ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বার কান ধরে উঠবস ও ১০ হাজার টাকায় ধর্ষণ চেষ্টার মীমাংসা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: মেহেরপুরে জোর করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কাবের আলী নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনায় ১০ হাজার টাকা ও ১০বার কান ধরে উঠবস করে মীমাংসার করা অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আফরাজুল আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর থেকে লাফ দিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে এক সন্তানের জননী (২২) কে ধর্ষণ চেষ্টা করে একই গ্রামের ভূমিহীনপাড়ার ফড়ির ছেলে কাবের আলী (৩০) নামের এক যুবক। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে কাবের আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, ‘আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সুবাদে আমার স্ত্রী বাড়ীতে একা ছিল। এই সুযোগে কাবের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে স্থানীয় মেম্বার ১০ হাজার টাকা এবং ১০ বার কান ধরে উঠবস করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।’

ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ওই নারী জানান, ‘আমার স্বামী আশিক হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কারণে আমি রাতে আমার নানী শ্বাশুড়িকে পাশে নিয়ে ঘরের দরজার সামনে বসে মোবাইলে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কিসের শব্দে চমকিয়ে উঠি। এসময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাবের দেরি না করে আমার হাত চেপে ধরে। কাবের আলীকে দেখে আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। আমার চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন বের হয়ে আসলে কাবের মই বেয়ে প্রাচীর টপকে দ্রুত বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা টর্চ লাইটের আলো দিয়ে তার পিছনে পিছনে ধাওয়া করলে পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্য হারিয়ে যায় কাবের।’

শালিসের বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফরাজুল আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল আমরা সকালে আপস-মীমাংসা করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যেভাবেই হোক, যে করেই হোক, মীমাংসা তো হয়ে গেছে।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা দারা খান পিপিএম জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

১০ বার কান ধরে উঠবস ও ১০ হাজার টাকায় ধর্ষণ চেষ্টার মীমাংসা!

আপলোড টাইম : ০৩:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: মেহেরপুরে জোর করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কাবের আলী নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনায় ১০ হাজার টাকা ও ১০বার কান ধরে উঠবস করে মীমাংসার করা অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আফরাজুল আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর থেকে লাফ দিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে এক সন্তানের জননী (২২) কে ধর্ষণ চেষ্টা করে একই গ্রামের ভূমিহীনপাড়ার ফড়ির ছেলে কাবের আলী (৩০) নামের এক যুবক। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে কাবের আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, ‘আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সুবাদে আমার স্ত্রী বাড়ীতে একা ছিল। এই সুযোগে কাবের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে স্থানীয় মেম্বার ১০ হাজার টাকা এবং ১০ বার কান ধরে উঠবস করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।’

ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ওই নারী জানান, ‘আমার স্বামী আশিক হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কারণে আমি রাতে আমার নানী শ্বাশুড়িকে পাশে নিয়ে ঘরের দরজার সামনে বসে মোবাইলে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কিসের শব্দে চমকিয়ে উঠি। এসময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাবের দেরি না করে আমার হাত চেপে ধরে। কাবের আলীকে দেখে আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। আমার চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন বের হয়ে আসলে কাবের মই বেয়ে প্রাচীর টপকে দ্রুত বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা টর্চ লাইটের আলো দিয়ে তার পিছনে পিছনে ধাওয়া করলে পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্য হারিয়ে যায় কাবের।’

শালিসের বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফরাজুল আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল আমরা সকালে আপস-মীমাংসা করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যেভাবেই হোক, যে করেই হোক, মীমাংসা তো হয়ে গেছে।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা দারা খান পিপিএম জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’