ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক ওড়নায় ফাঁস দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: একই ওড়নায় একই সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে সাগর হোসেন (১৮) ও চামেলী খাতুন (১৬) নামের স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দি গুচ্ছগ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চামেলীর পিতার ঘর থেকে ওই দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে পারেনি পরিবার ও পুলিশ। কী কারণে তারা আত্মহননের পথ বেছে নিল, তা বুঝতে পারছেন না উভয় পরিবার।

জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কে মাধ্যমে এক বছর আগে গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কালুর মেয়ে চামেলীর সাথে সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের ইকতার আলীর ছেলে সাগর হোসেনের বিয়ে হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চামেলী খাতুন বেশ কয়েকদিন ধরে পিতার বাড়িতে ছিলেন। গত সোমবার গভীর রাতে পিতার সাথে দ্বন্দ্ব করে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে সাগর। দুপুরের দিকে সাগর ও চামেলী মায়ের কাছে রুটি খাওয়ার আবদার করে। বাড়িতে আটা না থাকায় দোকানে আটা কিনতে গিয়েছিলেন চামেলীর মা হাফিজা খাতুন। ফিরে এসে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন তিনি। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের সহায়তা ঘরের দরজা ভেঙে তাদের দুজনকে একই ওড়নায় ঝুলে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

চামেলীর মা হাফিজা খাতুন বলেন, সকাল থেকেই জামাই-মেয়ে বেশ হাসি-খুশি ছিল। আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণই নেই। তাই কেন তারা আত্মহত্যা করল, তার কিছুই আচ করতে পারছি না আমরা। তবে অনেক আগে থেকেই জামাই সাগরের মাথায় সমস্যা অর্থাৎ কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন ছিলেন বলে দাবি করেন হাফিজা খাতুন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এক ওড়নায় ফাঁস দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৮:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: একই ওড়নায় একই সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে সাগর হোসেন (১৮) ও চামেলী খাতুন (১৬) নামের স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দি গুচ্ছগ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চামেলীর পিতার ঘর থেকে ওই দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে পারেনি পরিবার ও পুলিশ। কী কারণে তারা আত্মহননের পথ বেছে নিল, তা বুঝতে পারছেন না উভয় পরিবার।

জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কে মাধ্যমে এক বছর আগে গাংনী উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কালুর মেয়ে চামেলীর সাথে সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের ইকতার আলীর ছেলে সাগর হোসেনের বিয়ে হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চামেলী খাতুন বেশ কয়েকদিন ধরে পিতার বাড়িতে ছিলেন। গত সোমবার গভীর রাতে পিতার সাথে দ্বন্দ্ব করে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে সাগর। দুপুরের দিকে সাগর ও চামেলী মায়ের কাছে রুটি খাওয়ার আবদার করে। বাড়িতে আটা না থাকায় দোকানে আটা কিনতে গিয়েছিলেন চামেলীর মা হাফিজা খাতুন। ফিরে এসে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন তিনি। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের সহায়তা ঘরের দরজা ভেঙে তাদের দুজনকে একই ওড়নায় ঝুলে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

চামেলীর মা হাফিজা খাতুন বলেন, সকাল থেকেই জামাই-মেয়ে বেশ হাসি-খুশি ছিল। আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণই নেই। তাই কেন তারা আত্মহত্যা করল, তার কিছুই আচ করতে পারছি না আমরা। তবে অনেক আগে থেকেই জামাই সাগরের মাথায় সমস্যা অর্থাৎ কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন ছিলেন বলে দাবি করেন হাফিজা খাতুন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে।