ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভরা আষাঢ়ে চৈত্রের খরা কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ: আষাঢ় মাস শেষ, অথচ বৃষ্টি নেই। এবার ভরা আষাঢ়ের দেখা মেলেনি বৃষ্টির। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। বীজতলা দিতে না পেরে অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আষাঢ় মাসের এই শেষ দিকে আগে দিনভর টিপটপ বৃষ্টি আর মাঠঘাট থৈথৈ করতো পানিতে। আর এখন ভরা আষাঢ়ে চৈত্রের খরায় পুড়ছে ঝিনাইদহ। গোটা জেলার কোথাও ভারিবর্ষণের দেখা মেলেনি। এনিয়ে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগও শঙ্কায় পড়েছে। মাঠঘাট পানিশূণ্য। উচ্চমূল্যের ডিজেল কিনে বীজতলা তৈরী করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে কাঙ্খিত বৃষ্টি নাহলে একদিকে যেমন কৃষকের সেচ খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, অন্যদিকে আমন ও আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
সাধুহাটির বংকিরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরী করতে হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।’

কৃষক বাবলুর রহমান জানান, ‘আউস আবাদে সম্পূরক সেচ দিতে হচ্ছে, অথচ আগে সেচ লাগতো না।’
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী জানান, ‘ভরা আষাঢ়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের হেক্টর প্রতি খরচ বেড়ে যাবে। তাছাড়া অনেক কৃষক এখনো বীজতলা দিতে পারেনি। কারণ আমন আবাদ পুরো আষাঢ়ের বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।’

কৃষিবিদ আজগর আলী আরো জানান, ‘চলতি আবাদ মৌসুমে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় উভয় আবাদ ঝুকির মুখে পড়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভরা আষাঢ়ে চৈত্রের খরা কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ

আপলোড টাইম : ০২:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ: আষাঢ় মাস শেষ, অথচ বৃষ্টি নেই। এবার ভরা আষাঢ়ের দেখা মেলেনি বৃষ্টির। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। বীজতলা দিতে না পেরে অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আষাঢ় মাসের এই শেষ দিকে আগে দিনভর টিপটপ বৃষ্টি আর মাঠঘাট থৈথৈ করতো পানিতে। আর এখন ভরা আষাঢ়ে চৈত্রের খরায় পুড়ছে ঝিনাইদহ। গোটা জেলার কোথাও ভারিবর্ষণের দেখা মেলেনি। এনিয়ে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগও শঙ্কায় পড়েছে। মাঠঘাট পানিশূণ্য। উচ্চমূল্যের ডিজেল কিনে বীজতলা তৈরী করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে কাঙ্খিত বৃষ্টি নাহলে একদিকে যেমন কৃষকের সেচ খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, অন্যদিকে আমন ও আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
সাধুহাটির বংকিরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরী করতে হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।’

কৃষক বাবলুর রহমান জানান, ‘আউস আবাদে সম্পূরক সেচ দিতে হচ্ছে, অথচ আগে সেচ লাগতো না।’
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী জানান, ‘ভরা আষাঢ়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের হেক্টর প্রতি খরচ বেড়ে যাবে। তাছাড়া অনেক কৃষক এখনো বীজতলা দিতে পারেনি। কারণ আমন আবাদ পুরো আষাঢ়ের বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।’

কৃষিবিদ আজগর আলী আরো জানান, ‘চলতি আবাদ মৌসুমে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় উভয় আবাদ ঝুকির মুখে পড়েছে।’