ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: শিশুর জন্ম হওয়ার দিন থেকে ৪৫দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার। সরকারের এ নিয়ম মানছেন না মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের অসংখ্য বাসিন্দারা। এছাড়াও জন্মনিবন্ধন সংশোধন বাবদ ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি আদায় অন্যদিকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ।

ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্মসনদ সংশোধন এর জন্য দেড় মাস ধরে ঘুরছি। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, আমি একজন সাবেক ইউপি সদস্য হওয়া সত্বেও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, অথচ এখানে অতিরিক্ত টাকা দিলে এমনও হচ্ছে যে সকালে কাগজ দিলে বিকেলে হয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার রাসেল বলেন, নিজের জন্য ডিজিটাল জন্মসনদ নিতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মসনদের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষকে হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে।

ধানখোলা গ্রামের কালাম হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন এর জন্য সেবাগ্রহীতা সবাইকেই অতিরিক্ত ফ্রি দিতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদে টাকা ছাড়া কোন কাজই সুষ্ঠু ভাবে হয়না। অতিরিক্ত টাকা দিলে সমস্ত কাজই দ্রুত হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্রি না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখে।

অভিযোগের বিষয়ে ধানখোলা ইউনিয়নের সহকারী সচিব ওয়াহেদ ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয় টি আমি শুনেছি, তবে এসব অনিয়মের সাথে আমি জড়িত নয়। সহকারী সচিব-সহ বাকীরা এসব অভিযোগের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম বলেন, সরকার নির্ধারিত ফ্রি-এর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত ফি!

আপলোড টাইম : ০৪:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: শিশুর জন্ম হওয়ার দিন থেকে ৪৫দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার। সরকারের এ নিয়ম মানছেন না মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের অসংখ্য বাসিন্দারা। এছাড়াও জন্মনিবন্ধন সংশোধন বাবদ ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি আদায় অন্যদিকে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ।

ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্মসনদ সংশোধন এর জন্য দেড় মাস ধরে ঘুরছি। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, আমি একজন সাবেক ইউপি সদস্য হওয়া সত্বেও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, অথচ এখানে অতিরিক্ত টাকা দিলে এমনও হচ্ছে যে সকালে কাগজ দিলে বিকেলে হয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার রাসেল বলেন, নিজের জন্য ডিজিটাল জন্মসনদ নিতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মসনদের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষকে হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে।

ধানখোলা গ্রামের কালাম হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন এর জন্য সেবাগ্রহীতা সবাইকেই অতিরিক্ত ফ্রি দিতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদে টাকা ছাড়া কোন কাজই সুষ্ঠু ভাবে হয়না। অতিরিক্ত টাকা দিলে সমস্ত কাজই দ্রুত হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্রি না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখে।

অভিযোগের বিষয়ে ধানখোলা ইউনিয়নের সহকারী সচিব ওয়াহেদ ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয় টি আমি শুনেছি, তবে এসব অনিয়মের সাথে আমি জড়িত নয়। সহকারী সচিব-সহ বাকীরা এসব অভিযোগের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী খানম বলেন, সরকার নির্ধারিত ফ্রি-এর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।