয়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরই জের ধরে রাতে তারা ওই গ্রামে হামলা চালিয়ে ৬টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। মারধরে আহত হয় নারীসহ অন্তত ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী কামারিয়া গ্রামের সুনীল জানান, ‘কে বা কারা পিছন থেকে এসে আমার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে কে আঘাত করল আমি দেখতে পাইনি।’ ধলহরাচন্দ্র ইউপি মেম্বার রতন কুণ্ডু বলেন, ‘পাশর্^বর্তী ইউনিয়নের ফরিদ মুন্সীর নেতৃত্বে লোকজন এসে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।’ বগুড়া ইউপি মেম্বার ফরিদ মুন্সী বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে কামারিয়া গ্রামে কোনো হামলা হয়নি। ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সাতে জড়িত না।’

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, কামারিয়া গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। ওখানে আমাদের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে।