ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের কাণ্ড : রাতের আধারে আবাদি জমিতে খাল খনন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জটারপাড়া গ্রামে কৃষি জমিতে জোরপূর্বক খাল খনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কালীগঞ্জের রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জোর করে আবাদি জমির ওপর দিয়ে নতুন একটি খাল খনন করছেন। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চেয়ারম্যানের পেশী শক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না। তবে তারা কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জমির মালিকদের সাথে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা ও সম্মতি ছাড়াই মালিকানা জমিতে রাতের আঁধারে খাল খনন শুরু করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু। জটারপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমান আতি মণ্ডল, আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, আবু বাক্কার বিশ^াস, ইসলাম মোল্লা ও রফিউদ্দীন বিশ^াসের জমিতে জোরপূর্বক গত সোমবার মধ্যরাত থেকে খাল খনন শুরু করে। এসময় চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যানকে খাল খনন করতে বাঁধা দিলে তিনি জোরপূর্বক ভেকু মেশিন দিয়ে খাল খনন করতে থাকেন। বিষয়টি রাতেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে পুলিশ আসলে মাঠেই ভেকু মেশিন রেখে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।

তোফাজ্জেল হোসেন নামে এক কৃষক জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ভেকু মেশিনের শব্দ শুনতে পান তিনি। এসময় তিনি মাঠে গিয়ে দেখতে পান মালিকানা জমিতে খাল খনন করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন সে সময়। খাল খনন করতে বাঁধা দিলেও তিনি শোনেননি। শাহাদৎ বিশ^াস নামের আরেক কৃষক জানান, তাঁদের জমির আশেপাশে কোনো খাস জমি নেই। চেয়ারম্যান জোরপূর্বকভাবে খাল খনন করছেন। এতে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খাল খনন করলে যেখানে কৃষকদের উপকৃত হওয়ার কথা, সেখানে অপরিকল্পিত খাল কৃষকদের সর্বনাশ ডেকে আনছে। এই খাল খননের ফলে এলাকার হাজার হাজার একর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিষয়টি নিয়ে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিন জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর খাল খনন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের কাণ্ড : রাতের আধারে আবাদি জমিতে খাল খনন

আপলোড টাইম : ০৬:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জটারপাড়া গ্রামে কৃষি জমিতে জোরপূর্বক খাল খনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কালীগঞ্জের রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জোর করে আবাদি জমির ওপর দিয়ে নতুন একটি খাল খনন করছেন। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চেয়ারম্যানের পেশী শক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না। তবে তারা কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জমির মালিকদের সাথে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা ও সম্মতি ছাড়াই মালিকানা জমিতে রাতের আঁধারে খাল খনন শুরু করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু। জটারপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমান আতি মণ্ডল, আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, আবু বাক্কার বিশ^াস, ইসলাম মোল্লা ও রফিউদ্দীন বিশ^াসের জমিতে জোরপূর্বক গত সোমবার মধ্যরাত থেকে খাল খনন শুরু করে। এসময় চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যানকে খাল খনন করতে বাঁধা দিলে তিনি জোরপূর্বক ভেকু মেশিন দিয়ে খাল খনন করতে থাকেন। বিষয়টি রাতেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে পুলিশ আসলে মাঠেই ভেকু মেশিন রেখে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।

তোফাজ্জেল হোসেন নামে এক কৃষক জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ভেকু মেশিনের শব্দ শুনতে পান তিনি। এসময় তিনি মাঠে গিয়ে দেখতে পান মালিকানা জমিতে খাল খনন করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন সে সময়। খাল খনন করতে বাঁধা দিলেও তিনি শোনেননি। শাহাদৎ বিশ^াস নামের আরেক কৃষক জানান, তাঁদের জমির আশেপাশে কোনো খাস জমি নেই। চেয়ারম্যান জোরপূর্বকভাবে খাল খনন করছেন। এতে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খাল খনন করলে যেখানে কৃষকদের উপকৃত হওয়ার কথা, সেখানে অপরিকল্পিত খাল কৃষকদের সর্বনাশ ডেকে আনছে। এই খাল খননের ফলে এলাকার হাজার হাজার একর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিষয়টি নিয়ে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিন জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর খাল খনন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।