ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে গণমাধ্যমকর্মীর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

আল আমীন, গাংনী : মেহেরপুরের গাংনীতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে দৈনিক কুষ্টিয়া প্রত্রিকার সংবাদদাতা বিল্লাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মী বিল্লাল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ২৯ মে তারিখে আমার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যু এএসআই আ. সালাম এর পক্ষে তার পুত্র সাইদুর রহমান একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। আমি ভূমি দস্যু আ. সালামের বিরুদ্ধে কখনই সংবাদ সম্মেলন বা কোথাও কোনো প্রকারের অভিযোগ করি নাই। ভূমিদস্যু আ. সালাম তার পুত্রকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আ. সালামের ছেলে দাবী করেন ১২ অক্টোবর ২০১২ সালে ৪৮২ নম্বর আর এস খতিয়ান ভুক্ত ৪১ শতক জমি রুহুল আমিন এর নিকট হতে ইসারন নেছা ক্রয় করেন। অথচ উক্ত জমির উপর ৩ মার্চ ২০১২ ইং তারিখে গাংনী সহকারী জজ আদালত দেং ৯৩/২০১২ মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে মামলা করার প্রায় ৭ মাস পর উক্ত জমির উপর তথ্য গোপন করে ভূমি দস্যু আ. সালাম রুহুল আমিমের নিকট হতে ক্রয় করে তার স্ত্রী ইসারন নেছার নামে দলিল করে দেন। বিজ্ঞ আদালত মামলা পর্যবেক্ষন করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে মোশারফ হোসেন দিং এর পক্ষে রায় এবং ডিগ্রি প্রদান করেন। নামজারী কেসের হোল্ডিং ভুক্ত ৬৩ নং কাষ্টদহ মৌজার আর এস ৪৮২ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত আর এস ১১৮/১১৭২ নম্বর দাগের সমুদয় ৪১ শতক জমি কর্তন করে আবেদন কারী মোশারফ হোসেন গং এর নামে ৭৯৫ নং নতুন খতিয়ান অনুমোদন করেন।

ভূমি দস্যু আ. সালামের ছেলে আরো বলেন আমরা উক্ত জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ উক্ত জমি আমাদের পারিবারিক কবর স্থান। আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে আমার দাদাকে ওই জমিতে দাফন করা হয়। এবং প্রায় ১৬ বছর আগে আমার ছোট চাচাকে ওই জমিতে দাফন করা হয় এবং প্রায় ১২ বছর আগে আমার দাদীকে ঐ জমিতে দাফন করা হয়। ঐ জমিতে বর্তমানে মোট ৩ টি কবর দৃশ্যমান রয়েছে। ঐ জমি ৪ জেনারেশন পূর্ব থেকে আমাদের দখলে রয়েছে।

ভূমি দস্যু আ. সালামের ছেলে আরো দাবী করেন মৃত নবীছদ্দিনের স্ত্রী পরিছন নেছা বিজ্ঞ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মিস কেস করেছেন। মিস কেস করার নিয়ম হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে অথচ উনারা মিসকেচ করেছেন ১৬৫ দিন পর। ভূমি দস্যু আ. সালামের পুত্র আরো বলেন আমি নাকি তার মেজ চাচার খুনের আসামি। আমি কখনই কোন খুনের আসামি ছিলাম না। লোক মুখে শুনেছি ভূমি দস্যু আ. সালামের মেজ ভাইকে খুন করেছে হবিবুর নামের এক জন এবং সেই খুনের আসামি ছিলেন একজন। আদালত তাকে জাবতজীবণ কারাদণ্ড দেন এবং তিনি যশোর জেলে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আমি পেশায় একজন সাংবাদিক। আমি দীর্ঘ সময় অত্যান্ত সুনামের সাথে আমার দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। ভূমি দস্যু আ. সালাম গং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার সহকর্মীদের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, এবং সেই সাথে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে গণমাধ্যমকর্মীর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

