ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে রোগীর পেটে কাঁচি রাখার ঘটনায় রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০২:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

রোগীর পেটে কাঁচি রাখার ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে রাজা ক্লিনিকের সত্ত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা বলেন, ‘তারা রাজশাহী থেকে একটি ছবি করে এনে আমাকে দেখিয়েছে। পেটের মধ্যে একটি ফরসেপ (কাঁচি) আছে। ওই রোগীকে আমাদের টিম অপারেশন করে। টিমে আমরা চারজন ছিলাম। টিমের চারজন ছিলেন মিজানুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলাম আমি, আর অজ্ঞানের ডাক্তার ছিল ডাক্তার তাপস, আমাদের টিমের কোথায় একটি ভুল হয়ে গেছে। যার কারণে হয়তো এমন একটা মিসিং হয়ে গেছে। এতদিন হয়তো এটি ধরা পড়েনি। ২০ বছর পর যেভাবেই হোক পরীক্ষা করতে গিয়ে এটি (কাঁচি) ধরা পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোগীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি। রোগীর পরিবার যেভাবে চায়, বিষয়টি আমি সেভাবে দেখব।’

অন্যদিকে, গতকাল বুধবার বিকেলে বাচেনা খাতুনের পেটে থাকা কাঁচি অপারেশনের জন্য চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে মাত্রা অতিরিক্ত ডায়াবেটিস থাকার কারণে অপারেশন করা সম্ভব হয়নি।

বাচেনা খাতুনের প্রতিবেশীরা জানান, ডাক্তার যে অপরাধ করেছে, এই কাজের জন্য ডাক্তারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। সেই সাথে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করলে ডাক্তারদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০ বছর আগে গাংনীর রাজা ক্লিনিকে পিত্তথলিতে পাথর অপারেশন করতে আসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী আবদুল হামিদের স্ত্রী বাচেনা খাতুন। অপারেশনের পর থেকে বিভিন্নভাবে জ্বালা-যন্ত্রণা অনুভব করলে গত রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসিম রেজা পরামর্শে এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে পেটের মধ্যে ৫ ইঞ্চি একটি কাঁচির সন্ধান মেলে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীতে রোগীর পেটে কাঁচি রাখার ঘটনায় রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

আপলোড টাইম : ০২:৫৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

রোগীর পেটে কাঁচি রাখার ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে রাজা ক্লিনিকের সত্ত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা বলেন, ‘তারা রাজশাহী থেকে একটি ছবি করে এনে আমাকে দেখিয়েছে। পেটের মধ্যে একটি ফরসেপ (কাঁচি) আছে। ওই রোগীকে আমাদের টিম অপারেশন করে। টিমে আমরা চারজন ছিলাম। টিমের চারজন ছিলেন মিজানুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলাম আমি, আর অজ্ঞানের ডাক্তার ছিল ডাক্তার তাপস, আমাদের টিমের কোথায় একটি ভুল হয়ে গেছে। যার কারণে হয়তো এমন একটা মিসিং হয়ে গেছে। এতদিন হয়তো এটি ধরা পড়েনি। ২০ বছর পর যেভাবেই হোক পরীক্ষা করতে গিয়ে এটি (কাঁচি) ধরা পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোগীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি। রোগীর পরিবার যেভাবে চায়, বিষয়টি আমি সেভাবে দেখব।’

অন্যদিকে, গতকাল বুধবার বিকেলে বাচেনা খাতুনের পেটে থাকা কাঁচি অপারেশনের জন্য চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে মাত্রা অতিরিক্ত ডায়াবেটিস থাকার কারণে অপারেশন করা সম্ভব হয়নি।

বাচেনা খাতুনের প্রতিবেশীরা জানান, ডাক্তার যে অপরাধ করেছে, এই কাজের জন্য ডাক্তারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। সেই সাথে এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করলে ডাক্তারদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০ বছর আগে গাংনীর রাজা ক্লিনিকে পিত্তথলিতে পাথর অপারেশন করতে আসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী আবদুল হামিদের স্ত্রী বাচেনা খাতুন। অপারেশনের পর থেকে বিভিন্নভাবে জ্বালা-যন্ত্রণা অনুভব করলে গত রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসিম রেজা পরামর্শে এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে পেটের মধ্যে ৫ ইঞ্চি একটি কাঁচির সন্ধান মেলে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।