ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও রিটন মেয়র নির্বাচিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

আমঝুপি, পিরোজপুর ও বারাদী ইউপিতে নৌকা এবং শ্যামপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

সমীকরণ প্রতিবেদক: মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান রিটন বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। একই দিন চার ইউনিয়নের নির্বাচনে তিনটিতে নৌকা এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, মেহেরপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে মাহফুজুর রহমান রিটন ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬১টি। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু (নারকেল গাছ) ৭ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। এদিকে সদর উপজেলার চার ইউনিয়নের মধ্যে আমঝুপি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৫২টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম (ঘোড়া) ৭ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়েছেন। পিরোজপুর ইউনিয়নে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ^াস। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ৮ হাজার ৫৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সালাম (আনারস) পেয়েছেন ৬ হাজার ২১০ ভোট।

বারাদী ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ৫ হাজার ৩২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরমান আলী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৪টি ভোট। শ্যামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিয়ার রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬০০৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসেম আলী (ঘোড়া) ৩ হাজার ২৩১ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পেরে ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান ও ওপেন ভোট প্রদানের হুমকি ছিল অনেক ভোটারের প্রতি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কঠোরতায় পুলিশ ও প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতার মধ্যদিয়ে সব হুমকি প্রতিহত করে। নজিরবিহীন সুষ্ঠু পরিবেশে একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬৩টি কেন্দ্রে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন বিভিন্ন বয়সী ভোটাররা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও রিটন মেয়র নির্বাচিত

আপলোড টাইম : ১০:০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

আমঝুপি, পিরোজপুর ও বারাদী ইউপিতে নৌকা এবং শ্যামপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

সমীকরণ প্রতিবেদক: মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান রিটন বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। একই দিন চার ইউনিয়নের নির্বাচনে তিনটিতে নৌকা এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, মেহেরপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে মাহফুজুর রহমান রিটন ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬১টি। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু (নারকেল গাছ) ৭ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। এদিকে সদর উপজেলার চার ইউনিয়নের মধ্যে আমঝুপি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৫২টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম (ঘোড়া) ৭ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়েছেন। পিরোজপুর ইউনিয়নে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ^াস। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ৮ হাজার ৫৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সালাম (আনারস) পেয়েছেন ৬ হাজার ২১০ ভোট।

বারাদী ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ৫ হাজার ৩২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরমান আলী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৪টি ভোট। শ্যামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিয়ার রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬০০৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসেম আলী (ঘোড়া) ৩ হাজার ২৩১ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পেরে ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান ও ওপেন ভোট প্রদানের হুমকি ছিল অনেক ভোটারের প্রতি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কঠোরতায় পুলিশ ও প্রশাসন ব্যাপক তৎপরতার মধ্যদিয়ে সব হুমকি প্রতিহত করে। নজিরবিহীন সুষ্ঠু পরিবেশে একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬৩টি কেন্দ্রে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন বিভিন্ন বয়সী ভোটাররা।