ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজে গতকাল বুধবার দুপুরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণে ক্যাম্পাস কেঁপে ওঠে। এসময় কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষককর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সরেজমিন দেখা গেছে, ককটেলের আঘাতে স্থানে ঘাস পুড়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ককটেল নয় পটকা/আতশবাজী ফুঠিয়েছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ . মাহবুবুর রহমান গতকাল বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে আসার পরপরই ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ইরফান রাজা বাবু, শিখ হাসিবুল, রিয়াজ আব্দুস সালাম জয়ের নেতৃত্বে কিছু যুবক মিছিল বের করে। তারাঅধ্যক্ষের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, অবৈধ অধ্যক্ষ মানি না মানব নাএমন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ চলাকালেই ৫টি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এসময় শিক্ষার্থী শিক্ষককর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কলেজের হেডক্লার্ক রজব আলী জানান, সকালে অধ্যক্ষ কলেজে আসার পরপরই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের ছেলেরা বিক্ষোভ শুরু করে। কারণে বেতন বিলে কোনো স্বাক্ষর করাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে মাস, ২০২১ সালে মাস চলতি বছরের দুই মাসসহ মোট ১৫ মাসের বেতন পাবেন শিক্ষকরা। হেডক্লার্ক রজব আলী বলেন, ককটেল নয়, ক্যাম্পাসে ছেলেরা বাজি ফুটিয়েছে বলে আমি শুনেছি।

বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ . মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কলেজে প্রবেশের পরপরই ছাত্রলীগ নামধারী যুবকরা আমার রুমে এসে খারাপ আচরণ করে। অথচ তারা সবাই এই কলেজের ছাত্র। ছাত্ররাঅধ্যক্ষের দুই গালে জুতা মারো তালে তালেএমন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হলে আমি কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহমান মোল্লা কলেজের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনকে একাধিকবার নিরাপত্তার জন্য ফোন করি। কিন্তু তারা আমার ফোন রিসিভ করেননি। পরে পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলে তিনি ডিবি পুলিশ পাঠিয়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিন জানান, ‘কলেজে এতো কিছু হয়েছে আমি জানি না। আমি জেলা শহরে একটি মিটিংয়ে ছিলাম।তিনি বলেন, ‘কলেজ নিয়ে অনেক বিষয়ে আদালতে বিচারাধীন আছে। কাজেই আমি তো আর অন্ধকারে স্বাক্ষর করতে পারি না।

ঘটনা জানতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন করেননি। ছাত্রলীগ কর্মী চাচড়া হাইস্কুলের শিক্ষক আব্দুস সালাম জয় জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ শুনে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তাঁরা অবৈধ অধ্যক্ষকে না মানতে পেরে বিক্ষোভ করেছে। জয় দাবি করেন, তিনি শিক্ষক হলেও এখনো ওই কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও

আপলোড টাইম : ১১:৩৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজে গতকাল বুধবার দুপুরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণে ক্যাম্পাস কেঁপে ওঠে। এসময় কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষককর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সরেজমিন দেখা গেছে, ককটেলের আঘাতে স্থানে ঘাস পুড়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ককটেল নয় পটকা/আতশবাজী ফুঠিয়েছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ . মাহবুবুর রহমান গতকাল বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে আসার পরপরই ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ইরফান রাজা বাবু, শিখ হাসিবুল, রিয়াজ আব্দুস সালাম জয়ের নেতৃত্বে কিছু যুবক মিছিল বের করে। তারাঅধ্যক্ষের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, অবৈধ অধ্যক্ষ মানি না মানব নাএমন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ চলাকালেই ৫টি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এসময় শিক্ষার্থী শিক্ষককর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কলেজের হেডক্লার্ক রজব আলী জানান, সকালে অধ্যক্ষ কলেজে আসার পরপরই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের ছেলেরা বিক্ষোভ শুরু করে। কারণে বেতন বিলে কোনো স্বাক্ষর করাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে মাস, ২০২১ সালে মাস চলতি বছরের দুই মাসসহ মোট ১৫ মাসের বেতন পাবেন শিক্ষকরা। হেডক্লার্ক রজব আলী বলেন, ককটেল নয়, ক্যাম্পাসে ছেলেরা বাজি ফুটিয়েছে বলে আমি শুনেছি।

বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ . মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কলেজে প্রবেশের পরপরই ছাত্রলীগ নামধারী যুবকরা আমার রুমে এসে খারাপ আচরণ করে। অথচ তারা সবাই এই কলেজের ছাত্র। ছাত্ররাঅধ্যক্ষের দুই গালে জুতা মারো তালে তালেএমন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিতে থাকে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হলে আমি কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহমান মোল্লা কলেজের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিনকে একাধিকবার নিরাপত্তার জন্য ফোন করি। কিন্তু তারা আমার ফোন রিসিভ করেননি। পরে পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলে তিনি ডিবি পুলিশ পাঠিয়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিন জানান, ‘কলেজে এতো কিছু হয়েছে আমি জানি না। আমি জেলা শহরে একটি মিটিংয়ে ছিলাম।তিনি বলেন, ‘কলেজ নিয়ে অনেক বিষয়ে আদালতে বিচারাধীন আছে। কাজেই আমি তো আর অন্ধকারে স্বাক্ষর করতে পারি না।

ঘটনা জানতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন করেননি। ছাত্রলীগ কর্মী চাচড়া হাইস্কুলের শিক্ষক আব্দুস সালাম জয় জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ শুনে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তাঁরা অবৈধ অধ্যক্ষকে না মানতে পেরে বিক্ষোভ করেছে। জয় দাবি করেন, তিনি শিক্ষক হলেও এখনো ওই কলেজের ডিগ্রির ছাত্র।