আল আমীন, গাংনী : মেহেরপুরের গাংনীতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে দৈনিক কুষ্টিয়া প্রত্রিকার সংবাদদাতা বিল্লাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মী বিল্লাল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ২৯ মে তারিখে আমার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যু এএসআই আ. সালাম এর পক্ষে তার পুত্র সাইদুর রহমান একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। আমি ভূমি দস্যু আ. সালামের বিরুদ্ধে কখনই সংবাদ সম্মেলন বা কোথাও কোনো প্রকারের অভিযোগ করি নাই। ভূমিদস্যু আ. সালাম তার পুত্রকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আ. সালামের ছেলে দাবী করেন ১২ অক্টোবর ২০১২ সালে ৪৮২ নম্বর আর এস খতিয়ান ভুক্ত ৪১ শতক জমি রুহুল আমিন এর নিকট হতে ইসারন নেছা ক্রয় করেন। অথচ উক্ত জমির উপর ৩ মার্চ ২০১২ ইং তারিখে গাংনী সহকারী জজ আদালত দেং ৯৩/২০১২ মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে মামলা করার প্রায় ৭ মাস পর উক্ত জমির উপর তথ্য গোপন করে ভূমি দস্যু আ. সালাম রুহুল আমিমের নিকট হতে ক্রয় করে তার স্ত্রী ইসারন নেছার নামে দলিল করে দেন। বিজ্ঞ আদালত মামলা পর্যবেক্ষন করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে মোশারফ হোসেন দিং এর পক্ষে রায় এবং ডিগ্রি প্রদান করেন। নামজারী কেসের হোল্ডিং ভুক্ত ৬৩ নং কাষ্টদহ মৌজার আর এস ৪৮২ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত আর এস ১১৮/১১৭২ নম্বর দাগের সমুদয় ৪১ শতক জমি কর্তন করে আবেদন কারী মোশারফ হোসেন গং এর নামে ৭৯৫ নং নতুন খতিয়ান অনুমোদন করেন।

ভূমি দস্যু আ. সালামের ছেলে আরো বলেন আমরা উক্ত জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ উক্ত জমি আমাদের পারিবারিক কবর স্থান। আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে আমার দাদাকে ওই জমিতে দাফন করা হয়। এবং প্রায় ১৬ বছর আগে আমার ছোট চাচাকে ওই জমিতে দাফন করা হয় এবং প্রায় ১২ বছর আগে আমার দাদীকে ঐ জমিতে দাফন করা হয়। ঐ জমিতে বর্তমানে মোট ৩ টি কবর দৃশ্যমান রয়েছে। ঐ জমি ৪ জেনারেশন পূর্ব থেকে আমাদের দখলে রয়েছে।

ভূমি দস্যু আ. সালামের ছেলে আরো দাবী করেন মৃত নবীছদ্দিনের স্ত্রী পরিছন নেছা বিজ্ঞ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মিস কেস করেছেন। মিস কেস করার নিয়ম হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে অথচ উনারা মিসকেচ করেছেন ১৬৫ দিন পর। ভূমি দস্যু আ. সালামের পুত্র আরো বলেন আমি নাকি তার মেজ চাচার খুনের আসামি। আমি কখনই কোন খুনের আসামি ছিলাম না। লোক মুখে শুনেছি ভূমি দস্যু আ. সালামের মেজ ভাইকে খুন করেছে হবিবুর নামের এক জন এবং সেই খুনের আসামি ছিলেন একজন। আদালত তাকে জাবতজীবণ কারাদণ্ড দেন এবং তিনি যশোর জেলে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আমি পেশায় একজন সাংবাদিক। আমি দীর্ঘ সময় অত্যান্ত সুনামের সাথে আমার দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। ভূমি দস্যু আ. সালাম গং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আমার সহকর্মীদের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, এবং সেই সাথে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।