ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে ছাগল ব্যবসায়ী হত্যার আসামি কারাগারে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার লিটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে লিটনকে আদালতে নেওয়ার পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেখ হাসানের আদালতে তিনি তাঁর দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে লিটনকে বিকেলের দিকে কারাগারে নেওয়া হয়।

এর আগে গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে হরিরামপুর গ্রামের মাঠে তোফাজ্জলের মরদেহ উদ্ধার করার পর রাতে লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিটন তেরোঘরিয়া গ্রামের আসাদ আলী ছেলে, এবং হরিরামপুর গ্রামের হাসমত আলীর জামাতা। কয়েকমাস পূর্বে লিটন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস শুরু করেন। এবং নিহত তোফাজ্জলের সঙ্গে ছাগলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

জানা গেছে, ছাগলের ব্যবসা করার সময় নিহত তোফাজ্জেলের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করে লিটন। তোফাজ্জেল ওই টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করাই লিটনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ধার নেওয়া ওই টাকা যাতে করে ফেরত দিতে না হয়, সেই জন্য আগের দিন রাতে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কৌশলে তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। তোফাজ্জল যখন ঘুমের ঘোরে অচেতন হয়ে পড়ে, তখনই তাকে গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ হত্যাকারী কে ধরার জন্য মোবাইলে টেকিং শুরু করেন।

রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল অপু সরোয়ারের নেতৃত্বে লিটনকে আটক করে। তোফাজ্জলকে হত্যা করার পর সকালে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিল লিটন। নিহত তোফাজ্জল হোসেনের কাছে রাখা টাকা নিয়ে সকালে তার ভাইকে পাওনা টাকা বাবদ কিছু টাকা ফেরত দেয় বলে জানা গেছে।

মৃত্যুর ঘটনা ঘটানোর পর ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। সে থেকে পুলিশের সন্দেহ তার ওপরে এবং রাতে গিয়ে তাকে আটক করে। গতকাল মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তোফাজ্জেলের ভাই মোজাম্মেল বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নম্বর ১৮।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মেহেরপুরে ছাগল ব্যবসায়ী হত্যার আসামি কারাগারে

আপলোড টাইম : ১০:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার লিটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে লিটনকে আদালতে নেওয়ার পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেখ হাসানের আদালতে তিনি তাঁর দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে লিটনকে বিকেলের দিকে কারাগারে নেওয়া হয়।

এর আগে গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে হরিরামপুর গ্রামের মাঠে তোফাজ্জলের মরদেহ উদ্ধার করার পর রাতে লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিটন তেরোঘরিয়া গ্রামের আসাদ আলী ছেলে, এবং হরিরামপুর গ্রামের হাসমত আলীর জামাতা। কয়েকমাস পূর্বে লিটন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস শুরু করেন। এবং নিহত তোফাজ্জলের সঙ্গে ছাগলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

জানা গেছে, ছাগলের ব্যবসা করার সময় নিহত তোফাজ্জেলের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করে লিটন। তোফাজ্জেল ওই টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করাই লিটনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ধার নেওয়া ওই টাকা যাতে করে ফেরত দিতে না হয়, সেই জন্য আগের দিন রাতে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কৌশলে তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। তোফাজ্জল যখন ঘুমের ঘোরে অচেতন হয়ে পড়ে, তখনই তাকে গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ হত্যাকারী কে ধরার জন্য মোবাইলে টেকিং শুরু করেন।

রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল অপু সরোয়ারের নেতৃত্বে লিটনকে আটক করে। তোফাজ্জলকে হত্যা করার পর সকালে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিল লিটন। নিহত তোফাজ্জল হোসেনের কাছে রাখা টাকা নিয়ে সকালে তার ভাইকে পাওনা টাকা বাবদ কিছু টাকা ফেরত দেয় বলে জানা গেছে।

মৃত্যুর ঘটনা ঘটানোর পর ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক। সে থেকে পুলিশের সন্দেহ তার ওপরে এবং রাতে গিয়ে তাকে আটক করে। গতকাল মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তোফাজ্জেলের ভাই মোজাম্মেল বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নম্বর ১৮।