ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার বিচার চেয়ে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ, মিছিল ও মানববন্ধন

প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গৃহবধূ আরিফা খাতুন সোমা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পরিবারসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাস্ট্যান্ডে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।

জানা যায়, সোমা কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। সদর উপজেলার দক্ষিণ কাষ্টসাগরা গ্রামে আকিদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় সোমার। তাদের চাঁদ নামে ৯ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে স্বামীর বাড়িতে নিজ ঘরে গলাই ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ তাঁকে হত্যার পর গলাই ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্য সবাই পলাতক রয়েছেন।

 

নিহত গৃহবধূর বাবা নুর ইসলাম জানান, ‘আমার জামাই বিদেশ ছিল। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। দুই বছর পর বাড়িতে আসে। সম্প্রতি আবারো বিদেশ যাওয়া জন্য আমার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। প্রায় দিনই মেয়েকে মারধর করতো। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। এ পর্যায়ে মারা গেলে জামাই ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই দিপঙ্কর মালাকার জানান, পরিবারের সদস্যদের জিডির আলোকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। তবে  মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুরতহালের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। তবে অভিযুক্ত পরিবারের কোনো সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালীগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার বিচার চেয়ে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ, মিছিল ও মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ০৪:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গৃহবধূ আরিফা খাতুন সোমা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পরিবারসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাস্ট্যান্ডে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।

জানা যায়, সোমা কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। সদর উপজেলার দক্ষিণ কাষ্টসাগরা গ্রামে আকিদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় সোমার। তাদের চাঁদ নামে ৯ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে স্বামীর বাড়িতে নিজ ঘরে গলাই ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ তাঁকে হত্যার পর গলাই ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্য সবাই পলাতক রয়েছেন।

 

নিহত গৃহবধূর বাবা নুর ইসলাম জানান, ‘আমার জামাই বিদেশ ছিল। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। দুই বছর পর বাড়িতে আসে। সম্প্রতি আবারো বিদেশ যাওয়া জন্য আমার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। প্রায় দিনই মেয়েকে মারধর করতো। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। এ পর্যায়ে মারা গেলে জামাই ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গলাই ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই দিপঙ্কর মালাকার জানান, পরিবারের সদস্যদের জিডির আলোকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। তবে  মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুরতহালের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। তবে অভিযুক্ত পরিবারের কোনো সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।