ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে ওষুধ নিতে স্টাফদের প্রতি অফিস আদেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে স্টাফদের দেদারছে ওষুধ উত্তোলনের লাগাম টেনে ধরেছে হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তথ্য ভিত্তিক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অবশেষে গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছেন হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে- হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্নি শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক ও আউট সোর্সিং কর্মচারীরা প্রতিদিন হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে ওষুধ গ্রহণ করেন। এ ক্ষেত্রে যদি তাদের ওষুধ গ্রহণ প্রয়োজন হয় তবে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার স্বাক্ষরিত স্লিপে তাদের ওষুধ গ্রহণের জন্য বলা হলো। অফিস আদেশে ইনচার্জ ডিসপেনসারিকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উল্লেখিত দুই কর্মকর্তার স্বাক্ষর ব্যতিত ওষুধ প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তার এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশে রোগীদের ম্লিপ জাল করে সরকারি লুটের মহোৎসব চালানো হতো। হাসপাতালের আশেপাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিক, ওষুধের দোকান ও প্যাথলজির কর্মচারী এবং দালাল চক্র এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুর পার হতেই আসতে শুরু করে এই সুবিধাভোগী চক্রের সদস্যরা। তারা একাধিক স্লিপ নিয়ে ব্যাগভর্তি করে সরকারি ওষুধ তুলে নিয়ে যায়। এই চিত্র প্রতিদিনের হলেও কোনো প্রতিকার ছিল না। ফলে হতদরিদ্র রোগীরা হাসপাতালের সরকারি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হতো। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এভাবে ওষুধ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন সাদ্দাম হোসেন ও রাতুল নামে দুই যুবক। তাদের কাছে পাওয়া যায় ডা. মারুফ স্বাক্ষরিত একাধিক টিকিট। একাধিক বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিট নিয়ে ব্যাগের মধ্যে ওষুধ ভরছিলেন তারা। ধরাপড়ার পর তাদের হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ  রেজাউল ইসলামের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে তখন জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে ওষুধ নিতে স্টাফদের প্রতি অফিস আদেশ

আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে স্টাফদের দেদারছে ওষুধ উত্তোলনের লাগাম টেনে ধরেছে হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তথ্য ভিত্তিক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অবশেষে গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছেন হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে- হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্নি শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক ও আউট সোর্সিং কর্মচারীরা প্রতিদিন হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে ওষুধ গ্রহণ করেন। এ ক্ষেত্রে যদি তাদের ওষুধ গ্রহণ প্রয়োজন হয় তবে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার স্বাক্ষরিত স্লিপে তাদের ওষুধ গ্রহণের জন্য বলা হলো। অফিস আদেশে ইনচার্জ ডিসপেনসারিকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উল্লেখিত দুই কর্মকর্তার স্বাক্ষর ব্যতিত ওষুধ প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তার এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশে রোগীদের ম্লিপ জাল করে সরকারি লুটের মহোৎসব চালানো হতো। হাসপাতালের আশেপাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিক, ওষুধের দোকান ও প্যাথলজির কর্মচারী এবং দালাল চক্র এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুর পার হতেই আসতে শুরু করে এই সুবিধাভোগী চক্রের সদস্যরা। তারা একাধিক স্লিপ নিয়ে ব্যাগভর্তি করে সরকারি ওষুধ তুলে নিয়ে যায়। এই চিত্র প্রতিদিনের হলেও কোনো প্রতিকার ছিল না। ফলে হতদরিদ্র রোগীরা হাসপাতালের সরকারি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হতো। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এভাবে ওষুধ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন সাদ্দাম হোসেন ও রাতুল নামে দুই যুবক। তাদের কাছে পাওয়া যায় ডা. মারুফ স্বাক্ষরিত একাধিক টিকিট। একাধিক বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিট নিয়ে ব্যাগের মধ্যে ওষুধ ভরছিলেন তারা। ধরাপড়ার পর তাদের হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ  রেজাউল ইসলামের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে তখন জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।