ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে; অ্যাড. জয়নুল আবেদীন

মিজানুর রহমান জনি, মেহেরপুর:
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে


বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছিল ১৫টি। বেগম খালেদা জিয়ার নামে হয়েছিল মাত্র ৪টি মামলা। সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বলে তার সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আর বেগম খালেদা জিয়ার চারটি মামলাকে ৩৬টি বানানো হয়েছে। কিন্তু একদিন না একদিন সব হিসেব শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। এই বাংলার মানুষ সব হিসেব বুঝে নিবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে এখন নতুন নাটক চলছে। এর আগে নাটক করে দুটি কমিশন করা হয়েছিল। একটি রকিব কমিশন আর একটি হুদা কমিশন। রকিব কমিশন বিনা নির্বাচনে ১৫৪ আসন করে দিয়েছে, আর হুদা কমিশন দিনের ভোট রাতে করে দিয়েছে। কিন্তু এবার এটা বিএনপি হতে দেবে না। রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। আর গৃহপালিত দলের সাথে নাটকীয় সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি গণতন্ত্রের মানসকন্যা বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা। তিনার সুচিকিৎসার দাবিতে সারা বাংলাদেশ যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা দেখে আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, আপনাদের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। আপনাদের এবার বিদায় নিতে হবে, সারা বাংলাদেশে জোয়ার উঠেছে, আজ মেহেরপুরেও দেখলাম গণজোয়ার উঠেছে। আর এই গণজোয়ারে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে। তাই এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে সসম্মানে সরকারি খরচে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসা করুন। আপনারা একজন আইনমন্ত্রীর কথা শুনেছেন, যে আইনমন্ত্রী প্রচুর মিথ্যা কথা বলেন। ক্ষণেক্ষণে কারণ ছাড়াই মিথ্যা বলেন। তিনি বারবার শপথ ভঙ্গ করেছেন সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। গতদিনও শুনলাম তিনি বলেছেন ৪০১ ধারাই যা কিছু আছে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলখানায় যেয়ে চিকিৎসার জন আবেদন করতে হবে। আমি আজ এই মেহেরপুরের জনসভা থেকে মাননীয় আইনমন্ত্রী আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি ৪০১ ধারায় সরকারের ক্ষমতা দেওয়া আছে তাকে তার সাজা মওকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠাবার এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার। এই আইনের মধ্যে কোথাও নেই খালেদা জিায়াকে আবার জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আমি আজকে আবার চ্যালেঞ্জ করছি। আইনমন্ত্রী আপনি যদি দেখাতে পারেন এটা তাহলে আমি আর জীবনে যাদের ভোটে আমি বারবার আইনজীবীদের সভাপতি হয়েছি। তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইবো এবং আমি আমার পেশা থেকে বিদায় নেব। তাই আপনার সাহস থাকলে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। এই মিথ্যা কথা বলার জন্য আইনমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রী পরিষদকে পদত্যাগ করতে হবে। পালিয়ে যেতে পারবেন না কারণ সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রধান বক্তা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এমপি বলেন, ‘সরকার ফেনীতে বিএনপির সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিলো। কিন্তু নেতাকর্মীরা সেই ১৪৪ ধারা অমান্য করে সমাবেশ সফল করেছে। এভাবেই সারা বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারের সকল ধারা ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, ইনশা-আল্লাহ। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতেই হবে। বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী তাকে রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেই হবে।, ‘সংকটের সমাধান চাইলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার সাথে সংলাপে বসতে হবে। গৃহপালিত দলের সাথে নাটকীয় সংলাপ করে লাভ হবে না।’
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেহেদী আহমেদ রুমি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনি ৯ মাস কোথায় ছিলেন! আমি যতটুকু জানি আপনি ধানমন্ডির ১৮ নম্বর বাড়িতে ছিলেন ঠিক এই কথাটাই আমি পার্লামেন্টে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ঐ সময় পাকিস্তানিরা এ দেশ শাসন করেছিল, তাহলে ওই সময় আপনার পুত্র সন্তান হয়েছিল ঢাকা মেডিকেলে, সেদিন আপনাকে কে নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে? হাসপাতাল থেকে আবার বাড়িতে কে নিয়ে এসেছিল? এটি যদি দয়া করে আপনি স্ট্রেটমেন্ট দেন তাহলে আমরা খুশি হবো। আমাদের জীবন যদি চলে যায় তবুও এই সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে আমরা সবাইকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবো এবং বেগম জিয়া তথা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করেই ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।
মেহেরপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএপির সদস্য সচির মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ। এসময় পার্শবর্তী জেলার বিভিন্নপর্যায়ের নেতাকর্মীরাসহ মেহেরপুরের জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে; অ্যাড. জয়নুল আবেদীন

