ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটি টাকার পাটবীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র অযত্ন-অবহেলায় হচ্ছে নষ্ট : ডিডি থাকেন বাড়ি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন পাটবীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ১৯৮৪-৮৫ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এখানে আছে উন্নতমানের প্রযুক্তির কোটি কোটি টাকার মেশিন, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দুটি মেশিন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর। উন্নত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম যেখানে কয়েক হাজার টন বীজ সংরক্ষণ করা সম্ভব। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা-অযত্নের কারণে দিন দিন এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ লিখন জানান, এই বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি দিন দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবার সময় এসেছে। একজন ডিডি, একজন অফিস সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক ছাড়া এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি সংরক্ষণের জন্য তেমন কোনো জনবল নেই। এর মধ্যে ডিডি মনিরুল ইসলাম মাসে একদিন অফিস করেন শুধুমাত্র বেতন-বিল নেওয়ার জন্য আসেন। আর কোনো কোনো সময় অফিস সহকারী ডিডির বাড়ি ময়মনসিংহ গিয়ে স্বাক্ষর করে আনেন।

এবিষয়ে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিডি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই আমি বাড়িতে থাকি।’ চিতলা ভিত্তি পাটবীজ খামারে যুগ্ম পরিচালক রেজাউল হুদা জানান, ‘আমার সেকশন আর বীজ প্রক্রিয়াকরণ সেকশন আলাদা। তাই এই বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কোটি টাকার পাটবীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র অযত্ন-অবহেলায় হচ্ছে নষ্ট : ডিডি থাকেন বাড়ি!

আপলোড টাইম : ১০:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন পাটবীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ১৯৮৪-৮৫ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এখানে আছে উন্নতমানের প্রযুক্তির কোটি কোটি টাকার মেশিন, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দুটি মেশিন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর। উন্নত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম যেখানে কয়েক হাজার টন বীজ সংরক্ষণ করা সম্ভব। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা-অযত্নের কারণে দিন দিন এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ লিখন জানান, এই বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি দিন দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবার সময় এসেছে। একজন ডিডি, একজন অফিস সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক ছাড়া এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি সংরক্ষণের জন্য তেমন কোনো জনবল নেই। এর মধ্যে ডিডি মনিরুল ইসলাম মাসে একদিন অফিস করেন শুধুমাত্র বেতন-বিল নেওয়ার জন্য আসেন। আর কোনো কোনো সময় অফিস সহকারী ডিডির বাড়ি ময়মনসিংহ গিয়ে স্বাক্ষর করে আনেন।

এবিষয়ে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিডি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই আমি বাড়িতে থাকি।’ চিতলা ভিত্তি পাটবীজ খামারে যুগ্ম পরিচালক রেজাউল হুদা জানান, ‘আমার সেকশন আর বীজ প্রক্রিয়াকরণ সেকশন আলাদা। তাই এই বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না।’