ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা ও গাংনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও মেহেরপুরের গাংনীতে অবৈধভাবে করাত-কল স্থাপন ও এর লাইসেন্স না থাকার অপরাধে মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে একটি কারখানা বন্ধের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা সদরে ও গাংনীর বিভিন্ন বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দামুড়হুদা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে একটি করাত কলের লাইসেন্স না থাকার অপরাধে করাত কল মালিকের তিন হাজার টাকা জরিমানা ও কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দেন  ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী  ম্যাজিট্টেট দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সুদীপ্ত কুমার সিংহ। গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে এ নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্টেট। জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরে তাহাজেতের ছেলে আলম হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ লাইসেন্স বিহীন করাত কল চালিয়ে যাচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সুদীপ্ত কুমার সিংহ ঘটনাস্থানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করাত কলের লাইসেন্স না থাকার অপরাধে করাত কলের মালিক আলমকে দোষী সাবস্ত্য করে ১৮৬০ সালের ২৯১ ধারায় তিন হাজার টাকা ও করাত কল  বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা রাকিব উদ্দীন ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

গাংনী:

অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন ও কাঠ চেরাই করার দায়ে মেহেরপুরের গাংনীর তিনটি করাত কলকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে বন বিভাগের সহায়তায় পৃথক তিনটি আদালত এ জরিমানা আদায় করেন। সেই সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। মেহেরপুর জেলা বন বিভগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর উল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন যাবত কয়েকটি করাত কল অনুমোদন না নিয়ে কাঠ চেরাই করছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান স্থানীয় তেরাইল বাজারের শরিফুল করাত-কলকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী ছাতিয়ান বাজারের আমিরুল করাত কলকে পাঁচ হাজার টাকা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহাম্মেদ মোফাসের তেরাইল বাজারের সেলিম করাত কলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযুক্ত করাতকল মালিকগন সাত দিনের মধ্যে বনবিভাগের কাছ থেকে অনুমোদন নিবেন বলেও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদা ও গাংনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযান

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

সমীকরণ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও মেহেরপুরের গাংনীতে অবৈধভাবে করাত-কল স্থাপন ও এর লাইসেন্স না থাকার অপরাধে মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে একটি কারখানা বন্ধের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা সদরে ও গাংনীর বিভিন্ন বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দামুড়হুদা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরে একটি করাত কলের লাইসেন্স না থাকার অপরাধে করাত কল মালিকের তিন হাজার টাকা জরিমানা ও কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দেন  ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী  ম্যাজিট্টেট দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সুদীপ্ত কুমার সিংহ। গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে এ নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্টেট। জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরে তাহাজেতের ছেলে আলম হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ লাইসেন্স বিহীন করাত কল চালিয়ে যাচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি সুদীপ্ত কুমার সিংহ ঘটনাস্থানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করাত কলের লাইসেন্স না থাকার অপরাধে করাত কলের মালিক আলমকে দোষী সাবস্ত্য করে ১৮৬০ সালের ২৯১ ধারায় তিন হাজার টাকা ও করাত কল  বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা রাকিব উদ্দীন ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

গাংনী:

অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন ও কাঠ চেরাই করার দায়ে মেহেরপুরের গাংনীর তিনটি করাত কলকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে বন বিভাগের সহায়তায় পৃথক তিনটি আদালত এ জরিমানা আদায় করেন। সেই সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। মেহেরপুর জেলা বন বিভগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর উল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন যাবত কয়েকটি করাত কল অনুমোদন না নিয়ে কাঠ চেরাই করছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান স্থানীয় তেরাইল বাজারের শরিফুল করাত-কলকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী ছাতিয়ান বাজারের আমিরুল করাত কলকে পাঁচ হাজার টাকা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহাম্মেদ মোফাসের তেরাইল বাজারের সেলিম করাত কলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযুক্ত করাতকল মালিকগন সাত দিনের মধ্যে বনবিভাগের কাছ থেকে অনুমোদন নিবেন বলেও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।