ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি, লাভবান কৃষকরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি। উৎপাদন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। শীতকালীন সবজি গ্রীষ্মকালে চাষ হওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষকদের সর্বদা সহযোগিতা করে যাচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯২ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজির চাহিদা ভালো থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। কৃষিনির্ভর মেহেরপুরে তিন বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বছরজুড়ে চাষ শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি চাষের। শুরুতে তেমন একটা সফলতা ধরা না দিলেও বতর্মানে সফলতার মুখ দেখছে। কৃষকরা বলছেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে দ্বিগুনের বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব। বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় প্রতিনিয়তই কৃষকরা ঝুঁকছেন গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে। ধীরে ধীরে কৃষকদের কাছে এটি যেন একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে রুপ ধারণ করছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে একটু খরচ বেশি হলেও বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে কপি চাষ করতে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে জমি থেকে জেলার বাইরের পার্টিরা এসে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আর স্থানীয়ভাবে খুচরা বেঁচতে পারলে তা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পযর্ন্ত পাওয়া সম্ভব।

গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের ফুলকপি চাষি আজমাইন হোসেন জানান, ‘আমাদের এই মাঠে এবার বেশ কিছু জমিতেই গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি ফুল কপির চাষ হয়েছে। গত বছর আমি এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছিলাম। তবে সেবার বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এবার খুব ভালো হয়েছে। তাছাড়া এর বাজারে দামও বেশ ভালো। এবছর গড় সাপটা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতি পিস ফুল কপি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে।’

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আলম জানান, মেহেরপুরের মাটি প্রাকৃতিকভাবেই খুব উর্বর হওয়ায় এখানে বছরজুড়ে প্রায় সব ধরণের সবজি হয়ে থাকে। জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ৯২ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ হচ্ছে। এ ফসলটি ৯০ দিনের মধ্যেই উঠে যায়। তাছাড়া বতর্মান বাজারে বাঁধাকপি-ফুলকপির চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চলে যায়। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। আর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষীদের সর্বদা পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি, লাভবান কৃষকরা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি। উৎপাদন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। শীতকালীন সবজি গ্রীষ্মকালে চাষ হওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষকদের সর্বদা সহযোগিতা করে যাচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯২ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজির চাহিদা ভালো থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। কৃষিনির্ভর মেহেরপুরে তিন বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বছরজুড়ে চাষ শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি চাষের। শুরুতে তেমন একটা সফলতা ধরা না দিলেও বতর্মানে সফলতার মুখ দেখছে। কৃষকরা বলছেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে দ্বিগুনের বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব। বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় প্রতিনিয়তই কৃষকরা ঝুঁকছেন গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে। ধীরে ধীরে কৃষকদের কাছে এটি যেন একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে রুপ ধারণ করছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে একটু খরচ বেশি হলেও বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে কপি চাষ করতে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে জমি থেকে জেলার বাইরের পার্টিরা এসে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আর স্থানীয়ভাবে খুচরা বেঁচতে পারলে তা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পযর্ন্ত পাওয়া সম্ভব।

গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের ফুলকপি চাষি আজমাইন হোসেন জানান, ‘আমাদের এই মাঠে এবার বেশ কিছু জমিতেই গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি ফুল কপির চাষ হয়েছে। গত বছর আমি এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছিলাম। তবে সেবার বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এবার খুব ভালো হয়েছে। তাছাড়া এর বাজারে দামও বেশ ভালো। এবছর গড় সাপটা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতি পিস ফুল কপি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে।’

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আলম জানান, মেহেরপুরের মাটি প্রাকৃতিকভাবেই খুব উর্বর হওয়ায় এখানে বছরজুড়ে প্রায় সব ধরণের সবজি হয়ে থাকে। জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ৯২ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ হচ্ছে। এ ফসলটি ৯০ দিনের মধ্যেই উঠে যায়। তাছাড়া বতর্মান বাজারে বাঁধাকপি-ফুলকপির চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চলে যায়। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। আর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষীদের সর্বদা পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।