আপলোড টাইম : ০৫:১৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১


বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কাথুলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছিল ১৫টি। বেগম খালেদা জিয়ার নামে হয়েছিল মাত্র ৪টি মামলা। সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বলে তার সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আর বেগম খালেদা জিয়ার চারটি মামলাকে ৩৬টি বানানো হয়েছে। কিন্তু একদিন না একদিন সব হিসেব শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। এই বাংলার মানুষ সব হিসেব বুঝে নিবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে এখন নতুন নাটক চলছে। এর আগে নাটক করে দুটি কমিশন করা হয়েছিল। একটি রকিব কমিশন আর একটি হুদা কমিশন। রকিব কমিশন বিনা নির্বাচনে ১৫৪ আসন করে দিয়েছে, আর হুদা কমিশন দিনের ভোট রাতে করে দিয়েছে। কিন্তু এবার এটা বিএনপি হতে দেবে না। রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। আর গৃহপালিত দলের সাথে নাটকীয় সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি গণতন্ত্রের মানসকন্যা বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা। তিনার সুচিকিৎসার দাবিতে সারা বাংলাদেশ যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা দেখে আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, আপনাদের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। আপনাদের এবার বিদায় নিতে হবে, সারা বাংলাদেশে জোয়ার উঠেছে, আজ মেহেরপুরেও দেখলাম গণজোয়ার উঠেছে। আর এই গণজোয়ারে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে। তাই এখনো সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে সসম্মানে সরকারি খরচে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসা করুন। আপনারা একজন আইনমন্ত্রীর কথা শুনেছেন, যে আইনমন্ত্রী প্রচুর মিথ্যা কথা বলেন। ক্ষণেক্ষণে কারণ ছাড়াই মিথ্যা বলেন। তিনি বারবার শপথ ভঙ্গ করেছেন সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। গতদিনও শুনলাম তিনি বলেছেন ৪০১ ধারাই যা কিছু আছে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলখানায় যেয়ে চিকিৎসার জন আবেদন করতে হবে। আমি আজ এই মেহেরপুরের জনসভা থেকে মাননীয় আইনমন্ত্রী আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি ৪০১ ধারায় সরকারের ক্ষমতা দেওয়া আছে তাকে তার সাজা মওকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠাবার এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার। এই আইনের মধ্যে কোথাও নেই খালেদা জিায়াকে আবার জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আমি আজকে আবার চ্যালেঞ্জ করছি। আইনমন্ত্রী আপনি যদি দেখাতে পারেন এটা তাহলে আমি আর জীবনে যাদের ভোটে আমি বারবার আইনজীবীদের সভাপতি হয়েছি। তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইবো এবং আমি আমার পেশা থেকে বিদায় নেব। তাই আপনার সাহস থাকলে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। এই মিথ্যা কথা বলার জন্য আইনমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রী পরিষদকে পদত্যাগ করতে হবে। পালিয়ে যেতে পারবেন না কারণ সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রধান বক্তা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এমপি বলেন, ‘সরকার ফেনীতে বিএনপির সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিলো। কিন্তু নেতাকর্মীরা সেই ১৪৪ ধারা অমান্য করে সমাবেশ সফল করেছে। এভাবেই সারা বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারের সকল ধারা ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, ইনশা-আল্লাহ। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতেই হবে। বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী তাকে রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেই হবে।, ‘সংকটের সমাধান চাইলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার সাথে সংলাপে বসতে হবে। গৃহপালিত দলের সাথে নাটকীয় সংলাপ করে লাভ হবে না।’
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেহেদী আহমেদ রুমি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনি ৯ মাস কোথায় ছিলেন! আমি যতটুকু জানি আপনি ধানমন্ডির ১৮ নম্বর বাড়িতে ছিলেন ঠিক এই কথাটাই আমি পার্লামেন্টে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ঐ সময় পাকিস্তানিরা এ দেশ শাসন করেছিল, তাহলে ওই সময় আপনার পুত্র সন্তান হয়েছিল ঢাকা মেডিকেলে, সেদিন আপনাকে কে নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে? হাসপাতাল থেকে আবার বাড়িতে কে নিয়ে এসেছিল? এটি যদি দয়া করে আপনি স্ট্রেটমেন্ট দেন তাহলে আমরা খুশি হবো। আমাদের জীবন যদি চলে যায় তবুও এই সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে আমরা সবাইকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবো এবং বেগম জিয়া তথা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করেই ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।
মেহেরপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএপির সদস্য সচির মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ। এসময় পার্শবর্তী জেলার বিভিন্নপর্যায়ের নেতাকর্মীরাসহ মেহেরপুরের জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।