ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলা করতে এসে আসামি হয়ে জেলে গেলেন বাদী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: মামলা দায়ের করতে গিয়ে আসামি হয়ে জেলে গেলেন স্বয়ং বাদী। গতকাল রোববার মেহেরপুর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ্ মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদীর বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেন এবং তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, আসামিরা ৬ জন মিলে ধারালো রাম দা, হাসুয়া, বটি এবং রড দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা, গলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাম-দা ও হাসুয়ার কোপে তার মাথায় রক্তাক্ত হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। এছাড়া গলা এবং হাতে মারাত্মক আঘাত লাগে। ভিকটিম মো. মিজানুর রহমান নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে আসেন। আদালতে হলফ করে সে ঘটনার এমন বর্ণনা প্রদান করেন। তার মাথা, গলা এবং হতে রক্তমাখা ব্যান্ডেজ দেখা যায়। কিন্তু, আঘাতের বর্ণনা এবং হামলার ধরন শুনে আদালতের সন্দেহ হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ্ তার আঘাত দেখতে চান। আদালতে তার মাথা, গলা এবং হাতের ব্যান্ডেজ খোলা হয়। এবার দেখা যায় তার শরীরে এমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, সামান্য আঁচড়ের মত চিহ্ন আছে। এছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেখেও বাদীর বর্ণনা মিথ্যা মর্মে প্রতীয়মান হয়। বিধায় আদালত মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন। একই সাথে মিথ্যা মামলা এবং হলফ করে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে বাদীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মামলা করতে এসে আসামি হয়ে জেলে গেলেন বাদী!

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: মামলা দায়ের করতে গিয়ে আসামি হয়ে জেলে গেলেন স্বয়ং বাদী। গতকাল রোববার মেহেরপুর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ্ মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদীর বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেন এবং তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, আসামিরা ৬ জন মিলে ধারালো রাম দা, হাসুয়া, বটি এবং রড দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা, গলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাম-দা ও হাসুয়ার কোপে তার মাথায় রক্তাক্ত হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। এছাড়া গলা এবং হাতে মারাত্মক আঘাত লাগে। ভিকটিম মো. মিজানুর রহমান নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে আসেন। আদালতে হলফ করে সে ঘটনার এমন বর্ণনা প্রদান করেন। তার মাথা, গলা এবং হতে রক্তমাখা ব্যান্ডেজ দেখা যায়। কিন্তু, আঘাতের বর্ণনা এবং হামলার ধরন শুনে আদালতের সন্দেহ হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহ্ তার আঘাত দেখতে চান। আদালতে তার মাথা, গলা এবং হাতের ব্যান্ডেজ খোলা হয়। এবার দেখা যায় তার শরীরে এমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, সামান্য আঁচড়ের মত চিহ্ন আছে। এছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেখেও বাদীর বর্ণনা মিথ্যা মর্মে প্রতীয়মান হয়। বিধায় আদালত মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন। একই সাথে মিথ্যা মামলা এবং হলফ করে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে বাদীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।